মইনুল হাসান
বাদাম কারও কাছেই অপরিচিত নয়। আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বাদামে যেমন আছে বিভিন্ন খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন, তেমনি আছে অনেক খনিজ উপাদান। সেগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন জটিল বিপাকীয় কাজকে সহজ করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। চুল ও ত্বকের যত্নের সঙ্গে প্রাণোচ্ছলতা আর স্মৃতিশক্তিও ধরে রাখে। আমিষ এবং উপকারী স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস হচ্ছে বাদাম। এটি বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ৬০ গ্রাম বাদাম খেলে সহজে মুটিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। যাঁরা সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে রূপলাবণ্যসচেতন, তাঁদের পছন্দের খাবারের তালিকায় বাদাম না থাকলেই নয়।
চিনাবাদাম
জনপ্রিয় ও সহজলভ্য এই বাদাম পুষ্টিগুণে অন্যান্য বাদামের থেকে কম যায় না। আমিষ ও অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, অর্থাৎ উপকারী স্নেহ পদার্থসমৃদ্ধ এই বাদামে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। চিনাবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে যাঁদের চিনাবাদামে এলার্জি আছে, তাঁদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
হ্যাজেলনাট
অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় আঁশসমৃদ্ধ এই বাদামে আছে প্রচুর ম্যাংগানিজ, কপার, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ই, বি১ এবং বি৬। এ কারণে একে সুপার ফুড বললেও অত্যুক্তি হবে না। প্রদাহ ও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এটি। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে হ্যাজেলনাট। আমিষ ও উপকারী স্নেহ পদার্থের ঘাটতি নেই বলেই নিরামিষভোজীরা খেতে পছন্দ করেন এটি।
চিলগোজা বা পাইন নাট
চিলগোজা উপকারী স্নেহ পদার্থসমৃদ্ধ। তা ছাড়া ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের খুব ভালো উৎস। বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। আর ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ চিলগোজা ক্ষুধানাশক হরমোন কোলেসিস্টোকিনিন নিঃসরণ করে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়।
কাঠবাদাম বা আলমন্ড
এটি যেমন খুব জনপ্রিয়, তেমনি উপকারী। সব বাদামের মতোই ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ কাঠবাদাম রোগ প্রতিরোধ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ এই বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ডায়াবেটিস টাইপ-২ রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম বেশ উপকারী।
আখরোট
প্রায় সব বাদামের মতোই এতে আছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই এবং বি। পাশাপাশি আয়রন, ক্যালসিয়াম, খনিজ, সূক্ষ্ম উপাদান এবং আঁশও আছে এতে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে আখরোট বেশ উপকারী। আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর আঁশসমৃদ্ধ বলেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া যাবে আখরোট খেলে।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঘাতক রোগ ‘হৃদ্রোগ’ প্রতিরোধে বাদাম যেমন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে, তেমনি আজকের পৃথিবীর অসংক্রামক মহামারি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদামকে মোটেই অবহেলা করা উচিত হবে না।
লেখক: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক
বাদাম কারও কাছেই অপরিচিত নয়। আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বাদামে যেমন আছে বিভিন্ন খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ ভিটামিন, তেমনি আছে অনেক খনিজ উপাদান। সেগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন জটিল বিপাকীয় কাজকে সহজ করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। চুল ও ত্বকের যত্নের সঙ্গে প্রাণোচ্ছলতা আর স্মৃতিশক্তিও ধরে রাখে। আমিষ এবং উপকারী স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস হচ্ছে বাদাম। এটি বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ৬০ গ্রাম বাদাম খেলে সহজে মুটিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। যাঁরা সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে রূপলাবণ্যসচেতন, তাঁদের পছন্দের খাবারের তালিকায় বাদাম না থাকলেই নয়।
চিনাবাদাম
জনপ্রিয় ও সহজলভ্য এই বাদাম পুষ্টিগুণে অন্যান্য বাদামের থেকে কম যায় না। আমিষ ও অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, অর্থাৎ উপকারী স্নেহ পদার্থসমৃদ্ধ এই বাদামে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। চিনাবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে যাঁদের চিনাবাদামে এলার্জি আছে, তাঁদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
হ্যাজেলনাট
অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় আঁশসমৃদ্ধ এই বাদামে আছে প্রচুর ম্যাংগানিজ, কপার, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ই, বি১ এবং বি৬। এ কারণে একে সুপার ফুড বললেও অত্যুক্তি হবে না। প্রদাহ ও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এটি। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে হ্যাজেলনাট। আমিষ ও উপকারী স্নেহ পদার্থের ঘাটতি নেই বলেই নিরামিষভোজীরা খেতে পছন্দ করেন এটি।
চিলগোজা বা পাইন নাট
চিলগোজা উপকারী স্নেহ পদার্থসমৃদ্ধ। তা ছাড়া ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের খুব ভালো উৎস। বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। আর ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ চিলগোজা ক্ষুধানাশক হরমোন কোলেসিস্টোকিনিন নিঃসরণ করে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়।
কাঠবাদাম বা আলমন্ড
এটি যেমন খুব জনপ্রিয়, তেমনি উপকারী। সব বাদামের মতোই ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ কাঠবাদাম রোগ প্রতিরোধ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ এই বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ডায়াবেটিস টাইপ-২ রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদাম বেশ উপকারী।
আখরোট
প্রায় সব বাদামের মতোই এতে আছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই এবং বি। পাশাপাশি আয়রন, ক্যালসিয়াম, খনিজ, সূক্ষ্ম উপাদান এবং আঁশও আছে এতে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে আখরোট বেশ উপকারী। আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর আঁশসমৃদ্ধ বলেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া যাবে আখরোট খেলে।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঘাতক রোগ ‘হৃদ্রোগ’ প্রতিরোধে বাদাম যেমন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে, তেমনি আজকের পৃথিবীর অসংক্রামক মহামারি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদামকে মোটেই অবহেলা করা উচিত হবে না।
লেখক: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’ এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে।
১৭ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাস এসে গেছে। তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবার। গরম একা আসে না, সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখও নিয়ে আসে। এই গরমে যে যতই লেবুর শরবত আর ফ্যানের বাতাসে নিজেকে বাঁচাতে চান না কেন, রোগবালাই কিন্তু লুকিয়ে বসে আছে ঠিকই! তাই জানতে হবে গরমের বিশেষ পাঁচ রোগ এবং এর সমাধান।
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানবস্বাস্থ্য। শব্দদূষণ বা অতিরিক্ত কোলাহল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর বিষয়টি আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ
১৭ ঘণ্টা আগেশেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ
১৭ ঘণ্টা আগে