ডা. মনিরুল ইসলাম
শিশুদের শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। নবজাতক থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া শিশুদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা যায়। আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ফুসফুস থেকে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেনকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বহন করে থাকে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তের অন্যতম উপাদান লোহিতকণিকা বা রেড ব্লাড সেলের কোষগুলো ছোট ও বর্ণহীন হয়ে যায়। যাকে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা বলে।
রক্তশূন্যতার কারণ
আরবিসির সংখ্যা কমে যাওয়া শিশুর শরীরে আরবিসি বা রেড ব্লাড সেল বা লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। এটি মস্তিষ্ক ও শিশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে। অস্থিমজ্জায় নতুন নতুন লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয় এবং তা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরে সঞ্চারিত হয়। এটি কমে গেলে শিশুর রক্তাল্পতা দেখা দেয়। নবজাতক সাধারণত উচ্চমাত্রার হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। দুই মাস পর থেকে এর পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। এরপর পুনরায় আরবিসি উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলে। শুধু মায়ের দুধ পানই এর জন্য যথেষ্ট।
দেহে যখন সুস্থ লোহিতকণিকা তৈরি হয় না, তখনো এ সংকট তৈরি হয়। এর বিভিন্ন কারণ আছে। আয়রন বা অন্যান্য উপাদানের ঘাটতি প্রধানতম। দুই বছরের কম বয়সী শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালে শিশুর অ্যানিমিয়া প্রধানত আয়রন ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে; বিশেষ করে কন্যাশিশুর যখন মাসিক শুরু হয়, তখন সমস্যা হয়ে থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা
দীর্ঘদিন অসুখে ভোগা শিশুর সহজে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ক্রনিক কিডনি, হাইপোথাইরয়েডিজম, এডিসনস ডিজিজ, পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা ইত্যাদি কারণে আরবিসি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন মেলে না বা পরিমাণ কমে যায়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা শিশুদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। সিসা পয়জনিংয়ের শিকার হলেও শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। হিমোগ্লোবিনের আয়রন অংশজাত হিম তৈরিতে বিষাক্ত সিসা বাধা দেয়।
লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া
লক্ষণ
যেসব পরীক্ষা করাতে হবে
চিকিৎসা
ডা. মনিরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ , ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
শিশুদের শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। নবজাতক থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া শিশুদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা যায়। আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ফুসফুস থেকে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেনকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বহন করে থাকে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তের অন্যতম উপাদান লোহিতকণিকা বা রেড ব্লাড সেলের কোষগুলো ছোট ও বর্ণহীন হয়ে যায়। যাকে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা বলে।
রক্তশূন্যতার কারণ
আরবিসির সংখ্যা কমে যাওয়া শিশুর শরীরে আরবিসি বা রেড ব্লাড সেল বা লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। এটি মস্তিষ্ক ও শিশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে। অস্থিমজ্জায় নতুন নতুন লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয় এবং তা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরে সঞ্চারিত হয়। এটি কমে গেলে শিশুর রক্তাল্পতা দেখা দেয়। নবজাতক সাধারণত উচ্চমাত্রার হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। দুই মাস পর থেকে এর পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। এরপর পুনরায় আরবিসি উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলে। শুধু মায়ের দুধ পানই এর জন্য যথেষ্ট।
দেহে যখন সুস্থ লোহিতকণিকা তৈরি হয় না, তখনো এ সংকট তৈরি হয়। এর বিভিন্ন কারণ আছে। আয়রন বা অন্যান্য উপাদানের ঘাটতি প্রধানতম। দুই বছরের কম বয়সী শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালে শিশুর অ্যানিমিয়া প্রধানত আয়রন ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে; বিশেষ করে কন্যাশিশুর যখন মাসিক শুরু হয়, তখন সমস্যা হয়ে থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা
দীর্ঘদিন অসুখে ভোগা শিশুর সহজে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ক্রনিক কিডনি, হাইপোথাইরয়েডিজম, এডিসনস ডিজিজ, পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা ইত্যাদি কারণে আরবিসি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন মেলে না বা পরিমাণ কমে যায়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা শিশুদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। সিসা পয়জনিংয়ের শিকার হলেও শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। হিমোগ্লোবিনের আয়রন অংশজাত হিম তৈরিতে বিষাক্ত সিসা বাধা দেয়।
লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া
লক্ষণ
যেসব পরীক্ষা করাতে হবে
চিকিৎসা
ডা. মনিরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ , ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে