মাসুমা চৌধুরী
পিঙ্ক সল্ট
পিঙ্ক সল্ট আজকাল খুব জনপ্রিয় খাদ্য উপকরণ। কিছু মানুষ এতে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান আছে বলে মনে করলেও তার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই; বরং এতে পাওয়া গেছে কিছু ভারী ধাতব উপাদান, যেমন মারকারি, ক্যাডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণ করা হলে বরং শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
দেখতে সুন্দর ও স্বাদ বাড়ালেও গুণাগুণের দিকে তা সাদা খাবারের লবণের মতোই কার্যকর।
লাল আটা
সাদা আটার মতো লাল আটা গম থেকে তৈরি হলেও আঁশজাতীয় উপাদান থাকায় এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। একসময় গ্রামীণ এলাকায় ঢেঁকিতে গম মাড়িয়ে লাল আটা তৈরি হতো, যা আজকাল পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। লাল আটায় আরও আছে জিঙ্ক, ভিটামিন-বি১২, প্রোটিনসহ অন্যান্য উপকারী উপাদান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
লাল চাল
আমাদের দেশে পাওয়া লাল চালের মধ্যে আছে লাল বিরই চাল, লাল বিন্নি চাল ও ঢেঁকিছাঁটা লাল দেশি চাল। লাল চালে ফাইবার বা আঁশ বেশি থাকায় এটি খাবার গ্রহণ করার চাহিদা কমায়। পাশাপাশি অনেকক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে। এ ছাড়া লাল চালে আছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম ও প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুণ।
রাইস ব্রান অয়েল
এই তেল হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এতে ওরিজানোল নামের উপাদান আছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন-ই বেশি থাকায় এই তেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিপাক প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য এই তেলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ওজন নিয়ন্ত্রণেও এই তেল কার্যকর ভূমিকা রাখে। জাপান, চীন ও অন্য অনেক দেশে এই তেল ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
লাল চিনি
বাজারে পাওয়া বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগারকে লাল চিনি ভেবে অনেকে ভুল করেন। প্রকৃত লাল চিনি আখ থেকে তৈরি। এতে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ লবণ আছে। আমাদের দেশের বাজারে আখের এই লাল চিনি বেশ সুলভ এবং সাদা চিনি থেকে এই চিনি শরীরের জন্য বেশি উপকারী। তবে এতে আর্দ্রতা বেশি বলে ঝরঝরে ভাব কম থাকে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় যেকোনো চিনি খাওয়াই দেহের জন্য ক্ষতিকর।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
পিঙ্ক সল্ট
পিঙ্ক সল্ট আজকাল খুব জনপ্রিয় খাদ্য উপকরণ। কিছু মানুষ এতে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান আছে বলে মনে করলেও তার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই; বরং এতে পাওয়া গেছে কিছু ভারী ধাতব উপাদান, যেমন মারকারি, ক্যাডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণ করা হলে বরং শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
দেখতে সুন্দর ও স্বাদ বাড়ালেও গুণাগুণের দিকে তা সাদা খাবারের লবণের মতোই কার্যকর।
লাল আটা
সাদা আটার মতো লাল আটা গম থেকে তৈরি হলেও আঁশজাতীয় উপাদান থাকায় এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। একসময় গ্রামীণ এলাকায় ঢেঁকিতে গম মাড়িয়ে লাল আটা তৈরি হতো, যা আজকাল পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। লাল আটায় আরও আছে জিঙ্ক, ভিটামিন-বি১২, প্রোটিনসহ অন্যান্য উপকারী উপাদান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
লাল চাল
আমাদের দেশে পাওয়া লাল চালের মধ্যে আছে লাল বিরই চাল, লাল বিন্নি চাল ও ঢেঁকিছাঁটা লাল দেশি চাল। লাল চালে ফাইবার বা আঁশ বেশি থাকায় এটি খাবার গ্রহণ করার চাহিদা কমায়। পাশাপাশি অনেকক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে। এ ছাড়া লাল চালে আছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম ও প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুণ।
রাইস ব্রান অয়েল
এই তেল হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এতে ওরিজানোল নামের উপাদান আছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন-ই বেশি থাকায় এই তেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিপাক প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য এই তেলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ওজন নিয়ন্ত্রণেও এই তেল কার্যকর ভূমিকা রাখে। জাপান, চীন ও অন্য অনেক দেশে এই তেল ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
লাল চিনি
বাজারে পাওয়া বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগারকে লাল চিনি ভেবে অনেকে ভুল করেন। প্রকৃত লাল চিনি আখ থেকে তৈরি। এতে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ লবণ আছে। আমাদের দেশের বাজারে আখের এই লাল চিনি বেশ সুলভ এবং সাদা চিনি থেকে এই চিনি শরীরের জন্য বেশি উপকারী। তবে এতে আর্দ্রতা বেশি বলে ঝরঝরে ভাব কম থাকে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় যেকোনো চিনি খাওয়াই দেহের জন্য ক্ষতিকর।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে