মো. আরমান বিন আজিজ
চোখের মাংস বেড়ে যাওয়াকে টেরিজিয়াম বলে। এটি হলে চোখের পাতার ভেতরের মাংস বেড়ে যায়। কনজাংটিভা থেকে কর্নিয়া পর্যন্ত ত্রিভুজাকৃতির পর্দার মতো বেড়ে যাওয়া আবরণই হলো টেরিজিয়াম। এটি দুই চোখে অথবা এক চোখেও হতে পারে। এটি চোখের কোণে শুরু হয়ে কর্নিয়ার ওপর পর্যন্ত চলে যায়।
টেরিজিয়াম কর্নিয়ার কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। শুধু ওষুধ দিয়ে সাময়িক উপশম হলেও এর বৃদ্ধি রোধ করা যায় না।
লক্ষণ
চোখে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, চোখে কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করা, ঘোলাটে দৃষ্টি, চোখ থেকে পানি পড়া ইত্যাদি।
কারণ
এ রোগের সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত আলট্রাভায়োলেট রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের উষ্ণ আবহাওয়া, রোদ অথবা অনেক বাতাসযুক্ত পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ থাকতে হয়, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া সব সময় পরাগরেণু, ধুলাবালু, ধূমপান অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সংস্পর্শে থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন। ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে বর্ধিত অংশ ফেলে দেওয়া হয়। এ অপারেশন দুভাবে করা যায়।
এক. টেরিজিয়াম এক্সিসন, অপারেশন করে বর্ধিত অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। তবে এতে আবার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
দুই. টেরিজিয়াম গ্রাফটিং। অপারেশনের মাধ্যমে কেটে সেলাই করে দেওয়া হয়। এতে রোগটি আবার ফিরে আসার ঝুঁকি খুব কম থাকে।
তবে টেরিজিয়াম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে সঠিক মাত্রায় এসটিগম্যাটিক চশমা ও আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ব্যবহার করে বেশ কিছুদিন ভালো থাকা যায়। তবে এ জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
মো. আরমান বিন আজিজ, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
চোখের মাংস বেড়ে যাওয়াকে টেরিজিয়াম বলে। এটি হলে চোখের পাতার ভেতরের মাংস বেড়ে যায়। কনজাংটিভা থেকে কর্নিয়া পর্যন্ত ত্রিভুজাকৃতির পর্দার মতো বেড়ে যাওয়া আবরণই হলো টেরিজিয়াম। এটি দুই চোখে অথবা এক চোখেও হতে পারে। এটি চোখের কোণে শুরু হয়ে কর্নিয়ার ওপর পর্যন্ত চলে যায়।
টেরিজিয়াম কর্নিয়ার কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। শুধু ওষুধ দিয়ে সাময়িক উপশম হলেও এর বৃদ্ধি রোধ করা যায় না।
লক্ষণ
চোখে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, চোখে কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করা, ঘোলাটে দৃষ্টি, চোখ থেকে পানি পড়া ইত্যাদি।
কারণ
এ রোগের সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত আলট্রাভায়োলেট রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের উষ্ণ আবহাওয়া, রোদ অথবা অনেক বাতাসযুক্ত পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ থাকতে হয়, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া সব সময় পরাগরেণু, ধুলাবালু, ধূমপান অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সংস্পর্শে থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন। ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে বর্ধিত অংশ ফেলে দেওয়া হয়। এ অপারেশন দুভাবে করা যায়।
এক. টেরিজিয়াম এক্সিসন, অপারেশন করে বর্ধিত অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। তবে এতে আবার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
দুই. টেরিজিয়াম গ্রাফটিং। অপারেশনের মাধ্যমে কেটে সেলাই করে দেওয়া হয়। এতে রোগটি আবার ফিরে আসার ঝুঁকি খুব কম থাকে।
তবে টেরিজিয়াম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে সঠিক মাত্রায় এসটিগম্যাটিক চশমা ও আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ব্যবহার করে বেশ কিছুদিন ভালো থাকা যায়। তবে এ জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
মো. আরমান বিন আজিজ, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১১ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১২ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১ দিন আগে