অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জন্মের পর এই বিষণ্নতায় ভোগেন বাবারাও?
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮ থেকে ১৩ শতাংশ বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতার ঝুঁকিতে আছেন। শুধু তা-ই নয়, এই বিষণ্নতার কারণে বাবাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ছাপ পড়ে বাবা-মা-সন্তানের ত্রিভুজ সম্পর্কে। যদিও বর্তমানে, বিশেষ করে আমাদের দেশে বাবাদের প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারটি একেবারেই উপেক্ষিত। শুধু তা-ই নয়, শিশুটি যখন মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে, তখনো কিন্তু বাবারা বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন, যা তাঁদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মুশকিল হলো, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে তাঁর ভয় বা দুঃখজনিত আবেগ প্রকাশের অনুমতি দেয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই হবু বাবা তাঁর ভয় অথবা বেদনাকে রাগের মাধ্যমে আচরণ দ্বারা বহিঃপ্রকাশ করেন। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সন্তান জন্মের পর প্রথম তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন বাবার পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ সময় নতুন মা-বাবার দাম্পত্যে ফাটল ধরার হারও কিন্তু বেশি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পুরুষদের এই কষ্টের জায়গাটি পর্যাপ্তভাবে স্বীকৃতির পর্যায়ে না এলেও ভুক্তভোগী মানুষটি জানেন যে কী ভয়ংকরভাবে তাঁর সহযোগিতা দরকার। আর ঠিক এখানেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন বৃহত্তর পরিবারের। নতুন মাকে পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন বাবাকে মানসিকভাবে সাহায্য করা তখন বৃহত্তর পরিবারের কর্তব্য হয়ে পড়ে।
প্রেমিক-প্রেমিকার থেকে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন বেশি শক্তিশালী। কারণ তাঁদের দুজনের মধ্য়ে কোনো একজনকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হলে সেটাও জীবনসঙ্গীকে দিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী যখন মা-বাবা হয়ে যান, তখন তাঁদের আন্তসম্পর্ক আরও একটি নতুন মোড় নেয়। মা-বাবার মধ্যে বিরোধ থাকবেই, কিন্তু দুজন যত বেশি ভাগাভাগি করে শিশুর লালন-পালনের কাজটা একসঙ্গে করবেন, ততই স্বামী-স্ত্রী এবং নতুন অতিথির সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়া দৃঢ় হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানের জন্মের পর বাবা খুব খিটখিটে হয়ে থাকেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে বাবাদের আচরণে খিটখিটে ভাব দেখা দেয়। অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, সেই সঙ্গে আবেগীয় বহিঃপ্রকাশ কম হয়। ফলে নতুন মায়ের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়।
সন্তান জন্মদান কিন্তু শুধু মায়ের জীবনের একক ঘটনা নয়। বাবাও এর অংশীদার। মনে রাখতে হবে, নতুন বাবারও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হতে পারে। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গড়ে ১০ শতাংশ বাবাও সন্তান জন্মের আগে বা পরপরই বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের উপাত্ত অনুসারে, গড়ে চারজন বাবার একজন পোস্টপার্টাম ব্লু'তে ভোগেন সন্তান জন্মের তিন থেকে ছয় মাস পরে। হরমোনজনিত কারণ ছাড়াও দাম্পত্য সম্পর্কে সন্তান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় নতুন বাবার নিজেকে পরিত্যক্ত বোধ করা, বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ, সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছেন না বলে নিজেকে দোষারোপ করার প্রবণতা, দাম্পত্যে পারস্পরিক কোয়ালিটি সময় কমে যাওয়া, যৌনজীবনে অতৃপ্তি ইত্যাদি ভূমিকা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। এখানে বলে রাখা ভালো, বিশ্বব্যাপী পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন সাংঘাতিকভাবে অবহেলিত। কাজেই একজন নতুন বাবার বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, অরুচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গকে ক্ষেত্রবিশেষে ধর্তব্যের মধ্যে আনাই হয় না। আর আমাদের সমাজ পুরুষের রাগ দেখতে যতটা অভ্যস্ত, তার দুঃখ বা ভয় দেখতে ততটা মোটেও নয়; বরং একে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এতে লজ্জার কিছু নেই। নতুন বাবা হওয়া মানে দীর্ঘ সময় ধরে শিশুর যত্ন এবং সমাজ যেটা বাবার কাজ বলে উড়িয়ে দেয়।
কোন বাবারা এই বিষণ্নতায় ভোগেন?
সব বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগেন না। যে বাবা অপেক্ষাকৃত তরুণ, যাঁদের বিষণ্নতার ইতিহাস আছে, আন্তসম্পর্কের টানাপোড়েনের অভিজ্ঞতা আছে, অর্থনৈতিকভাবে টানাটানির মধ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এবং এ ক্ষেত্রে বাবাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের প্রয়োজন হয়।
লক্ষণ
হতাশা, দুঃখবোধ, ভয়, অসহায়ত্ব, বিভ্রান্তি, সিদ্ধান্তহীনতা, নিরুৎসাহী মনোভাব, নিষ্ঠুরতাবোধ, রাগ, খিটখিটে মেজাজ, ক্ষোভ, পছন্দের কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, সব সময় কাজ করা, দাম্পত্য কলহ, অনিদ্রা,মদ ও মাদকের ব্যবহার, বদহজম, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন, মাথাব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
চিকিৎসা কেমন হবে
সাইকোথেরাপি এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজে লাগে, এখানে কথা বলাকে চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। এ ছাড়া চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন। এ সময় বাবাদের সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বলে রাখা ভালো, নতুন মা যদি বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে কিন্তু বাবারও বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই এ সময় বৃহত্তর পরিবারের ভূমিকা হবে নতুন মাকে বিশ্রাম দেওয়া, সেই সঙ্গে বাবারও যত্ন নেওয়া।
লেখক : চিকিৎসক, কাউনসেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
গর্ভকাল থেকে সন্তান প্রসবের এই দীর্ঘ সময়ে মায়েরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য় দিয়ে যান। ফলে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় ভোগেন। আমাদের দেশে নতুন মায়ের এই ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ব্যাপারটি সম্পর্কে এখন অনেকেই সচেতন। কিন্তু জানেন কি, সন্তান জন্মের পর এই বিষণ্নতায় ভোগেন বাবারাও?
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮ থেকে ১৩ শতাংশ বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতার ঝুঁকিতে আছেন। শুধু তা-ই নয়, এই বিষণ্নতার কারণে বাবাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ছাপ পড়ে বাবা-মা-সন্তানের ত্রিভুজ সম্পর্কে। যদিও বর্তমানে, বিশেষ করে আমাদের দেশে বাবাদের প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারটি একেবারেই উপেক্ষিত। শুধু তা-ই নয়, শিশুটি যখন মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে, তখনো কিন্তু বাবারা বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন, যা তাঁদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মুশকিল হলো, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে তাঁর ভয় বা দুঃখজনিত আবেগ প্রকাশের অনুমতি দেয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই হবু বাবা তাঁর ভয় অথবা বেদনাকে রাগের মাধ্যমে আচরণ দ্বারা বহিঃপ্রকাশ করেন। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
সন্তান জন্মের পর প্রথম তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন বাবার পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ সময় নতুন মা-বাবার দাম্পত্যে ফাটল ধরার হারও কিন্তু বেশি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পুরুষদের এই কষ্টের জায়গাটি পর্যাপ্তভাবে স্বীকৃতির পর্যায়ে না এলেও ভুক্তভোগী মানুষটি জানেন যে কী ভয়ংকরভাবে তাঁর সহযোগিতা দরকার। আর ঠিক এখানেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন বৃহত্তর পরিবারের। নতুন মাকে পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন বাবাকে মানসিকভাবে সাহায্য করা তখন বৃহত্তর পরিবারের কর্তব্য হয়ে পড়ে।
প্রেমিক-প্রেমিকার থেকে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন বেশি শক্তিশালী। কারণ তাঁদের দুজনের মধ্য়ে কোনো একজনকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হলে সেটাও জীবনসঙ্গীকে দিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী যখন মা-বাবা হয়ে যান, তখন তাঁদের আন্তসম্পর্ক আরও একটি নতুন মোড় নেয়। মা-বাবার মধ্যে বিরোধ থাকবেই, কিন্তু দুজন যত বেশি ভাগাভাগি করে শিশুর লালন-পালনের কাজটা একসঙ্গে করবেন, ততই স্বামী-স্ত্রী এবং নতুন অতিথির সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়া দৃঢ় হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানের জন্মের পর বাবা খুব খিটখিটে হয়ে থাকেন। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে বাবাদের আচরণে খিটখিটে ভাব দেখা দেয়। অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, সেই সঙ্গে আবেগীয় বহিঃপ্রকাশ কম হয়। ফলে নতুন মায়ের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়।
সন্তান জন্মদান কিন্তু শুধু মায়ের জীবনের একক ঘটনা নয়। বাবাও এর অংশীদার। মনে রাখতে হবে, নতুন বাবারও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হতে পারে। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গড়ে ১০ শতাংশ বাবাও সন্তান জন্মের আগে বা পরপরই বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের উপাত্ত অনুসারে, গড়ে চারজন বাবার একজন পোস্টপার্টাম ব্লু'তে ভোগেন সন্তান জন্মের তিন থেকে ছয় মাস পরে। হরমোনজনিত কারণ ছাড়াও দাম্পত্য সম্পর্কে সন্তান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় নতুন বাবার নিজেকে পরিত্যক্ত বোধ করা, বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ, সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছেন না বলে নিজেকে দোষারোপ করার প্রবণতা, দাম্পত্যে পারস্পরিক কোয়ালিটি সময় কমে যাওয়া, যৌনজীবনে অতৃপ্তি ইত্যাদি ভূমিকা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। এখানে বলে রাখা ভালো, বিশ্বব্যাপী পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন সাংঘাতিকভাবে অবহেলিত। কাজেই একজন নতুন বাবার বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, অরুচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গকে ক্ষেত্রবিশেষে ধর্তব্যের মধ্যে আনাই হয় না। আর আমাদের সমাজ পুরুষের রাগ দেখতে যতটা অভ্যস্ত, তার দুঃখ বা ভয় দেখতে ততটা মোটেও নয়; বরং একে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এতে লজ্জার কিছু নেই। নতুন বাবা হওয়া মানে দীর্ঘ সময় ধরে শিশুর যত্ন এবং সমাজ যেটা বাবার কাজ বলে উড়িয়ে দেয়।
কোন বাবারা এই বিষণ্নতায় ভোগেন?
সব বাবা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগেন না। যে বাবা অপেক্ষাকৃত তরুণ, যাঁদের বিষণ্নতার ইতিহাস আছে, আন্তসম্পর্কের টানাপোড়েনের অভিজ্ঞতা আছে, অর্থনৈতিকভাবে টানাটানির মধ্যে যাচ্ছেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এবং এ ক্ষেত্রে বাবাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের প্রয়োজন হয়।
লক্ষণ
হতাশা, দুঃখবোধ, ভয়, অসহায়ত্ব, বিভ্রান্তি, সিদ্ধান্তহীনতা, নিরুৎসাহী মনোভাব, নিষ্ঠুরতাবোধ, রাগ, খিটখিটে মেজাজ, ক্ষোভ, পছন্দের কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, সব সময় কাজ করা, দাম্পত্য কলহ, অনিদ্রা,মদ ও মাদকের ব্যবহার, বদহজম, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন, মাথাব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
চিকিৎসা কেমন হবে
সাইকোথেরাপি এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজে লাগে, এখানে কথা বলাকে চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। এ ছাড়া চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন। এ সময় বাবাদের সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বলে রাখা ভালো, নতুন মা যদি বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে কিন্তু বাবারও বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই এ সময় বৃহত্তর পরিবারের ভূমিকা হবে নতুন মাকে বিশ্রাম দেওয়া, সেই সঙ্গে বাবারও যত্ন নেওয়া।
লেখক : চিকিৎসক, কাউনসেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৩ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৫ দিন আগে