ডা. শাফেয়ী আলম
মাঙ্কিপক্স (এমপক্স ) একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাস প্রথমে বানরের শরীর থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল বলে একে এমপক্স বলে। এটি আফ্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ায় এ রোগ নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এমপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারি করেছে, বাংলাদেশেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে রোগটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে একদিকে আমাদের অহেতুক আতঙ্ক কমে যাবে, অন্যদিকে এই সংক্রামক রোগ প্রতিহত করাও সহজ হবে।
কীভাবে ছড়ায় এমপক্স
শারীরিক সংস্পর্শ, চুম্বন ও শারীরিক সম্পর্ক, ফুসকুড়ির রস, হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য সামগ্রী এবং আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
সাধারণ উপসর্গ
জ্বর, মাথা, পিঠ ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন লিম্ফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ব্যথাযুক্ত ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
উপসর্গ দেখা দিলে করণীয়
এটি একটি সংক্রামক রোগ এবং আমরা এ রোগের সংক্রমণ রোধ করতে চাই। ফলে এমপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে সবার আগে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাতে হবে। যত দিন পর্যন্ত সব ফুসকুড়ি ঝরে না যায় এবং নতুন চামড়া না গজায়, তত দিন পর্যন্ত ঘরে থাকবেন। হাসপাতালে যাওয়ার সময় বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছাকাছি হতে হলে, যতটা সম্ভব ফুসকুড়িগুলো ঢেকে রাখা এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
চিকিৎসা
এমপক্সের চিকিৎসা মূলত উপসর্গভিত্তিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিমিত বিশ্রাম, পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত তরল খাবারে এ রোগ উপশম হতে দেখা যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। শিশুদের মধ্যে যেমন এ রোগের সংক্রমণের হার বেশি, তেমনি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও তাদের মধ্যে বেশি থাকে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী, ক্যানসার, কিডনি, এইডস রোগীর মধ্যে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা বেশি।
আতঙ্ক ছড়ানো নয়, সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা প্রাদুর্ভাব রয়েছে, এমন দেশ থেকে ফিরে আসার ২১ দিনের মধ্যে জ্বর বা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিলে আপনার এমপক্স ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি দ্রুত আইইডিসিআর হটলাইনে (১০৬৫৫) যোগাযোগ করুন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. শাফেয়ী আলম, মেডিকেল অফিসার, কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাজীপুর
মাঙ্কিপক্স (এমপক্স ) একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাস প্রথমে বানরের শরীর থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল বলে একে এমপক্স বলে। এটি আফ্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ায় এ রোগ নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এমপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারি করেছে, বাংলাদেশেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে রোগটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে একদিকে আমাদের অহেতুক আতঙ্ক কমে যাবে, অন্যদিকে এই সংক্রামক রোগ প্রতিহত করাও সহজ হবে।
কীভাবে ছড়ায় এমপক্স
শারীরিক সংস্পর্শ, চুম্বন ও শারীরিক সম্পর্ক, ফুসকুড়ির রস, হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য সামগ্রী এবং আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
সাধারণ উপসর্গ
জ্বর, মাথা, পিঠ ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন লিম্ফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ব্যথাযুক্ত ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
উপসর্গ দেখা দিলে করণীয়
এটি একটি সংক্রামক রোগ এবং আমরা এ রোগের সংক্রমণ রোধ করতে চাই। ফলে এমপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে সবার আগে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাতে হবে। যত দিন পর্যন্ত সব ফুসকুড়ি ঝরে না যায় এবং নতুন চামড়া না গজায়, তত দিন পর্যন্ত ঘরে থাকবেন। হাসপাতালে যাওয়ার সময় বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছাকাছি হতে হলে, যতটা সম্ভব ফুসকুড়িগুলো ঢেকে রাখা এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
চিকিৎসা
এমপক্সের চিকিৎসা মূলত উপসর্গভিত্তিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিমিত বিশ্রাম, পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত তরল খাবারে এ রোগ উপশম হতে দেখা যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। শিশুদের মধ্যে যেমন এ রোগের সংক্রমণের হার বেশি, তেমনি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও তাদের মধ্যে বেশি থাকে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী, ক্যানসার, কিডনি, এইডস রোগীর মধ্যে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা বেশি।
আতঙ্ক ছড়ানো নয়, সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা প্রাদুর্ভাব রয়েছে, এমন দেশ থেকে ফিরে আসার ২১ দিনের মধ্যে জ্বর বা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিলে আপনার এমপক্স ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি দ্রুত আইইডিসিআর হটলাইনে (১০৬৫৫) যোগাযোগ করুন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. শাফেয়ী আলম, মেডিকেল অফিসার, কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাজীপুর
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৫ দিন আগে