প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
মানুষ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে কেন? ঘুমের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সময় গলার কিছু অংশ কম্পিত হয়। এই কম্পনই নাক ডাকার শব্দ তৈরি করে। পাশের ব্যক্তির নাক ডাকার শব্দে অনেকে ঘুমাতে পারেন না। কিন্তু মানুষ কি নিজের নাক ডাকা শুনতে পায়? শুনতে পেলে তো ঘুমাতে পারার কথা নয়। তাহলে কি নিজের নাক ডাকার শব্দ আমলে না নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা মস্তিষ্কের আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিউরোলজির অধ্যাপক অনিতা শেলগিকার বলেন, ‘কিছু লোক নিজের নাক ডাকার শব্দে জেগে ওঠেন। আবার অনেকে নাক ডাকার তীব্রতা বা নাক ডাকা সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। কারণ, প্রত্যেকেরই ঘুম থেকে জেগে ওঠার জন্য ন্যূনতম শব্দসীমা আলাদা। এই ন্যূনতম শব্দসীমা একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অংশ। এর কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের পর মানুষের ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুমের মধ্যে শব্দের প্রভাব একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। কিছু শব্দ একজনের কাছে অন্যদের চেয়ে বেশি বিরক্তিকর মনে হতে পারে। আবার একজন ব্যক্তি প্রতিদিনই কিন্তু নিজের নাক ডাকার শব্দে জেগে ওঠে না।
ডা. অনিতা বলেন, ঘুমের মধ্যে শব্দের প্রভাব নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। শব্দের মাত্রা, শব্দের ধরন, ব্যক্তির জাগরণের জন্য ন্যূনতম শব্দসীমা ও অন্যান্য পরিবেশগত কারণ ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু মানুষের জন্য ফিসফিস শব্দ বা মৃদু সংগীতও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শুধু শব্দের প্রভাবে মানুষকে জাগানো অতটা সহজ নয়; বিশেষ করে নাক ডাকার ক্ষেত্রে।
গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নাক ডাকাসহ বিভিন্ন শব্দের প্রতি কম সংবেদনশীল হয় বা কম প্রতিক্রিয়া দেখায়। ঘুমের একটি পর্যায় হলো আরইএম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট)। এ সময় চোখের মণি দ্রুত নড়াচড়া করে। মানুষ সাধারণত এই পর্যায়েই স্বপ্ন দেখে। আরইএমের সময় মস্তিষ্কের শব্দ প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ফলে কেউ যদি ঘুমের এই পর্যায়ে নাক ডাকে, তবে তা লক্ষ করার সম্ভাবনা কম।
ডা. অনিতা বলেন, আরইএমের বাইরের পর্যায়ের তুলনায় আরইএম পর্যায়ে জাগরণের ন্যূনতম শব্দসীমা কম থাকে। ফলে ঘুমের এই পর্যায়ে নাক ডাকা ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে! উচ্চ শব্দ এবং মস্তিষ্কের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির এই পর্যায়ে নিজের নাক ডাকার শব্দ শুনতে পাওয়া বা এই শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, নাক ডাকার শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেল (সাধারণ কথোপকথন) হলে ঘুমের আরইএম পর্যায়ে মস্তিষ্ক এটিকে প্রায় ৩৬ (ফিসফিসিয়ে কথা বলার মতো) মাত্রায় অনুধাবন করতে পারে। ফলে এই মাত্রার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
তাই ঘুম কতটা গভীর, তার ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি নিজের নাক ডাকা শুনতে পাবে কি না। প্রকৃতপক্ষে, যারা নাক ডাকে না, তারাও বেশ কয়েকবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য জেগে উঠতে পারে। টানা কয়েক ঘণ্টার একটি ভালো ঘুমের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে সংক্ষিপ্ত জাগরণের এই ঘটনা ২০ থেকে ২৫ বার ঘটতে পারে।
নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে বাধা পেলে মানুষ নাক ডাকে। মাঝে মাঝে নাক ডাকার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, যদি কেউ স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার রোগ) মতো অবস্থার কারণে নাক ডাকে, তবে এটি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় ‘ফেজ-লকড অ্যাকুস্টিক স্টিমুলেশন’ নামে একটি নতুন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি একটি বিশেষ শব্দ সরবরাহের কৌশল, যা মৃদু তরঙ্গপ্রবাহের মাধ্যমে ঘুমের সময় (গভীর ঘুম) দীর্ঘ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও স্মোর সায়েন্স
মানুষ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে কেন? ঘুমের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সময় গলার কিছু অংশ কম্পিত হয়। এই কম্পনই নাক ডাকার শব্দ তৈরি করে। পাশের ব্যক্তির নাক ডাকার শব্দে অনেকে ঘুমাতে পারেন না। কিন্তু মানুষ কি নিজের নাক ডাকা শুনতে পায়? শুনতে পেলে তো ঘুমাতে পারার কথা নয়। তাহলে কি নিজের নাক ডাকার শব্দ আমলে না নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা মস্তিষ্কের আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিউরোলজির অধ্যাপক অনিতা শেলগিকার বলেন, ‘কিছু লোক নিজের নাক ডাকার শব্দে জেগে ওঠেন। আবার অনেকে নাক ডাকার তীব্রতা বা নাক ডাকা সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। কারণ, প্রত্যেকেরই ঘুম থেকে জেগে ওঠার জন্য ন্যূনতম শব্দসীমা আলাদা। এই ন্যূনতম শব্দসীমা একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অংশ। এর কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের পর মানুষের ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুমের মধ্যে শব্দের প্রভাব একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। কিছু শব্দ একজনের কাছে অন্যদের চেয়ে বেশি বিরক্তিকর মনে হতে পারে। আবার একজন ব্যক্তি প্রতিদিনই কিন্তু নিজের নাক ডাকার শব্দে জেগে ওঠে না।
ডা. অনিতা বলেন, ঘুমের মধ্যে শব্দের প্রভাব নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। শব্দের মাত্রা, শব্দের ধরন, ব্যক্তির জাগরণের জন্য ন্যূনতম শব্দসীমা ও অন্যান্য পরিবেশগত কারণ ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু মানুষের জন্য ফিসফিস শব্দ বা মৃদু সংগীতও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শুধু শব্দের প্রভাবে মানুষকে জাগানো অতটা সহজ নয়; বিশেষ করে নাক ডাকার ক্ষেত্রে।
গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নাক ডাকাসহ বিভিন্ন শব্দের প্রতি কম সংবেদনশীল হয় বা কম প্রতিক্রিয়া দেখায়। ঘুমের একটি পর্যায় হলো আরইএম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট)। এ সময় চোখের মণি দ্রুত নড়াচড়া করে। মানুষ সাধারণত এই পর্যায়েই স্বপ্ন দেখে। আরইএমের সময় মস্তিষ্কের শব্দ প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ফলে কেউ যদি ঘুমের এই পর্যায়ে নাক ডাকে, তবে তা লক্ষ করার সম্ভাবনা কম।
ডা. অনিতা বলেন, আরইএমের বাইরের পর্যায়ের তুলনায় আরইএম পর্যায়ে জাগরণের ন্যূনতম শব্দসীমা কম থাকে। ফলে ঘুমের এই পর্যায়ে নাক ডাকা ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে! উচ্চ শব্দ এবং মস্তিষ্কের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির এই পর্যায়ে নিজের নাক ডাকার শব্দ শুনতে পাওয়া বা এই শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, নাক ডাকার শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেল (সাধারণ কথোপকথন) হলে ঘুমের আরইএম পর্যায়ে মস্তিষ্ক এটিকে প্রায় ৩৬ (ফিসফিসিয়ে কথা বলার মতো) মাত্রায় অনুধাবন করতে পারে। ফলে এই মাত্রার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
তাই ঘুম কতটা গভীর, তার ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি নিজের নাক ডাকা শুনতে পাবে কি না। প্রকৃতপক্ষে, যারা নাক ডাকে না, তারাও বেশ কয়েকবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য জেগে উঠতে পারে। টানা কয়েক ঘণ্টার একটি ভালো ঘুমের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে সংক্ষিপ্ত জাগরণের এই ঘটনা ২০ থেকে ২৫ বার ঘটতে পারে।
নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে বাধা পেলে মানুষ নাক ডাকে। মাঝে মাঝে নাক ডাকার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, যদি কেউ স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার রোগ) মতো অবস্থার কারণে নাক ডাকে, তবে এটি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় ‘ফেজ-লকড অ্যাকুস্টিক স্টিমুলেশন’ নামে একটি নতুন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি একটি বিশেষ শব্দ সরবরাহের কৌশল, যা মৃদু তরঙ্গপ্রবাহের মাধ্যমে ঘুমের সময় (গভীর ঘুম) দীর্ঘ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও স্মোর সায়েন্স
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১১ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১২ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১ দিন আগে