ডা. জি. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন
প্রায় প্রতিটি মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কাঁধের ব্যথায় আক্রান্ত হয়। আঘাত যে কারণেই হোক, ব্যথা নিয়ে রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কাঁধ শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ত্রিশটি পেশি, তিনটি হাড় ও চারটি জোড়ার সমন্বয়ে তৈরি। কাঁধে হাড়, জোড়া, পেশি ও স্নায়ু সমস্যার কারণে ব্যথাসহ অন্যান্য উপসর্গ হতে পারে।
অনেক সময় ঘাড়ের সমস্যা, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের রোগ এবং পিত্তথলির রোগের কারণে কাঁধে ব্যথা হয়। একে রেফার্ড পেইন বলে।
কাঁধের নিজস্ব ব্যথার কারণ
এ সবের কারণে জোড়ায় হালকা থেকে তীব্র ব্যথা হয়। ফোলা ও ব্যথার কারণে কাঁধ নড়াচড়া করা যায় না এবং চেষ্টা করলে ব্যথা বেড়ে যায়। স্থানচ্যুতিতে জোড়ার আকৃতি ও অবস্থান অস্বাভাবিক হয়। কাঁধ কাত করে ঘুমানো যায় না। ব্যথা, সীমিত নড়াচড়া ও পেশি দুর্বলতার জন্য পিঠ চুলকানো, জামার বোতাম লাগানো এবং মাথার চুল আঁচড়ানো কষ্টকর হয়। পেশি ছেঁড়া ও শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাত দিয়ে কিছু তোলা যায় না। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে জোড়ার হাড় ও তরুণাস্থির ক্ষয় হয়, আবরণ পাতলা হয় এবং অসটিওআর্থ্রাইটিস হয়ে জয়েন্ট নষ্ট হয়।
করণীয়
প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীর ব্যথা ও ফোলা সেরে ওঠার পর রোগের ইতিহাস শুনে এবং জোড়ার বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যথার কারণ এবং এর তীব্রতা নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে এবং প্রয়োজনে এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হয়।
আর্থ্রাস্কোপিক চিকিৎসা
প্রাথমিক বা কনজারভেটিভ চিকিৎসায় নিরাময় না হলে, পেশি ইনজুরি হলে, জোড়া বারবার ছুটে গেলে, জোড়ায় অতিরিক্ত হাড় হলে এবং জোড়ার জায়গা কমে গেলে আর্থ্রোস্কোপিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে কাঁধে আর্থ্রোস্কোপ প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
প্রায় প্রতিটি মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কাঁধের ব্যথায় আক্রান্ত হয়। আঘাত যে কারণেই হোক, ব্যথা নিয়ে রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কাঁধ শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ত্রিশটি পেশি, তিনটি হাড় ও চারটি জোড়ার সমন্বয়ে তৈরি। কাঁধে হাড়, জোড়া, পেশি ও স্নায়ু সমস্যার কারণে ব্যথাসহ অন্যান্য উপসর্গ হতে পারে।
অনেক সময় ঘাড়ের সমস্যা, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের রোগ এবং পিত্তথলির রোগের কারণে কাঁধে ব্যথা হয়। একে রেফার্ড পেইন বলে।
কাঁধের নিজস্ব ব্যথার কারণ
এ সবের কারণে জোড়ায় হালকা থেকে তীব্র ব্যথা হয়। ফোলা ও ব্যথার কারণে কাঁধ নড়াচড়া করা যায় না এবং চেষ্টা করলে ব্যথা বেড়ে যায়। স্থানচ্যুতিতে জোড়ার আকৃতি ও অবস্থান অস্বাভাবিক হয়। কাঁধ কাত করে ঘুমানো যায় না। ব্যথা, সীমিত নড়াচড়া ও পেশি দুর্বলতার জন্য পিঠ চুলকানো, জামার বোতাম লাগানো এবং মাথার চুল আঁচড়ানো কষ্টকর হয়। পেশি ছেঁড়া ও শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাত দিয়ে কিছু তোলা যায় না। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে জোড়ার হাড় ও তরুণাস্থির ক্ষয় হয়, আবরণ পাতলা হয় এবং অসটিওআর্থ্রাইটিস হয়ে জয়েন্ট নষ্ট হয়।
করণীয়
প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীর ব্যথা ও ফোলা সেরে ওঠার পর রোগের ইতিহাস শুনে এবং জোড়ার বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যথার কারণ এবং এর তীব্রতা নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে এবং প্রয়োজনে এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হয়।
আর্থ্রাস্কোপিক চিকিৎসা
প্রাথমিক বা কনজারভেটিভ চিকিৎসায় নিরাময় না হলে, পেশি ইনজুরি হলে, জোড়া বারবার ছুটে গেলে, জোড়ায় অতিরিক্ত হাড় হলে এবং জোড়ার জায়গা কমে গেলে আর্থ্রোস্কোপিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে কাঁধে আর্থ্রোস্কোপ প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’ এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে।
১৬ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাস এসে গেছে। তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবার। গরম একা আসে না, সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখও নিয়ে আসে। এই গরমে যে যতই লেবুর শরবত আর ফ্যানের বাতাসে নিজেকে বাঁচাতে চান না কেন, রোগবালাই কিন্তু লুকিয়ে বসে আছে ঠিকই! তাই জানতে হবে গরমের বিশেষ পাঁচ রোগ এবং এর সমাধান।
১৬ ঘণ্টা আগেআমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানবস্বাস্থ্য। শব্দদূষণ বা অতিরিক্ত কোলাহল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর বিষয়টি আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ
১৬ ঘণ্টা আগেশেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ
১৬ ঘণ্টা আগে