ডা. মানিফা আফরিন
অবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই। তবে এর ৭টি মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। না হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরের ৭ লক্ষণ
� ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপের তীব্র জ্বর
� তীব্র মাথা যন্ত্রণা
� চোখের পেছনে ব্যথা
� মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা
� তীব্র বমিভাব
� খাবারে প্রচণ্ড অরুচি
� মাথা ঘোরা অথবা দুর্বলতা অনুভব করা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্বর শুরুর
২ থেকে ৩ দিনের মাথায় অথবা জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা শরীরে পানি শূন্যতা দূর করা। নির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় শিরায় স্যালাইন দেওয়ার মাধ্যমে রোগের মারাত্মক জটিলতা থেকে বাঁচা যায়। তবে যেসব শিশু আগে থেকে কিডনি রোগ, রক্তজনিত রোগ, লিভারসংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত এবং বিশেষায়িত ওষুধ সেবন করছে, তাদের জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
ডেঙ্গু রোগে অনেকে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু এ রোগে প্লাটিলেট-সংক্রান্ত জটিলতা খুব অল্পসংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা দেয়। অধিকাংশ রোগী পানিশূন্যতা, বুকে ও পেটে পানি কিংবা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের চিকিৎসা শুধু বিশেষায়িত হাসপাতালে সম্ভব। তবে দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে রোগী মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়,
যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা
শিশুর জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করানো, প্রয়োজনে প্রতিদিন সিবিসি পরীক্ষা করানো। এ ছাড়া চিকিৎসকের দেওয়া অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
মশা নিধন ডেঙ্গু প্রতিরোধের একমাত্র সমাধান। কারণ, এ রোগের কার্যকরী টিকা এখনো সহজলভ্য নয়।
সহযোগী অধ্যাপক, শিশু ও নবজাতক বিভাগ, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার, মিরপুর-১ শাখা
অবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই। তবে এর ৭টি মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। না হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরের ৭ লক্ষণ
� ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপের তীব্র জ্বর
� তীব্র মাথা যন্ত্রণা
� চোখের পেছনে ব্যথা
� মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা
� তীব্র বমিভাব
� খাবারে প্রচণ্ড অরুচি
� মাথা ঘোরা অথবা দুর্বলতা অনুভব করা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্বর শুরুর
২ থেকে ৩ দিনের মাথায় অথবা জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা শরীরে পানি শূন্যতা দূর করা। নির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় শিরায় স্যালাইন দেওয়ার মাধ্যমে রোগের মারাত্মক জটিলতা থেকে বাঁচা যায়। তবে যেসব শিশু আগে থেকে কিডনি রোগ, রক্তজনিত রোগ, লিভারসংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত এবং বিশেষায়িত ওষুধ সেবন করছে, তাদের জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
ডেঙ্গু রোগে অনেকে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু এ রোগে প্লাটিলেট-সংক্রান্ত জটিলতা খুব অল্পসংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা দেয়। অধিকাংশ রোগী পানিশূন্যতা, বুকে ও পেটে পানি কিংবা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের চিকিৎসা শুধু বিশেষায়িত হাসপাতালে সম্ভব। তবে দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে রোগী মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়,
যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা
শিশুর জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করানো, প্রয়োজনে প্রতিদিন সিবিসি পরীক্ষা করানো। এ ছাড়া চিকিৎসকের দেওয়া অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
মশা নিধন ডেঙ্গু প্রতিরোধের একমাত্র সমাধান। কারণ, এ রোগের কার্যকরী টিকা এখনো সহজলভ্য নয়।
সহযোগী অধ্যাপক, শিশু ও নবজাতক বিভাগ, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার, মিরপুর-১ শাখা
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’ এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে।
১৭ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাস এসে গেছে। তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবার। গরম একা আসে না, সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখও নিয়ে আসে। এই গরমে যে যতই লেবুর শরবত আর ফ্যানের বাতাসে নিজেকে বাঁচাতে চান না কেন, রোগবালাই কিন্তু লুকিয়ে বসে আছে ঠিকই! তাই জানতে হবে গরমের বিশেষ পাঁচ রোগ এবং এর সমাধান।
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানবস্বাস্থ্য। শব্দদূষণ বা অতিরিক্ত কোলাহল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর বিষয়টি আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ
১৭ ঘণ্টা আগেশেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ
১৭ ঘণ্টা আগে