অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং করার এই অভ্যাসটিকে বলা হয় ‘ডুমস্ক্রলিং’। এটি দিয়ে মূলত মানুষের নেতিবাচক খবর খোঁজা এবং পড়ে দেখার একটি প্রবণতাকে বোঝানো হয়। ফলে ডুমস্ক্রলিং মানুষের মন খারাপের কারণ হতে পারে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এটি মানুষের মন খারাপের কারণ হয়, সেই বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছেন বিজ
১৪ মিনিট আগেসুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগে