ডা. গৈরিকা রায় গোস্বামী
আমাদের শরীর কর্মক্ষম ও মন প্রফুল্ল রাখতে পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে স্থিরতা প্রদান করে, মানসিক চাপ কমায় ও দেহে কাজ করার শক্তি জোগায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির প্রভাবে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর বিষয়টি অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে চরমভাবে অবহেলিত। এই অপর্যাপ্ত ও অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাসের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।
সাধারণত এক বা দুদিন রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে পরদিন দেহে ক্লান্তি, অবসাদ, মনোযোগহীনতা দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, যা দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়।
রাত জাগলে যা হয়
সময়মতো ঘুমাতে করণীয়
ঘুমানোর আধঘণ্টা আগে থেকে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার না করা। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে যে ব্লু লাইট নিঃসরণ হয়, তা ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
সন্ধ্যার পর চা, কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলা।
ধূমপান বাদ দেওয়া। এতে থাকা নিকোটিন মস্তিষ্ককে উত্তেজিত রাখে, এতে ঘুমানোর সমস্যা দেখা দেয়।
দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া।
রাতে খাওয়ার পর আধঘণ্টা হাঁটা বা ঘুমাতে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে হালকা শরীরচর্চা করা। এতে শরীর সার্বিকভাবে সবল থাকবে এবং ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা যেতে পারে। এটি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে ঠান্ডা রেখে ঘুম আসতে সহায়তা করে।
লেখক: প্রভাষক, বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ
আমাদের শরীর কর্মক্ষম ও মন প্রফুল্ল রাখতে পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে স্থিরতা প্রদান করে, মানসিক চাপ কমায় ও দেহে কাজ করার শক্তি জোগায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির প্রভাবে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর বিষয়টি অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে চরমভাবে অবহেলিত। এই অপর্যাপ্ত ও অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাসের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।
সাধারণত এক বা দুদিন রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে পরদিন দেহে ক্লান্তি, অবসাদ, মনোযোগহীনতা দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, যা দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়।
রাত জাগলে যা হয়
সময়মতো ঘুমাতে করণীয়
ঘুমানোর আধঘণ্টা আগে থেকে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার না করা। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে যে ব্লু লাইট নিঃসরণ হয়, তা ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
সন্ধ্যার পর চা, কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলা।
ধূমপান বাদ দেওয়া। এতে থাকা নিকোটিন মস্তিষ্ককে উত্তেজিত রাখে, এতে ঘুমানোর সমস্যা দেখা দেয়।
দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া।
রাতে খাওয়ার পর আধঘণ্টা হাঁটা বা ঘুমাতে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে হালকা শরীরচর্চা করা। এতে শরীর সার্বিকভাবে সবল থাকবে এবং ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা যেতে পারে। এটি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে ঠান্ডা রেখে ঘুম আসতে সহায়তা করে।
লেখক: প্রভাষক, বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১১ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
১১ ঘণ্টা আগে