ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একের পর এক ভুল, অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত পাঁচটি ভুয়া সংবাদ শনাক্ত করেছে। এ সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি রিপাবলিক বাংলা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলেরসম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় দেওয়া একটি পোস্টে এমন দাবি করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও দাবিটি সত্য ভেবে পোস্ট করেছেন।
‘বিডি ২৪ ঘণ্টা ডটকম (bd 24 ghonta. com) ’ নামেরএকটি ভেরিফায়েড ফেসবুকপেজ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পোস্টকরে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশে বন্ধ করা হল সমস্ত ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল। আজ থেকে বন্ধ করা হল সম্প্রচার।’ ঘণ্টা ছয়েকের ব্যবধানে পোস্টটিতেপ্রায় ৬ হাজার রিয়েকশন পড়েছে, শেয়ার হয়েছে ৪ শতাধিক।
বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বন্ধের দাবির সত্যতা কী?
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে দেশীয় সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে দাবিটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (কোয়াব) যোগাযোগ করা হয়। সংগঠনটির অফিস সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। সরকার থেকেও সংগঠনটিকে এমন কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। সম্প্রচার স্বাভাবিক আছে।
একই ব্যাপারে জানতে তথ্য মন্ত্রণালয়য়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মামুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে তিনিও কিছু জানেন না।’
এ ছাড়া এ প্রতিবেদন লেখার সময় (বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭ টা) পর্যন্ত একাধিক মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, দেশে ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের সম্প্রচার চলছে। এসব চ্যানেলের মধ্যে আছে স্টার জলসা, জি বাংলা সিনেমা, জি বাংলা, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানা চ্যানেল দূরদর্শন বাংলা, সনি আট ইত্যাদি।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিপাবলিক বাংলা। আবার নভেম্বরের মাঝামাঝিতে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ আসে পাকিস্তান থেকে।
এই জাহাজ আসার প্রেক্ষিতে একই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, পাকিস্তান থেকে আসা এই জাহাজ অস্ত্র নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দুটি দাবিই ভুয়া হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একের পর এক ভুল, অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত পাঁচটি ভুয়া সংবাদ শনাক্ত করেছে। এ সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি রিপাবলিক বাংলা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলেরসম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় দেওয়া একটি পোস্টে এমন দাবি করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও দাবিটি সত্য ভেবে পোস্ট করেছেন।
‘বিডি ২৪ ঘণ্টা ডটকম (bd 24 ghonta. com) ’ নামেরএকটি ভেরিফায়েড ফেসবুকপেজ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পোস্টকরে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশে বন্ধ করা হল সমস্ত ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল। আজ থেকে বন্ধ করা হল সম্প্রচার।’ ঘণ্টা ছয়েকের ব্যবধানে পোস্টটিতেপ্রায় ৬ হাজার রিয়েকশন পড়েছে, শেয়ার হয়েছে ৪ শতাধিক।
বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বন্ধের দাবির সত্যতা কী?
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে দেশীয় সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে দাবিটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (কোয়াব) যোগাযোগ করা হয়। সংগঠনটির অফিস সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। সরকার থেকেও সংগঠনটিকে এমন কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। সম্প্রচার স্বাভাবিক আছে।
একই ব্যাপারে জানতে তথ্য মন্ত্রণালয়য়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মামুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে তিনিও কিছু জানেন না।’
এ ছাড়া এ প্রতিবেদন লেখার সময় (বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭ টা) পর্যন্ত একাধিক মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, দেশে ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের সম্প্রচার চলছে। এসব চ্যানেলের মধ্যে আছে স্টার জলসা, জি বাংলা সিনেমা, জি বাংলা, ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানা চ্যানেল দূরদর্শন বাংলা, সনি আট ইত্যাদি।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবিটি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিপাবলিক বাংলা। আবার নভেম্বরের মাঝামাঝিতে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ আসে পাকিস্তান থেকে।
এই জাহাজ আসার প্রেক্ষিতে একই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, পাকিস্তান থেকে আসা এই জাহাজ অস্ত্র নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দুটি দাবিই ভুয়া হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত মুখ। ব্যক্তিগত জীবন ও চলচ্চিত্রকর্ম নিয়ে তিনি প্রায়ই আলোচনায় আসেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নববধূর সাজে কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি তার দ্বিতীয় বিয়ের ছবি।
৩ দিন আগেছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর জণসাধারণের আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-
৪ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এই ঘটনার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রসঙ্গে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের খবর সামনে এসেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়ে
৫ দিন আগেচলতি বছরের জুনে হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিল–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। এ রায়ের পর কোটা সংস্কার দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে সরকার বাধা দিলে তা সংঘাত ও সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে...
৭ দিন আগে