ডা. মো. ছায়েদুল হক
১০ থেকে ১৬ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন, একসঙ্গে হাত ধরি গ্লুকোমামুক্ত পৃথিবী গড়ি’। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে চলছে বিভিন্ন আয়োজন।
চোখের জটিল রোগ গ্লুকোমা। এই রোগের ফলে যে অন্ধত্ব হয় এর কোনো প্রতিকার নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে এই রোগ প্রতিরোধ করতে। গ্লুকোমায় চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। কমতে থাকে দৃষ্টি। এমনকি একসময় রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ হয়ে যায়।
মূলত চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপের কারণে গ্লুকোমা হয়। বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের দ্বিতীয় প্রধান কারণ এটি। অনেক ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ বুঝে ওঠার আগেই চোখের স্নায়ু অনেক দূর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এ রোগ হলে দৃষ্টির পরিসীমা বা ব্যাপ্তি ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসে এবং দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি অনেক দিন অটুট থাকতে পারে। এই রোগে একবার দৃষ্টি যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ফলে চোখে গ্লুকোমা হলে রোগীকে সারা জীবন চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হয়। অনেকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে চলেন না বা ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করেন না বলে রোগটি নীরবে ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায়।
চোখের উচ্চ চাপকে গ্লুকোমার প্রধান কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়। চোখের অভ্যন্তরীণ চাপের ঊর্ধ্বসীমা ২১ মিমি। গ্লুকোমা হলে চোখের চাপ অনেক বেশি হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে। কিছু কিছু রোগের সঙ্গে এই রোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গ্লুকোমার রিস্ক ফ্যাক্টর
এগুলোর মধ্যে কেবল চোখের উচ্চ চাপই ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উপসর্গ
অনেক ক্ষেত্রে রোগী এই রোগের কোনো লক্ষণ বুঝতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় বা নিয়মিত চোখ পরীক্ষার সময় চিকিৎসক এ রোগে আক্রান্ত এটা বুঝতে পারেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে তা হলো:
চিকিৎসা
গ্লুকোমা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো এ রোগের চিকিৎসাও সারা জীবন করে যেতে হবে। এ রোগে দৃষ্টি যতটুকু কমে যায়, তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, সে জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। এ রোগে প্রধানত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে:
চিকিৎসক রোগীর চোখ পরীক্ষা করে, চাপের মাত্রা নির্ণয় করে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন। দীর্ঘদিন একটি ওষুধ ব্যবহারে তার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এ রকম কিছু হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। নিয়মিত চোখের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখতে হবে গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্ধত্ব প্রতিরোধের প্রধান শর্ত।
পরামর্শ: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, কনসালট্যান্ট, আইডিয়াল আই কেয়ার সেন্টার, দ্বিতীয় তলা, শ্যামলী, ঢাকা
১০ থেকে ১৬ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন, একসঙ্গে হাত ধরি গ্লুকোমামুক্ত পৃথিবী গড়ি’। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে চলছে বিভিন্ন আয়োজন।
চোখের জটিল রোগ গ্লুকোমা। এই রোগের ফলে যে অন্ধত্ব হয় এর কোনো প্রতিকার নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে এই রোগ প্রতিরোধ করতে। গ্লুকোমায় চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। কমতে থাকে দৃষ্টি। এমনকি একসময় রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ হয়ে যায়।
মূলত চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপের কারণে গ্লুকোমা হয়। বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের দ্বিতীয় প্রধান কারণ এটি। অনেক ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ বুঝে ওঠার আগেই চোখের স্নায়ু অনেক দূর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এ রোগ হলে দৃষ্টির পরিসীমা বা ব্যাপ্তি ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসে এবং দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি অনেক দিন অটুট থাকতে পারে। এই রোগে একবার দৃষ্টি যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ফলে চোখে গ্লুকোমা হলে রোগীকে সারা জীবন চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হয়। অনেকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে চলেন না বা ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করেন না বলে রোগটি নীরবে ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায়।
চোখের উচ্চ চাপকে গ্লুকোমার প্রধান কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়। চোখের অভ্যন্তরীণ চাপের ঊর্ধ্বসীমা ২১ মিমি। গ্লুকোমা হলে চোখের চাপ অনেক বেশি হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে। কিছু কিছু রোগের সঙ্গে এই রোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গ্লুকোমার রিস্ক ফ্যাক্টর
এগুলোর মধ্যে কেবল চোখের উচ্চ চাপই ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উপসর্গ
অনেক ক্ষেত্রে রোগী এই রোগের কোনো লক্ষণ বুঝতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় বা নিয়মিত চোখ পরীক্ষার সময় চিকিৎসক এ রোগে আক্রান্ত এটা বুঝতে পারেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে তা হলো:
চিকিৎসা
গ্লুকোমা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো এ রোগের চিকিৎসাও সারা জীবন করে যেতে হবে। এ রোগে দৃষ্টি যতটুকু কমে যায়, তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, সে জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। এ রোগে প্রধানত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে:
চিকিৎসক রোগীর চোখ পরীক্ষা করে, চাপের মাত্রা নির্ণয় করে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন। দীর্ঘদিন একটি ওষুধ ব্যবহারে তার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এ রকম কিছু হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। নিয়মিত চোখের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখতে হবে গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্ধত্ব প্রতিরোধের প্রধান শর্ত।
পরামর্শ: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, কনসালট্যান্ট, আইডিয়াল আই কেয়ার সেন্টার, দ্বিতীয় তলা, শ্যামলী, ঢাকা
টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড মি জিন পরীক্ষার জনপ্রিয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যম মানুষের ডিএনএ বা জিন পরীক্ষা করে। সেই তথ্য গ্রাহককে সরবরাহ করার পাশাপাশি কাছে সংগ্রহ করে রাখে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
২ দিন আগেহার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে হৃৎপিণ্ডের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি মারাত্মক হতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
৪ দিন আগেআমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন; বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা বা আধিক্য, ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন এই রোগে আক্রান্ত মানুষ।
৪ দিন আগেপুরো রমজান মাস আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার আমরা খেয়ে থাকি। তাই এ সময় আমাদের পরিপাকতন্ত্র বেশ নাজুক থাকে। বিশেষ করে যাদের হৃৎপিণ্ডের অসুখ আছে, তাদের জন্য ঈদের দিনগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪ দিন আগে