উম্মে শায়লা রুমকি
রিমা আজকাল বিষণ্নতায় ভোগে। পিরিয়ডের দিনগুলোতে তার তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নিয়মিত ব্যায়ামে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু মা কিছুতেই ব্যায়াম করতে দেন না। মা বলেন, এ সময় ব্যায়াম করলে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলেই কি তাই?
পিরিয়ড চলাকালে কি ব্যায়াম করা যায়? এ প্রশ্নটি প্রায় সব মেয়েই করে থাকেন। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরাও পিরিয়ড বা মাসিকের সময় ব্যায়াম করা বন্ধ করে দেন বা কমিয়ে দেন। কিন্তু এমন কোনো বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা পাওয়া যায়নি যেখানে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম বন্ধ করতে বলা হয়েছে; বরং পিরিয়ডের দিনগুলোয় ব্যায়াম করার কিছু সুফল রয়েছে।
এই সময় সাধারণত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে মুড সুইং বা মন খারাপ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা তলপেটে ব্যথা বোধ করা স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ধরনের অস্বস্তিকর ব্যথা হয় না বা কম হয়ে থাকে। গবেষণা বলছে, পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে এন্ডোরফিন রিলিজ হয়, যা ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করে এবং তাতে ব্যথার অনুভূতি কম বোধ হয়।
কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম বন্ধ না করে নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু যদি কারও পিরিয়ডের সময় অসহনীয় ব্যথা বা মারাত্মক ক্লান্তি বোধ হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যায়াম কমিয়ে দিতে হবে। যেমন কেউ যদি পিরিয়ডের আগে ৩০ মিনিট জগিং করেন, তিনি হয়তো পিরিয়ডের সময় ১০ মিনিট করলেন। আবার যাঁরা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা হয়তো এই সময়ে তলপেট, কোমর বা ঊরু ব্যবহার করে যেসব আসন করতে হয়, সেগুলো করলেন না। নিজের শরীর বুঝে ব্যায়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি এ সময়।
পিরিয়ডের দিনগুলোতে সাধারণত হাঁটা, জগিং, হালকা এরোবিক ব্যায়াম, কার্ডিও ব্যায়াম করা যেতে পারে। কিন্তু যাঁরা কখনোই ব্যায়াম করেন না, তাঁরা এ সময়ে কোনো ভারী ব্যায়াম করতে যাবেন না। বাড়িতে ৩০ মিনিট ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন সাধারণ কিছু স্ট্রেচিং, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ডান-বাম করা কিংবা হাঁটু অর্ধ ভাঁজ করে ওঠাবসা করার মতো ব্যায়াম করুন। অনেকেই ব্যায়াম হিসেবে জুম্বা বা ড্যান্স করে থাকেন। পিরিয়ডের দিনগুলোতে তা বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময় হিমোগ্লোবিন, আয়রনের ঘাটতি হয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পানি, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।
যা করা যাবে না
যেকোনো ব্যায়াম দীর্ঘ সময় ধরে করা যাবে না। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তীব্র মাত্রার ব্যায়াম করার ফলে জরায়ু ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়ে। তাই মৃদু মাত্রার ব্যায়াম কম সময় ধরে করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম যথেষ্ট এ সময়।
ইনভারসন বা ভেতরের দিকে শরীর বাঁকিয়ে যেসব ইয়োগা করা হয়, পিরিয়ডের সময় তা না করাই ভালো।
কেউ যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করেন, অতিরিক্ত রক্তপাত বা পেটে তীব্র ব্যথা বোধ করেন, তাহলে ব্যায়াম না করে বিশ্রাম নিতে হবে।
যাঁদের পিরিয়ডের সময় বেশি ব্যথা বা রক্তস্রাব বেশি হয় বা সাত দিনের বেশি থাকে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, পিটিআরসি
রিমা আজকাল বিষণ্নতায় ভোগে। পিরিয়ডের দিনগুলোতে তার তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নিয়মিত ব্যায়ামে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু মা কিছুতেই ব্যায়াম করতে দেন না। মা বলেন, এ সময় ব্যায়াম করলে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলেই কি তাই?
পিরিয়ড চলাকালে কি ব্যায়াম করা যায়? এ প্রশ্নটি প্রায় সব মেয়েই করে থাকেন। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরাও পিরিয়ড বা মাসিকের সময় ব্যায়াম করা বন্ধ করে দেন বা কমিয়ে দেন। কিন্তু এমন কোনো বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা পাওয়া যায়নি যেখানে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম বন্ধ করতে বলা হয়েছে; বরং পিরিয়ডের দিনগুলোয় ব্যায়াম করার কিছু সুফল রয়েছে।
এই সময় সাধারণত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে মুড সুইং বা মন খারাপ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা তলপেটে ব্যথা বোধ করা স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ধরনের অস্বস্তিকর ব্যথা হয় না বা কম হয়ে থাকে। গবেষণা বলছে, পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে এন্ডোরফিন রিলিজ হয়, যা ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করে এবং তাতে ব্যথার অনুভূতি কম বোধ হয়।
কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম বন্ধ না করে নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু যদি কারও পিরিয়ডের সময় অসহনীয় ব্যথা বা মারাত্মক ক্লান্তি বোধ হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যায়াম কমিয়ে দিতে হবে। যেমন কেউ যদি পিরিয়ডের আগে ৩০ মিনিট জগিং করেন, তিনি হয়তো পিরিয়ডের সময় ১০ মিনিট করলেন। আবার যাঁরা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা হয়তো এই সময়ে তলপেট, কোমর বা ঊরু ব্যবহার করে যেসব আসন করতে হয়, সেগুলো করলেন না। নিজের শরীর বুঝে ব্যায়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি এ সময়।
পিরিয়ডের দিনগুলোতে সাধারণত হাঁটা, জগিং, হালকা এরোবিক ব্যায়াম, কার্ডিও ব্যায়াম করা যেতে পারে। কিন্তু যাঁরা কখনোই ব্যায়াম করেন না, তাঁরা এ সময়ে কোনো ভারী ব্যায়াম করতে যাবেন না। বাড়িতে ৩০ মিনিট ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন সাধারণ কিছু স্ট্রেচিং, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ডান-বাম করা কিংবা হাঁটু অর্ধ ভাঁজ করে ওঠাবসা করার মতো ব্যায়াম করুন। অনেকেই ব্যায়াম হিসেবে জুম্বা বা ড্যান্স করে থাকেন। পিরিয়ডের দিনগুলোতে তা বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময় হিমোগ্লোবিন, আয়রনের ঘাটতি হয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পানি, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।
যা করা যাবে না
যেকোনো ব্যায়াম দীর্ঘ সময় ধরে করা যাবে না। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তীব্র মাত্রার ব্যায়াম করার ফলে জরায়ু ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়ে। তাই মৃদু মাত্রার ব্যায়াম কম সময় ধরে করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম যথেষ্ট এ সময়।
ইনভারসন বা ভেতরের দিকে শরীর বাঁকিয়ে যেসব ইয়োগা করা হয়, পিরিয়ডের সময় তা না করাই ভালো।
কেউ যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করেন, অতিরিক্ত রক্তপাত বা পেটে তীব্র ব্যথা বোধ করেন, তাহলে ব্যায়াম না করে বিশ্রাম নিতে হবে।
যাঁদের পিরিয়ডের সময় বেশি ব্যথা বা রক্তস্রাব বেশি হয় বা সাত দিনের বেশি থাকে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, পিটিআরসি
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
৩ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
৩ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৩ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৩ দিন আগে