সাজ্জাদ হোসেন
আমাদের অনেকে জীবনের একটা পর্যায়ে ঘাড়ের ব্যথায় ভুগে থাকেন। যাকে মেডিকেলের ভাষায় সারভাইক্যাল পেইন বলে।
এটা দুই ধরনের
» লোকাল বা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যথা।
» রেফার্ড পেইন বা দূরে ছড়িয়ে পড়া ব্যথা।
কারণ
» সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস।
» সারভাইক্যাল রিবস।
» সারভাইক্যাল ক্যানেল সরু হওয়া।
» হারনিয়েটেড ডিস্কের নার্ভের ওপর চাপ দেওয়া।
» মাংসপেশি, হাড়, জয়েন্ট, লিগামেন্ট, ডিস্ক ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি।
» হাড় ও তরুণাস্থি ক্ষতিগ্রস্ত।
» অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ।
» হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া।
» সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
লক্ষণ
» ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত
ছড়িয়ে পড়তে পারে।
» এক বা উভয় হাতে ব্যথা, অনুভূতি দুর্বল হওয়া, অবশ ভাব লাগা, কামড়ানোর মতো অনুভূতি হওয়া।
» ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, যা পর্যায়ক্রমে বেড়ে যায়।
» ঘাড় সামনে-পেছনে বা ডান-বাম করলে ব্যথা হওয়া।
» হাঁচি-কাশি বা সামনে ঝুঁকে কাজ করলে ব্যথা লাগা।
» মাথাব্যথা হওয়া, যা পেছন থেকে শুরু হয়ে সামনের দিকে চলে আসে।
» দুর্বল লাগা।
» ঘুমাতে না পারা।
» ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ঘাম ও শীত শীত ভাব বা শরীর কাঁপানো।
চিকিৎসা
ঘাড়ব্যথার চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে। এ জন্য ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিরাময় এবং ঘাড়ের মুভমেন্টগুলো স্বাভাবিক করতে হবে।
প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন: চিকিৎসকের পরামর্শে ও ব্যবস্থাপনায় প্রদাহরোধী ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা: এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি হলো ফিজিওথেরাপি। এটি ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হয়। এখানে বিভিন্ন স্ট্রেচিং, স্ট্রেনদেনিং, ম্যানুয়াল টেকনিক অ্যাপলিকেশন, ইলেকট্রোথেরাপি ব্যবহার করে ঘাড়ের ব্যথা ও এর কারণগুলোর চিকিৎসা করা হয়। তবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অবশ্যই একজন গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্টের (বিপিটি) তত্ত্বাবধানে নিতে হবে। না হলে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতে পারে।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা বা অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা নিতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন, কনসালট্যান্ট, ঢাকা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড স্পাইন কেয়ার, চট্টগ্রাম
আমাদের অনেকে জীবনের একটা পর্যায়ে ঘাড়ের ব্যথায় ভুগে থাকেন। যাকে মেডিকেলের ভাষায় সারভাইক্যাল পেইন বলে।
এটা দুই ধরনের
» লোকাল বা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যথা।
» রেফার্ড পেইন বা দূরে ছড়িয়ে পড়া ব্যথা।
কারণ
» সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস।
» সারভাইক্যাল রিবস।
» সারভাইক্যাল ক্যানেল সরু হওয়া।
» হারনিয়েটেড ডিস্কের নার্ভের ওপর চাপ দেওয়া।
» মাংসপেশি, হাড়, জয়েন্ট, লিগামেন্ট, ডিস্ক ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি।
» হাড় ও তরুণাস্থি ক্ষতিগ্রস্ত।
» অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ।
» হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া।
» সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
লক্ষণ
» ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত
ছড়িয়ে পড়তে পারে।
» এক বা উভয় হাতে ব্যথা, অনুভূতি দুর্বল হওয়া, অবশ ভাব লাগা, কামড়ানোর মতো অনুভূতি হওয়া।
» ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, যা পর্যায়ক্রমে বেড়ে যায়।
» ঘাড় সামনে-পেছনে বা ডান-বাম করলে ব্যথা হওয়া।
» হাঁচি-কাশি বা সামনে ঝুঁকে কাজ করলে ব্যথা লাগা।
» মাথাব্যথা হওয়া, যা পেছন থেকে শুরু হয়ে সামনের দিকে চলে আসে।
» দুর্বল লাগা।
» ঘুমাতে না পারা।
» ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ঘাম ও শীত শীত ভাব বা শরীর কাঁপানো।
চিকিৎসা
ঘাড়ব্যথার চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে। এ জন্য ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিরাময় এবং ঘাড়ের মুভমেন্টগুলো স্বাভাবিক করতে হবে।
প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন: চিকিৎসকের পরামর্শে ও ব্যবস্থাপনায় প্রদাহরোধী ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা: এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি হলো ফিজিওথেরাপি। এটি ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হয়। এখানে বিভিন্ন স্ট্রেচিং, স্ট্রেনদেনিং, ম্যানুয়াল টেকনিক অ্যাপলিকেশন, ইলেকট্রোথেরাপি ব্যবহার করে ঘাড়ের ব্যথা ও এর কারণগুলোর চিকিৎসা করা হয়। তবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অবশ্যই একজন গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্টের (বিপিটি) তত্ত্বাবধানে নিতে হবে। না হলে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতে পারে।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা বা অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা নিতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন, কনসালট্যান্ট, ঢাকা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড স্পাইন কেয়ার, চট্টগ্রাম
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে