ডা. মো. বখতিয়ার
কবজি হলো মানবদেহের একটি জটিল সন্ধি। এটি কয়েকটি হাড়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। যেমন রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং আটটি ছোট ছোট কারপাল হাড় রয়েছে এতে। কারপাল হাড়গুলো দুই সারিতে সাজানো। লিগামেন্টের শক্ত ব্যান্ড কবজির হাড়গুলোকে একে অন্যের সঙ্গে, রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং হাতের হাড়গুলোকে সংযুক্ত করে। টেনডনগুলো হাড়ের সঙ্গে মাংসপেশিকে সংযুক্ত রাখে।
কবজির যেকোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা হতে পারে এবং হাত ও কবজি ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় এ ব্যথার কারণে হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যা হয়। চিকিৎসা না করালে সমস্যা আরও জটিল হয়। তাই কবজির ব্যথাকে মোটেও অবহেলা করা যাবে না। এতে সমস্যাই বাড়বে।
কারণ
হঠাৎ আঘাতের জন্য কবজিতে বেশি ব্যথা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মচকে গেলে বা হাড় ভেঙে গেলেও ব্যথা হতে পারে। অন্য কারণগুলোর মধ্যে আছে কবজিতে প্রচণ্ড চাপ ও বাত। তা ছাড়া, কারপাল টানেল সিনড্রোমের কারণেও কবজিতে ব্যথা হয়ে থাকে। হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনের দিকে পড়ে গেলে কবজি মচকে যায়, তাতে টান পড়ে এবং এর হাড় ভেঙে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। দেখা যায়, কবজিতে অস্টিও আর্থ্রাইটিস খুব কম হয়। তবে কারও কবজিতে আগে থেকে আঘাত থাকলে পরে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে তরুণাস্থি ছিঁড়ে যায় বা অনেক সময় ক্ষয় হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাত ও কবজির যেকোনো কাজ বারবার করলে কবজির ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের খেলা, যেমন ক্রিকেট, গলফ, হ্যান্ডবল বা টেনিস খেললে এবং কবজির প্রত্যক্ষ সংযোগ আছে—এমন বিভিন্ন জিমন্যাস্টিকসে অংশ নিলে, এমনকি কবজিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে কাজ করলেও ব্যথা হতে পারে।
চিকিৎসা
কবজির ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে ইনজুরি বা আঘাতের ধরন, স্থান, তীব্রতা, বয়স এবং রোগীর স্বাস্থ্যের ওপর। ব্যথা হলে প্রথমে কবজিকে বিশ্রামে রাখা বা কবজিতে যাতে কোনো চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ অবস্থায় যে হাতে ব্যথা সে হাত দিয়ে কোনো কাজ না করাই ভালো। আক্রান্ত হাতের কবজিকে নড়াচড়া থেকে রক্ষা করার জন্য রিস্ট ব্যান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে কবজিতে ব্যথা হয়ে থাকলে, তার জন্য সেই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কবজির ব্যথা উপশমে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন রয়েছে। যদি মারাত্মকভাবে হাড় ভেঙে যায়, কারপাল টানেল সিনড্রোমের উপসর্গ তীব্র হয় এবং টেনডন বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়, তাহলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
লেখক: জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদদোজা মডার্ণ হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
কবজি হলো মানবদেহের একটি জটিল সন্ধি। এটি কয়েকটি হাড়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। যেমন রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং আটটি ছোট ছোট কারপাল হাড় রয়েছে এতে। কারপাল হাড়গুলো দুই সারিতে সাজানো। লিগামেন্টের শক্ত ব্যান্ড কবজির হাড়গুলোকে একে অন্যের সঙ্গে, রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং হাতের হাড়গুলোকে সংযুক্ত করে। টেনডনগুলো হাড়ের সঙ্গে মাংসপেশিকে সংযুক্ত রাখে।
কবজির যেকোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা হতে পারে এবং হাত ও কবজি ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় এ ব্যথার কারণে হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যা হয়। চিকিৎসা না করালে সমস্যা আরও জটিল হয়। তাই কবজির ব্যথাকে মোটেও অবহেলা করা যাবে না। এতে সমস্যাই বাড়বে।
কারণ
হঠাৎ আঘাতের জন্য কবজিতে বেশি ব্যথা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মচকে গেলে বা হাড় ভেঙে গেলেও ব্যথা হতে পারে। অন্য কারণগুলোর মধ্যে আছে কবজিতে প্রচণ্ড চাপ ও বাত। তা ছাড়া, কারপাল টানেল সিনড্রোমের কারণেও কবজিতে ব্যথা হয়ে থাকে। হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনের দিকে পড়ে গেলে কবজি মচকে যায়, তাতে টান পড়ে এবং এর হাড় ভেঙে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। দেখা যায়, কবজিতে অস্টিও আর্থ্রাইটিস খুব কম হয়। তবে কারও কবজিতে আগে থেকে আঘাত থাকলে পরে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে তরুণাস্থি ছিঁড়ে যায় বা অনেক সময় ক্ষয় হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাত ও কবজির যেকোনো কাজ বারবার করলে কবজির ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের খেলা, যেমন ক্রিকেট, গলফ, হ্যান্ডবল বা টেনিস খেললে এবং কবজির প্রত্যক্ষ সংযোগ আছে—এমন বিভিন্ন জিমন্যাস্টিকসে অংশ নিলে, এমনকি কবজিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে কাজ করলেও ব্যথা হতে পারে।
চিকিৎসা
কবজির ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে ইনজুরি বা আঘাতের ধরন, স্থান, তীব্রতা, বয়স এবং রোগীর স্বাস্থ্যের ওপর। ব্যথা হলে প্রথমে কবজিকে বিশ্রামে রাখা বা কবজিতে যাতে কোনো চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ অবস্থায় যে হাতে ব্যথা সে হাত দিয়ে কোনো কাজ না করাই ভালো। আক্রান্ত হাতের কবজিকে নড়াচড়া থেকে রক্ষা করার জন্য রিস্ট ব্যান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে কবজিতে ব্যথা হয়ে থাকলে, তার জন্য সেই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কবজির ব্যথা উপশমে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন রয়েছে। যদি মারাত্মকভাবে হাড় ভেঙে যায়, কারপাল টানেল সিনড্রোমের উপসর্গ তীব্র হয় এবং টেনডন বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়, তাহলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
লেখক: জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদদোজা মডার্ণ হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে