অনলাইন ডেস্ক
গত দুই বছরে পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ কোনটি? নিঃসন্দেহে ‘ইমিউন সিস্টেম’। বাংলায় যাকে বলা হয় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সারা পৃথিবীতেই এই শব্দের ব্যবহার ও উপযোগিতা বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা কতটা বুঝতে পারছি এই শব্দের মর্মার্থ? শব্দটি একটি লোককথা বা মিথে পরিণত হয়ে গেল না তো?
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের শরীরকে তুলনা করা হয় দুর্গের সঙ্গে। দুর্গটিকে যেন শত্রুরা আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য পাহারা দেয় কতগুলো সৈন্য। এই সেনাবাহিনীর নাম ইমিউনিটি। তাহলে শত্রু কারা? নানা রোগব্যাধি।
যখন হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী (রোগব্যাধি, ভাইরাস, জীবাণু ইত্যাদি) আপনার শরীরের কোষকে আক্রমণ করে, তখন আপনার রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা সেনাবাহিনীর মতো সংগঠিত হয়। তারা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে লাখ লাখ, কোটি কোটি আক্রমণকারী রোগজীবাণু মৃত্যুবরণ করে।
আপনি হয়তো কখনো কখনো অসুস্থ অনুভব করেন, নাক দিয়ে পানি আসে, জ্বর হয়, গলা ব্যথা করে। এর মানে হচ্ছে, আপনার ইমিউনিটি নামক সেনাবাহিনী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা খুবই জটিল। একে তুলনা করা হয় ঢাল বেয়ে এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গে ওঠার সঙ্গে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা কার্যক্রম মস্তিষ্কের চেয়েও জটিল।
এই ‘রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা’ শব্দের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। পরিচয় ছিল না ‘প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা’ শব্দটির সঙ্গে। করোনা মহামারি এসে মানুষকে এই নতুন শব্দের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, যারা টিকা ছাড়াই কোভিডজনিত রোগ থেকে সেরে উঠছে, তারা এই প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতার কারণেই সেরে উঠছে।
মানুষের মুখে মুখে এখন রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে কথা। টিকা, ডোজ, বুস্টার ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে উচ্চারিত হচ্ছে উন্নত রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা। সমগ্র মানবকুল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এটি অর্জনের জন্য। ইন্টারনেট ভরে গেছে ইমিউন-বর্ধক ঔষধি পণ্যে। ই-কমার্স সাইট আমাজনে প্রোটিন পাউডার, ভিটামিন বড়ি, রহস্যময় শিকড় ইত্যাদির লম্বা তালিকায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ।
কিন্তু অনেক মানুষ বুঝতেই পারছে না, কৃত্রিমভাবে (ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে) রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে গেলে শরীরের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্যই তা বিপজ্জনক হতে পারে। ইমিউনিটি এমন জিনিস নয়, যা আমরা সীমা ছাড়াই নিজের শরীরে ঢুকিয়ে দিতে পারি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাদী এই পৃথিবীতে উন্নতির প্রধান সিঁড়ি হচ্ছে ব্যবসা। আর ব্যবসার জন্য এই মুহূর্তে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নত করার ধারণার চেয়ে আকর্ষণীয় আর কিছু নেই। আমরা যে ধরনের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা চাই, তা কখনোই দিতে পারবে না এই ব্যবসায়ী সমাজ।
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যে শরীরের কোষগুলো নিজে থেকেই শিখতে পারে কখন, কীভাবে, কার সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এই কোষগুলো রোগের জীবাণুগুলোকে শনাক্ত করতে পারে এবং মনে রাখতে পারে। ফলে আপনার শরীর যখনই কোনো রোগের সম্মুখীন হয়, তখনই তারা লড়াই করতে শুরু করে।
একটি ভালো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং সঠিকভাবে কাজ করে। সুতরাং এই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার ধারণাটি হাস্যকর। একটি পুরোনো গ্রিক শব্দ আছে ‘হোমিওস্ট্যাসিস’, যার অর্থ সবকিছুর ভারসাম্য। আমাদের এই ভারসাম্য অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এমন একটি জটিল ব্যবস্থা, যাকে আরও শক্তিশালী করা হলে শরীরের অনেক কিছু ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তখন দেখা যাবে, একটি ছোটখাটো সংক্রমণের জন্য রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, আমরা কেউ জানি না কোন কোষের ধরন কেমন, তার কার্যক্রম কেমন, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় সে কীভাবে আচরণ করে থাকে। কেউ যদি আপনাকে বলার চেষ্টা করে, তিনি মানব কোষের সব কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খ জানেন, তাহলে ধরে নেবেন তিনি আপনার কাছে কিছু বিক্রি করতে চাইছেন।
আপাতত ওষুধপথ্য, সুপার ফিড বা পিলের মাধ্যমে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই। সুতরাং উন্নত রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বা সুপার ইমিউনিটি একধরনের কল্পকথা বা মিথ ছাড়া আর কিছু নয়।
গত দুই বছরে পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ কোনটি? নিঃসন্দেহে ‘ইমিউন সিস্টেম’। বাংলায় যাকে বলা হয় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সারা পৃথিবীতেই এই শব্দের ব্যবহার ও উপযোগিতা বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা কতটা বুঝতে পারছি এই শব্দের মর্মার্থ? শব্দটি একটি লোককথা বা মিথে পরিণত হয়ে গেল না তো?
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের শরীরকে তুলনা করা হয় দুর্গের সঙ্গে। দুর্গটিকে যেন শত্রুরা আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য পাহারা দেয় কতগুলো সৈন্য। এই সেনাবাহিনীর নাম ইমিউনিটি। তাহলে শত্রু কারা? নানা রোগব্যাধি।
যখন হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী (রোগব্যাধি, ভাইরাস, জীবাণু ইত্যাদি) আপনার শরীরের কোষকে আক্রমণ করে, তখন আপনার রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা সেনাবাহিনীর মতো সংগঠিত হয়। তারা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে লাখ লাখ, কোটি কোটি আক্রমণকারী রোগজীবাণু মৃত্যুবরণ করে।
আপনি হয়তো কখনো কখনো অসুস্থ অনুভব করেন, নাক দিয়ে পানি আসে, জ্বর হয়, গলা ব্যথা করে। এর মানে হচ্ছে, আপনার ইমিউনিটি নামক সেনাবাহিনী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা খুবই জটিল। একে তুলনা করা হয় ঢাল বেয়ে এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গে ওঠার সঙ্গে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা কার্যক্রম মস্তিষ্কের চেয়েও জটিল।
এই ‘রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা’ শব্দের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। পরিচয় ছিল না ‘প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা’ শব্দটির সঙ্গে। করোনা মহামারি এসে মানুষকে এই নতুন শব্দের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, যারা টিকা ছাড়াই কোভিডজনিত রোগ থেকে সেরে উঠছে, তারা এই প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতার কারণেই সেরে উঠছে।
মানুষের মুখে মুখে এখন রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে কথা। টিকা, ডোজ, বুস্টার ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে উচ্চারিত হচ্ছে উন্নত রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা। সমগ্র মানবকুল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এটি অর্জনের জন্য। ইন্টারনেট ভরে গেছে ইমিউন-বর্ধক ঔষধি পণ্যে। ই-কমার্স সাইট আমাজনে প্রোটিন পাউডার, ভিটামিন বড়ি, রহস্যময় শিকড় ইত্যাদির লম্বা তালিকায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ।
কিন্তু অনেক মানুষ বুঝতেই পারছে না, কৃত্রিমভাবে (ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে) রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে গেলে শরীরের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্যই তা বিপজ্জনক হতে পারে। ইমিউনিটি এমন জিনিস নয়, যা আমরা সীমা ছাড়াই নিজের শরীরে ঢুকিয়ে দিতে পারি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাদী এই পৃথিবীতে উন্নতির প্রধান সিঁড়ি হচ্ছে ব্যবসা। আর ব্যবসার জন্য এই মুহূর্তে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নত করার ধারণার চেয়ে আকর্ষণীয় আর কিছু নেই। আমরা যে ধরনের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা চাই, তা কখনোই দিতে পারবে না এই ব্যবসায়ী সমাজ।
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যে শরীরের কোষগুলো নিজে থেকেই শিখতে পারে কখন, কীভাবে, কার সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এই কোষগুলো রোগের জীবাণুগুলোকে শনাক্ত করতে পারে এবং মনে রাখতে পারে। ফলে আপনার শরীর যখনই কোনো রোগের সম্মুখীন হয়, তখনই তারা লড়াই করতে শুরু করে।
একটি ভালো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং সঠিকভাবে কাজ করে। সুতরাং এই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার ধারণাটি হাস্যকর। একটি পুরোনো গ্রিক শব্দ আছে ‘হোমিওস্ট্যাসিস’, যার অর্থ সবকিছুর ভারসাম্য। আমাদের এই ভারসাম্য অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এমন একটি জটিল ব্যবস্থা, যাকে আরও শক্তিশালী করা হলে শরীরের অনেক কিছু ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তখন দেখা যাবে, একটি ছোটখাটো সংক্রমণের জন্য রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, আমরা কেউ জানি না কোন কোষের ধরন কেমন, তার কার্যক্রম কেমন, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় সে কীভাবে আচরণ করে থাকে। কেউ যদি আপনাকে বলার চেষ্টা করে, তিনি মানব কোষের সব কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খ জানেন, তাহলে ধরে নেবেন তিনি আপনার কাছে কিছু বিক্রি করতে চাইছেন।
আপাতত ওষুধপথ্য, সুপার ফিড বা পিলের মাধ্যমে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই। সুতরাং উন্নত রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বা সুপার ইমিউনিটি একধরনের কল্পকথা বা মিথ ছাড়া আর কিছু নয়।
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে