রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
সম্প্রতি দেশে অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর মৃত্যু ও জটিলতা বেড়েছে। রোগীকে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করতে নকল এজেন্ট ব্যবহারের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্ত্রোপচারের আগে রোগীকে অবেদন করতে ‘হ্যালোথেন’ নামের একটি এজেন্টের ব্যবহার চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু ১০ মাস ধরে দেশে হ্যালোথেনের উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ আছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোয় নকল হ্যালোথেন সরবরাহ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর এসব নকল হ্যালোথেনের ব্যবহারই ডেকে আনছে রোগীর মৃত্যু।
গত ৩১ ডিসেম্বর খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পর আর শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি। এই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতে ল্যাবএইড হাসপাতালে এনডোস্কপি করতে গিয়ে এক প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ক্ষেত্রেও অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পর মারা যান রোগী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালিবাগের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করানোর সময় মারা যায় আরেক শিশু আহনাফ তাহমিদ।
অস্ত্রোপচার টেবিলে পরপর তিন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে অনিরাপদ অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়টি সামনে আসে। অ্যানেসথেসিয়াজনিত মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে নকল ‘হ্যালোথেন’-এর ব্যবহার চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও পেইন ফিজিশিয়ানস (বিএসএ-সিসিপিপি)। এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছোট সম্মেলনকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসএ-সিসিপিপি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে দেশে হ্যালোথেন সরবরাহ বন্ধ। কিন্তু এখনো বাজারে নকল হ্যালোথেনের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে, যা রোধে জরুরি
পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
জানা গেছে, একমাত্র কোম্পানি হিসেবে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে হ্যালোথেন উৎপাদন করত। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের জুন থেকে হ্যালোথেন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। শুধু এসিআই নয়, পুরো বিশ্ববাজারে হ্যালোথেনের কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে হ্যালোথেন নাম দিয়ে যা বিক্রি হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই নকল বলে দাবি করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের স্টোরে আগের কিছু হ্যালোথেন থাকতে পারে, যেহেতু সেখানে বছরভিত্তিক কেনাকাটা হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ নেই। তাই বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নকল হ্যালোথেন ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রবল।
এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস কেন হ্যালোথেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ রেখেছে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ মহসিন মিয়া বলেন, ‘আমরা এটি আর উৎপাদন করব না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এটি উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া বিশ্ববাজারে এর কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।’
হ্যালোথেনের বিকল্প কী
বিশেষজ্ঞরা ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক এজেন্ট হিসেবে হ্যালোথেনের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসএ-সিসিপিপি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার বলেন, রোগীকে অবেদন করতে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই অপেক্ষাকৃত কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসম্পন্ন রাসায়নিক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আইসোফ্লুরেন তেমন একটি নিরাপদ রাসায়নিক।
অস্ত্রোপচারজনিত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার পর দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও।
আইসোফ্লুরেন ব্যবহারে অস্ত্রোপচার ব্যয় বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএ-সিসিপিপির দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. জাবেদ বলেন, ৫০০ এমএল এক বোতল হ্যালোথেনের দাম ছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। অন্যদিকে সমপরিমাণ আইসোফ্লুরেনের দাম ৪ হাজার ২০০ টাকা। এক ঘণ্টা সময় লাগে এমন অস্ত্রোপচারে ১৫০ টাকার হ্যালোথেন প্রয়োজন হতো। এখন সেখানে হয়তো এখন ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা ব্যয় হবে।
খরচ কিছুটা কমাতে নকল হ্যালোথেনের ব্যবহার বড় বিপদ ডেকে আনে জানিয়ে তিনি বলেন, নকল হ্যালোথেনে ক্লোরোফর্ম ও অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, যা ফুসফুসে ক্ষতের সৃষ্টি করে। এতে রোগীর মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
সম্প্রতি দেশে অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর মৃত্যু ও জটিলতা বেড়েছে। রোগীকে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করতে নকল এজেন্ট ব্যবহারের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্ত্রোপচারের আগে রোগীকে অবেদন করতে ‘হ্যালোথেন’ নামের একটি এজেন্টের ব্যবহার চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু ১০ মাস ধরে দেশে হ্যালোথেনের উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ আছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোয় নকল হ্যালোথেন সরবরাহ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর এসব নকল হ্যালোথেনের ব্যবহারই ডেকে আনছে রোগীর মৃত্যু।
গত ৩১ ডিসেম্বর খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পর আর শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি। এই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতে ল্যাবএইড হাসপাতালে এনডোস্কপি করতে গিয়ে এক প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ক্ষেত্রেও অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পর মারা যান রোগী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালিবাগের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করানোর সময় মারা যায় আরেক শিশু আহনাফ তাহমিদ।
অস্ত্রোপচার টেবিলে পরপর তিন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে অনিরাপদ অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়টি সামনে আসে। অ্যানেসথেসিয়াজনিত মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে নকল ‘হ্যালোথেন’-এর ব্যবহার চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও পেইন ফিজিশিয়ানস (বিএসএ-সিসিপিপি)। এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছোট সম্মেলনকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসএ-সিসিপিপি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে দেশে হ্যালোথেন সরবরাহ বন্ধ। কিন্তু এখনো বাজারে নকল হ্যালোথেনের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে, যা রোধে জরুরি
পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
জানা গেছে, একমাত্র কোম্পানি হিসেবে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে হ্যালোথেন উৎপাদন করত। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের জুন থেকে হ্যালোথেন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। শুধু এসিআই নয়, পুরো বিশ্ববাজারে হ্যালোথেনের কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে হ্যালোথেন নাম দিয়ে যা বিক্রি হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই নকল বলে দাবি করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের স্টোরে আগের কিছু হ্যালোথেন থাকতে পারে, যেহেতু সেখানে বছরভিত্তিক কেনাকাটা হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ নেই। তাই বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নকল হ্যালোথেন ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রবল।
এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস কেন হ্যালোথেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ রেখেছে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ মহসিন মিয়া বলেন, ‘আমরা এটি আর উৎপাদন করব না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এটি উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া বিশ্ববাজারে এর কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।’
হ্যালোথেনের বিকল্প কী
বিশেষজ্ঞরা ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক এজেন্ট হিসেবে হ্যালোথেনের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসএ-সিসিপিপি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার বলেন, রোগীকে অবেদন করতে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই অপেক্ষাকৃত কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসম্পন্ন রাসায়নিক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আইসোফ্লুরেন তেমন একটি নিরাপদ রাসায়নিক।
অস্ত্রোপচারজনিত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার পর দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও।
আইসোফ্লুরেন ব্যবহারে অস্ত্রোপচার ব্যয় বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএ-সিসিপিপির দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. জাবেদ বলেন, ৫০০ এমএল এক বোতল হ্যালোথেনের দাম ছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। অন্যদিকে সমপরিমাণ আইসোফ্লুরেনের দাম ৪ হাজার ২০০ টাকা। এক ঘণ্টা সময় লাগে এমন অস্ত্রোপচারে ১৫০ টাকার হ্যালোথেন প্রয়োজন হতো। এখন সেখানে হয়তো এখন ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা ব্যয় হবে।
খরচ কিছুটা কমাতে নকল হ্যালোথেনের ব্যবহার বড় বিপদ ডেকে আনে জানিয়ে তিনি বলেন, নকল হ্যালোথেনে ক্লোরোফর্ম ও অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, যা ফুসফুসে ক্ষতের সৃষ্টি করে। এতে রোগীর মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৫ দিন আগে