নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ট্রু লাভ ইজ ওয়ান কোকোনাট অ্যান্ড টু স্ট্র।’ মানে একটি ডাব আর দুটি স্ট্র-ই হলো সত্যিকারের ভালোবাসা। কথা মন্দ নয়। সামনে নীল জল রেখে বালুকাবেলায় দুজন মানুষ একটি ডাব খাবে দুটি স্ট্র দিয়ে, তার চেয়ে রোমান্টিক দৃশ্য আর কী হতে পারে? আর এর স্বাদ? ‘ডেফিনেশন অব টেস্টিং প্যারাডাইস’ বলে একটা কথা আছে ইংরেজিতে। সেটা বলা হয় ডাবের পানির স্বাদ বোঝাতে। বুঝতেই পারছেন, শুধু আপনি নন। পৃথিবীর জনসংখ্যার এক বিশাল অংশের মানুষ ডাবের পানির স্বাদে বিমোহিত হয়ে আছে। কিন্তু কারণটা কী?
স্বাদ বা রোমান্টিকতাই শুধু নয়। ডাবের পানির আছে বিশাল স্বাস্থ্যগুণ। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীর হবে বিষমুক্ত। আর অনেক রোগ ধীরে ধীরে সরে যাবে শরীর থেকে।
ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
হিন্দি ছবির নায়িকা মমতা কুলকার্নিকে নিয়ে সেই নব্বইয়ের দশকে একবার বেশ গুজব রটেছিল। কোনো এক সিনেমার সেট থেকে তিনি নাকি চলে এসেছিলেন। কারণ মমতা প্রতিদিন ডাবের পানির ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন মুখ ধোয়ার জন্য। কিন্তু প্রযোজকের সে ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি কিন্তু মোটেই বাড়াবাড়ি নয়।
প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডাবের পানি খেলে ও তা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের যে অনেক উপকার হয় সেসব বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে বিভিন্ন দেশে। এটি ত্বকে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও শর্করা থাকে বলে এটি শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায় ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। মাউন্ট সিনা স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট উপাদান থাকে। ফলে এটি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয়।
২০১৭ সালের একটি প্রাথমিক গবেষণা জানাচ্ছে, ডাবের পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে এটি ব্রণ হওয়ার হাত থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারে। তবে এটিও বলা হয় যে, এর কোনো প্রমাণ নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাবের পানি দ্রুত ব্রণ দূর করতে সহায়তা করলেও করতে পারে। ডাবের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে। ফলে এটি ফ্রি রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ করে দিয়ে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।
সংক্ষেপে
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর অনেক কিছু প্রয়োজন হয় তাঁর নিজের ও সন্তানের জন্য। সে সময় ডাবের পানি সবকিছুর জন্য কাজ না করলেও কিছু কিছু বিষয়ে বেশ উপকারে দেবে।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি যা করতে পারে—
গরমে ডাবের পানির উপকারিতা
আমাদের দেশে গরমেই সাধারণত ডাবের পানি খাওয়া হয়। এর অনেক কারণ আছে। তবে বলে রাখা ভালো, ডাবের পানি শীতের দিনেও শরীরের যে উপকার করে গরমের দিনেও সেই একই উপকার করে। ফলে গরমের দিনে খাবেন বলে তুলে না রেখে শীতের দিনেও কচি ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে
পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
এতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে
রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া কি উচিত
এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। কারণ কোনো গবেষণাই প্রমাণ করতে পারেনি যে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া ক্ষতিকর। আবার খালি পেটে ডাবের পানি খেলে যে উপকারের কথা বলা হয় তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ডাবের পানি খাওয়া ভালো।
ডাবের পানির উপকারিতা
ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। সংক্ষেপে বললে,
ডাবের পানির অপকারিতা
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
ডাবের পানির উপাদান
পানি— ৯৫ শতাংশ
ক্যালসিয়াম— ০.৬৯ শতাংশ
পটাশিয়াম— ০.২৫ শতাংশ
ফসফরিক অ্যাসিড— ০.৫৬ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড— ০.৫৯ শতাংশ
নাইট্রোজেন— ০.০৫ শতাংশ
গ্রাম/প্রতি ১০০ গ্রামে আছে
লৌহ— ০.৫ গ্রাম
চিনি— ০.৮০ গ্রাম
আঁশ— ০.৬২ গ্রাম
প্রোটিন— ০.৭২ গ্রাম
চর্বি— ০.২০ গ্রাম
এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ আছে ডাবের পানিতে।
ডাবের পানি পানে সতর্কতা
ডাবের পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। তবে ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। ফলে কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঠান্ডা ও সর্দির রোগী, অ্যালার্জির রোগীদেরও ডাবের পানি পানে সতর্ক থাকতে হবে।
শেষ কথা
কোনো কিছু থেকে প্রাকৃতিকভাবে উপকার পেতে হলে তা দীর্ঘদিন খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ এক–আধদিন ব্যবহার করে ভালো উপকার পাওয়া যায় না। তাই ডাবের পানি পান করে উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত তা পান করতে হবে। খুব বেশি পানের দরকার নেই। পরিমাণ মতো নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তবেই উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন:
‘ট্রু লাভ ইজ ওয়ান কোকোনাট অ্যান্ড টু স্ট্র।’ মানে একটি ডাব আর দুটি স্ট্র-ই হলো সত্যিকারের ভালোবাসা। কথা মন্দ নয়। সামনে নীল জল রেখে বালুকাবেলায় দুজন মানুষ একটি ডাব খাবে দুটি স্ট্র দিয়ে, তার চেয়ে রোমান্টিক দৃশ্য আর কী হতে পারে? আর এর স্বাদ? ‘ডেফিনেশন অব টেস্টিং প্যারাডাইস’ বলে একটা কথা আছে ইংরেজিতে। সেটা বলা হয় ডাবের পানির স্বাদ বোঝাতে। বুঝতেই পারছেন, শুধু আপনি নন। পৃথিবীর জনসংখ্যার এক বিশাল অংশের মানুষ ডাবের পানির স্বাদে বিমোহিত হয়ে আছে। কিন্তু কারণটা কী?
স্বাদ বা রোমান্টিকতাই শুধু নয়। ডাবের পানির আছে বিশাল স্বাস্থ্যগুণ। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীর হবে বিষমুক্ত। আর অনেক রোগ ধীরে ধীরে সরে যাবে শরীর থেকে।
ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
হিন্দি ছবির নায়িকা মমতা কুলকার্নিকে নিয়ে সেই নব্বইয়ের দশকে একবার বেশ গুজব রটেছিল। কোনো এক সিনেমার সেট থেকে তিনি নাকি চলে এসেছিলেন। কারণ মমতা প্রতিদিন ডাবের পানির ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন মুখ ধোয়ার জন্য। কিন্তু প্রযোজকের সে ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি কিন্তু মোটেই বাড়াবাড়ি নয়।
প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডাবের পানি খেলে ও তা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের যে অনেক উপকার হয় সেসব বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে বিভিন্ন দেশে। এটি ত্বকে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও শর্করা থাকে বলে এটি শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায় ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। মাউন্ট সিনা স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট উপাদান থাকে। ফলে এটি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয়।
২০১৭ সালের একটি প্রাথমিক গবেষণা জানাচ্ছে, ডাবের পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে এটি ব্রণ হওয়ার হাত থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারে। তবে এটিও বলা হয় যে, এর কোনো প্রমাণ নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাবের পানি দ্রুত ব্রণ দূর করতে সহায়তা করলেও করতে পারে। ডাবের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে। ফলে এটি ফ্রি রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ করে দিয়ে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।
সংক্ষেপে
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর অনেক কিছু প্রয়োজন হয় তাঁর নিজের ও সন্তানের জন্য। সে সময় ডাবের পানি সবকিছুর জন্য কাজ না করলেও কিছু কিছু বিষয়ে বেশ উপকারে দেবে।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি যা করতে পারে—
গরমে ডাবের পানির উপকারিতা
আমাদের দেশে গরমেই সাধারণত ডাবের পানি খাওয়া হয়। এর অনেক কারণ আছে। তবে বলে রাখা ভালো, ডাবের পানি শীতের দিনেও শরীরের যে উপকার করে গরমের দিনেও সেই একই উপকার করে। ফলে গরমের দিনে খাবেন বলে তুলে না রেখে শীতের দিনেও কচি ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে
পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
এতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে
রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া কি উচিত
এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। কারণ কোনো গবেষণাই প্রমাণ করতে পারেনি যে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া ক্ষতিকর। আবার খালি পেটে ডাবের পানি খেলে যে উপকারের কথা বলা হয় তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ডাবের পানি খাওয়া ভালো।
ডাবের পানির উপকারিতা
ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। সংক্ষেপে বললে,
ডাবের পানির অপকারিতা
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
ডাবের পানির উপাদান
পানি— ৯৫ শতাংশ
ক্যালসিয়াম— ০.৬৯ শতাংশ
পটাশিয়াম— ০.২৫ শতাংশ
ফসফরিক অ্যাসিড— ০.৫৬ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড— ০.৫৯ শতাংশ
নাইট্রোজেন— ০.০৫ শতাংশ
গ্রাম/প্রতি ১০০ গ্রামে আছে
লৌহ— ০.৫ গ্রাম
চিনি— ০.৮০ গ্রাম
আঁশ— ০.৬২ গ্রাম
প্রোটিন— ০.৭২ গ্রাম
চর্বি— ০.২০ গ্রাম
এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ আছে ডাবের পানিতে।
ডাবের পানি পানে সতর্কতা
ডাবের পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। তবে ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। ফলে কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঠান্ডা ও সর্দির রোগী, অ্যালার্জির রোগীদেরও ডাবের পানি পানে সতর্ক থাকতে হবে।
শেষ কথা
কোনো কিছু থেকে প্রাকৃতিকভাবে উপকার পেতে হলে তা দীর্ঘদিন খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ এক–আধদিন ব্যবহার করে ভালো উপকার পাওয়া যায় না। তাই ডাবের পানি পান করে উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত তা পান করতে হবে। খুব বেশি পানের দরকার নেই। পরিমাণ মতো নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তবেই উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন:
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে