ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
আর্দ্রতাযুক্ত আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের চোখের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে কনজাংটিভাইটিস, ইউভাইটিস, স্টাই ও কর্নিয়ার ক্ষত অন্যতম।
কনজাংটিভাইটিস
কনজাংটিভা হলো স্বচ্ছ পর্দার মতো অংশ। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো কারণে কনজাংটিভাতে প্রদাহ হলে সেটিই কনজাংটিভাইটিস। এটি একধরনের সংক্রামক রোগ।
লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে হলুদ আঠালো পদার্থ বের হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখে চুলকানি এর সাধারণ লক্ষণ।
ইউভাইটিস
ইউভিয়া বা চোখের মধ্যস্তর এবং তার চারপাশের টিস্যুর প্রদাহকে ইউভাইটিস বলে। এটি রোগীর এক বা উভয় চোখকে প্রভাবিত করে। চোখে আঘাত, বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ, যোজক কলার রোগ ইত্যাদির কারণে এই রোগ হতে পারে ।
লক্ষণ: চোখে ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য না হওয়া এ রোগের লক্ষণ।
স্টাই
এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ। আমাদের চোখের পাতার গোড়ার কাছে এক বা একাধিক ছোট গ্রন্থি রয়েছে। বন্যার পানির ময়লা বা অন্যান্য পদার্থ এই গ্রন্থিগুলোতে আটকে গিয়ে রোগটি তৈরি হতে পারে।
লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
কর্নিয়ায় ক্ষত
কর্নিয়া হলো আমাদের চোখের সবচেয়ে সামনের স্বচ্ছ অংশ। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর সংক্রমণের কারণে কর্নিয়ায় ক্ষত হয়ে থাকে।
লক্ষণ: চোখব্যথা, লাল হওয়া, পানি পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এর লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
চিকিৎসা
» ভাইরাস সংক্রমণ হলে সাধারণত বিশ্রাম, ঠান্ডা সেঁক এবং চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে লক্ষণগুলো উপশম হয়।
» ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম প্রয়োজন হতে পারে।
» অ্যালার্জির কারণে চোখের রোগের জন্য অ্যালার্জির ওষুধ সাহায্য করতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
» ঘন ঘন চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে।
» নোংরা হাতে চোখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন।
» ব্যবহার্য রুমাল বা তোয়ালে অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
» চোখে সংক্রমণ হলে চোখের মেকআপ এড়িয়ে চলুন।
» ব্যবহার্য কন্টাক্ট লেন্স কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
» চোখের সুরক্ষা চশমা ব্যবহার করুন।
» যেকোনো জলাধারে সাঁতার কাটার সময় সুইমিং গগলস বা সাঁতারের চশমা পরে নিন।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন , জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল , শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।
আর্দ্রতাযুক্ত আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের চোখের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে কনজাংটিভাইটিস, ইউভাইটিস, স্টাই ও কর্নিয়ার ক্ষত অন্যতম।
কনজাংটিভাইটিস
কনজাংটিভা হলো স্বচ্ছ পর্দার মতো অংশ। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো কারণে কনজাংটিভাতে প্রদাহ হলে সেটিই কনজাংটিভাইটিস। এটি একধরনের সংক্রামক রোগ।
লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে হলুদ আঠালো পদার্থ বের হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখে চুলকানি এর সাধারণ লক্ষণ।
ইউভাইটিস
ইউভিয়া বা চোখের মধ্যস্তর এবং তার চারপাশের টিস্যুর প্রদাহকে ইউভাইটিস বলে। এটি রোগীর এক বা উভয় চোখকে প্রভাবিত করে। চোখে আঘাত, বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ, যোজক কলার রোগ ইত্যাদির কারণে এই রোগ হতে পারে ।
লক্ষণ: চোখে ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য না হওয়া এ রোগের লক্ষণ।
স্টাই
এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ। আমাদের চোখের পাতার গোড়ার কাছে এক বা একাধিক ছোট গ্রন্থি রয়েছে। বন্যার পানির ময়লা বা অন্যান্য পদার্থ এই গ্রন্থিগুলোতে আটকে গিয়ে রোগটি তৈরি হতে পারে।
লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, চোখে ব্যথা ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
কর্নিয়ায় ক্ষত
কর্নিয়া হলো আমাদের চোখের সবচেয়ে সামনের স্বচ্ছ অংশ। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর সংক্রমণের কারণে কর্নিয়ায় ক্ষত হয়ে থাকে।
লক্ষণ: চোখব্যথা, লাল হওয়া, পানি পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এর লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
চিকিৎসা
» ভাইরাস সংক্রমণ হলে সাধারণত বিশ্রাম, ঠান্ডা সেঁক এবং চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে লক্ষণগুলো উপশম হয়।
» ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম প্রয়োজন হতে পারে।
» অ্যালার্জির কারণে চোখের রোগের জন্য অ্যালার্জির ওষুধ সাহায্য করতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
» ঘন ঘন চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে।
» নোংরা হাতে চোখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন।
» ব্যবহার্য রুমাল বা তোয়ালে অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
» চোখে সংক্রমণ হলে চোখের মেকআপ এড়িয়ে চলুন।
» ব্যবহার্য কন্টাক্ট লেন্স কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
» চোখের সুরক্ষা চশমা ব্যবহার করুন।
» যেকোনো জলাধারে সাঁতার কাটার সময় সুইমিং গগলস বা সাঁতারের চশমা পরে নিন।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন , জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল , শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
২ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
৩ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৩ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৩ দিন আগে