ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
শিশুদের সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো ডায়াপার বা ন্যাপি র্যাশ। দীর্ঘ সময় একই ডায়াপার পরিধানে পায়খানা-প্রস্রাব ত্বকের সংস্পর্শে আসে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘাম। এসব একসঙ্গে তৈরি করে বিভিন্ন রকম সমস্যা।
যা করবেন
দুই ঘণ্টা অন্তর ডায়াপার বদলাতে হবে। ন্যাপি র্যাশ হয়ে গেলে সুদিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক সময় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, জিংক বা হাইড্রো কর্টিসনযুক্ত ক্রিম ব্যবহারের নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক সময় শিশুদের কাপড় ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ধোয়া হয়। এ কাপড়গুলো শিশুকে পরানো হলে ত্বকে নানা ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। এগুলোকে কন্টাক্ট ডারমাটাইটিস বলে।
তাই শিশুর কাপড় ধোয়ার সময় ক্ষারমুক্ত সাবান বেছে নিতে হবে। আজকাল বাজারে ফেব্রিক সফটনার পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক সময় শিশুর মুখের লালা গড়িয়ে পড়ে ঠোঁটের চারপাশে প্রদাহ হয়ে পেরিওরাল ডারমাটাইটিস সৃষ্টি করে।
ফিডারে দুধ খাওয়ানোর সময় দুধ গড়িয়ে গলা পর্যন্ত চলে যায়, ফলে গলার ভাঁজে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দেয়। তাই শিশুদের খাওয়ানোর সময় একটু খেয়াল রাখলেই এ সমস্যা এড়ানো যায়। আর যদি ইনফেকশন হয়েই যায়, তাহলে পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো আছেনই।
শিশুর যখন দুই মাস বয়স হয়, তখন তাদের মাথায় হলুদ রঙের একধরনের পদার্থ দেখা দেয়। মায়েরা হঠাৎ করে ভয় পেয়ে যান। এটি আসলে মাথার ওপর আরেকটি বাড়তি প্রলেপ। এর চিকিৎসাও খুব স্বাভাবিক, খুব সাধারণ। একটি বাড়তি আবরণ পড়ে বলে মায়েরা ঘষে ঘষে তোলার চেষ্টা করেন। এটি করবেন না। মিনারেল অয়েল বা প্রাকৃতিক তেল মাথায় দিয়ে এই লেয়ারকে নরম করে, নরম ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে পরে সাধারণ বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, আট মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটি চলে যায়।
নবজাতকের সঙ্গে কিন্তু আসেন নবজাতকের মা। যখন সন্তানকে কোলে নেবেন, তখন অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন। কারণ, শিশুর ত্বক আমাদের তুলনায় ৩০ শতাংশ পাতলা, তাই যেকোনো ধরনের জীবাণু কিন্তু শিশুকে সংক্রমিত করতে পারে। তাদের ত্বক অনেক স্পর্শকাতর ও নাজুক। যখন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব শিশুকে দেখতে আসবেন, তখন হাত জীবাণুমুক্ত করে নেবেন। এতে শিশু জীবাণুর হাত থেকে
রক্ষা পাবে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
শিশুদের সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো ডায়াপার বা ন্যাপি র্যাশ। দীর্ঘ সময় একই ডায়াপার পরিধানে পায়খানা-প্রস্রাব ত্বকের সংস্পর্শে আসে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘাম। এসব একসঙ্গে তৈরি করে বিভিন্ন রকম সমস্যা।
যা করবেন
দুই ঘণ্টা অন্তর ডায়াপার বদলাতে হবে। ন্যাপি র্যাশ হয়ে গেলে সুদিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক সময় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, জিংক বা হাইড্রো কর্টিসনযুক্ত ক্রিম ব্যবহারের নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক সময় শিশুদের কাপড় ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ধোয়া হয়। এ কাপড়গুলো শিশুকে পরানো হলে ত্বকে নানা ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। এগুলোকে কন্টাক্ট ডারমাটাইটিস বলে।
তাই শিশুর কাপড় ধোয়ার সময় ক্ষারমুক্ত সাবান বেছে নিতে হবে। আজকাল বাজারে ফেব্রিক সফটনার পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক সময় শিশুর মুখের লালা গড়িয়ে পড়ে ঠোঁটের চারপাশে প্রদাহ হয়ে পেরিওরাল ডারমাটাইটিস সৃষ্টি করে।
ফিডারে দুধ খাওয়ানোর সময় দুধ গড়িয়ে গলা পর্যন্ত চলে যায়, ফলে গলার ভাঁজে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দেয়। তাই শিশুদের খাওয়ানোর সময় একটু খেয়াল রাখলেই এ সমস্যা এড়ানো যায়। আর যদি ইনফেকশন হয়েই যায়, তাহলে পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো আছেনই।
শিশুর যখন দুই মাস বয়স হয়, তখন তাদের মাথায় হলুদ রঙের একধরনের পদার্থ দেখা দেয়। মায়েরা হঠাৎ করে ভয় পেয়ে যান। এটি আসলে মাথার ওপর আরেকটি বাড়তি প্রলেপ। এর চিকিৎসাও খুব স্বাভাবিক, খুব সাধারণ। একটি বাড়তি আবরণ পড়ে বলে মায়েরা ঘষে ঘষে তোলার চেষ্টা করেন। এটি করবেন না। মিনারেল অয়েল বা প্রাকৃতিক তেল মাথায় দিয়ে এই লেয়ারকে নরম করে, নরম ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে পরে সাধারণ বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, আট মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটি চলে যায়।
নবজাতকের সঙ্গে কিন্তু আসেন নবজাতকের মা। যখন সন্তানকে কোলে নেবেন, তখন অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন। কারণ, শিশুর ত্বক আমাদের তুলনায় ৩০ শতাংশ পাতলা, তাই যেকোনো ধরনের জীবাণু কিন্তু শিশুকে সংক্রমিত করতে পারে। তাদের ত্বক অনেক স্পর্শকাতর ও নাজুক। যখন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব শিশুকে দেখতে আসবেন, তখন হাত জীবাণুমুক্ত করে নেবেন। এতে শিশু জীবাণুর হাত থেকে
রক্ষা পাবে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগে