অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) আঞ্জুমান আরা বেগম (অব.)
গর্ভধারণ নারীজীবনের খুব কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এর প্রথম থেকে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলো গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
কোনো মাসে পিরিয়ড না হওয়াকে গর্ভধারণের লক্ষণ বলে মনে করেন অধিকাংশ বিবাহিত নারী। কিন্তু পিরিয়ড মিস হওয়াই গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ নয়। দেখা গেছে, পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও গর্ভধারণ করেছেন অনেকে। পিরিয়ড মিস হওয়া ছাড়াও শরীরের কিছু পরিবর্তন দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
বমিভাব বা গা গোলানো গর্ভধারণের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত এ লক্ষণ বেশি দেখা যায়। এ সময় শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের স্তর বাড়ায় এই সমস্যা হয়। সাধারণত সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর বমিভাব বা বমি বেশি হয় বলে একে মর্নিং সিকনেস বলা হয়।
গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহে অথবা তার পর থেকে স্তন ফুলে যাওয়া, ভারী হওয়া অথবা স্তনে ব্যথা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ। সাধারণত গর্ভবতীদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য এমনটা হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণের কারণেও এমন হতে পারে।
গর্ভধারণকালে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে সর্দি, কাশি কিংবা অন্যান্য রোগের সংক্রমণের কারণেও শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
অস্বাভাবিক রকম ক্লান্তি ও দুর্বলতা গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর অন্যতম। শরীরে বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য, ক্ষুধামান্দ্য এবং পরিমাণে অল্প খাবার খাওয়ার কারণেও এই দুর্বলতা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কখনো অনিয়মিত রক্তপাত, স্পটিং এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এই লক্ষণগুলো অনেক সময় নানা গুরুত্বপূর্ণ রোগ; যেমন গর্ভপাত, এক্টপিক প্রেগনেন্সি ও মোলার প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রেও দেখা যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্ষুধামান্দ্য ও অরুচির সমস্যায় ভোগেন অধিকাংশ গর্ভবতী। পছন্দের খাবারগুলোও আর আগের মতো খেতে পারেন না অনেকে। আবার দিনের বিশেষ কোনো সময়ে বিশেষ কোনো খাবার অথবা অস্বাভাবিক কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। সাধারণত শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া গর্ভধারণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। ওভুলেশন প্রক্রিয়ার পর গর্ভধারণ হলে দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব হতে পারে অনেকের। গর্ভাবস্থায় শরীরের রক্তের পরিমাণ বাড়ে। এ সময় কিডনি বেশি তরল নিঃসরণ করা শুরু করে। সে তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে জরায়ুর আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে প্রস্রাবের থলির ওপর চাপ পড়ে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থার অন্যতম লক্ষণ। শরীরে হরমোনের প্রভাবে পরিপাকের কাজের ধীরগতি, অপর্যাপ্ত পানি পান, শাকসবজি ও খাদ্য গ্রহণ এর উল্লেখযোগ্য কারণ।
গর্ভধারণের শুরুর দিন থেকে মাথাব্যথা অনুভব হতে পারে কারও কারও। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তসঞ্চালন এবং হরমোনের মাত্রা বাড়ার কারণে এমনটি হয়। মাথাব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরানো অনুভব হতে পারে।
করণীয়
লেখক: স্ত্রীরোগ, প্রসূতিবিদ্যা ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন, চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার লি., মিরপুর ১০, ঢাকা
গর্ভধারণ নারীজীবনের খুব কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এর প্রথম থেকে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলো গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
কোনো মাসে পিরিয়ড না হওয়াকে গর্ভধারণের লক্ষণ বলে মনে করেন অধিকাংশ বিবাহিত নারী। কিন্তু পিরিয়ড মিস হওয়াই গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ নয়। দেখা গেছে, পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও গর্ভধারণ করেছেন অনেকে। পিরিয়ড মিস হওয়া ছাড়াও শরীরের কিছু পরিবর্তন দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
বমিভাব বা গা গোলানো গর্ভধারণের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত এ লক্ষণ বেশি দেখা যায়। এ সময় শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের স্তর বাড়ায় এই সমস্যা হয়। সাধারণত সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর বমিভাব বা বমি বেশি হয় বলে একে মর্নিং সিকনেস বলা হয়।
গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহে অথবা তার পর থেকে স্তন ফুলে যাওয়া, ভারী হওয়া অথবা স্তনে ব্যথা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ। সাধারণত গর্ভবতীদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য এমনটা হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণের কারণেও এমন হতে পারে।
গর্ভধারণকালে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে সর্দি, কাশি কিংবা অন্যান্য রোগের সংক্রমণের কারণেও শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
অস্বাভাবিক রকম ক্লান্তি ও দুর্বলতা গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর অন্যতম। শরীরে বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য, ক্ষুধামান্দ্য এবং পরিমাণে অল্প খাবার খাওয়ার কারণেও এই দুর্বলতা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কখনো অনিয়মিত রক্তপাত, স্পটিং এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এই লক্ষণগুলো অনেক সময় নানা গুরুত্বপূর্ণ রোগ; যেমন গর্ভপাত, এক্টপিক প্রেগনেন্সি ও মোলার প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রেও দেখা যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্ষুধামান্দ্য ও অরুচির সমস্যায় ভোগেন অধিকাংশ গর্ভবতী। পছন্দের খাবারগুলোও আর আগের মতো খেতে পারেন না অনেকে। আবার দিনের বিশেষ কোনো সময়ে বিশেষ কোনো খাবার অথবা অস্বাভাবিক কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। সাধারণত শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া গর্ভধারণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। ওভুলেশন প্রক্রিয়ার পর গর্ভধারণ হলে দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব হতে পারে অনেকের। গর্ভাবস্থায় শরীরের রক্তের পরিমাণ বাড়ে। এ সময় কিডনি বেশি তরল নিঃসরণ করা শুরু করে। সে তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে জরায়ুর আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে প্রস্রাবের থলির ওপর চাপ পড়ে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থার অন্যতম লক্ষণ। শরীরে হরমোনের প্রভাবে পরিপাকের কাজের ধীরগতি, অপর্যাপ্ত পানি পান, শাকসবজি ও খাদ্য গ্রহণ এর উল্লেখযোগ্য কারণ।
গর্ভধারণের শুরুর দিন থেকে মাথাব্যথা অনুভব হতে পারে কারও কারও। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তসঞ্চালন এবং হরমোনের মাত্রা বাড়ার কারণে এমনটি হয়। মাথাব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরানো অনুভব হতে পারে।
করণীয়
লেখক: স্ত্রীরোগ, প্রসূতিবিদ্যা ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন, চেম্বার: আলোক হেলথ কেয়ার লি., মিরপুর ১০, ঢাকা
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৩ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৫ দিন আগে