বিদেশি ১২ সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১০: ১০
Thumbnail image

ডায়রিয়া ও কিডনি সমস্যায় ফেলতে পারে এমন শঙ্কা থেকে বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠানের ১২টি সিরাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। গত ৫ অক্টোবর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রথম ভারতীয় একটি কোম্পানির চারটি ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়।

সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে বলা হয়, সিরাপগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ইথিলিন গ্লাইকল ও ড্রাই ইথিলিনগ্লাইকল পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যবহার করা অত্যন্ত অনিরাপদ। বিশেষ করে শিশুদের এসব ওষুধ সেবনে পেটব্যথা, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, মানসিক সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এসব সিরাপের মধ্যে রয়েছে প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন বিপি ১০০ এমএল, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ ১২৫ এমএল, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ ১০০ এমএল এবং ম্যাগ্রিপ এন গোল্ড সিরাপ ১০০ এমএল।

গত মাসে গাম্বিয়ায় ভারতীয় এসব সিরাপ পানে ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে ডব্লিউএইচও বিষয়টি নিয়ে অধিক তদন্ত শুরু করে। এরপর আফ্রিকার মানুষের জন্য এসব সিরাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় সংস্থাটি।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ইন্দোনেশিয়ার ৮টি সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা দিয়েছে। 

এসব সিরাপের মধ্যে রয়েছে টারমোরেক্স সিরাপ, ফ্লুরিন ডিএমপি সিরাপ, ইউনিবেবি কফ সিরাপ, ইউনিবেবি ডিমাম প্যারাসিটামল ড্রপস, ইউনিবেবি ডিমাম প্যারাসিটামল সিরাপ, প্যারাসিটামল ড্রপস, প্যারাসিটামল সিরাপ (মিন্ট) অ্যান্ড ভিপকল সিরাপ।

তবে বাংলাদেশে এসব ওষুধ ব্যবহার হয় না বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন।

বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে আসরাফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি এসব ওষুধ আমদানি করে না। তার পরও আমরা বাড়তি সতর্কতা দিয়েছি, যাতে কেউ না আনে। একই সঙ্গে অনেকে নিজেদের ব্যবহারের জন্যও বাইরের দেশে গেলে নিয়ে আসে। এটা যাতে না হয়, তাই বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত