অধ্যাপক ডা. বখতিয়ার কামাল
অপুষ্টি এবং কোনো কোনো রোগের কারণে চুল পড়ার হার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল পাতলা হয়। বাড়তে থাকে চুল কমে যাওয়ার হার। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বংশগতির প্রভাবও। এ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে রোগবালাই ও অপুষ্টির কারণে নারী-পুরুষ উভয়েরই চুল পড়তে পারে যেকোনো বয়সে।
মানুষের মাথার প্রতিটি চুলের আছে নিজস্ব আয়ু। আয়ু শেষে প্রতিটি চুল ঝরে যায় আর তার গোড়ায় বা ফলিকলে জন্ম নেয় নতুন চুল। এই ভাঙাগড়ার খেলা চলতেই থাকে। চুলের এই জীবনচক্রের কয়েকটা পর্যায় আছে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এ কারণে বয়স্ক পুরুষদের মাথায় টাক পড়ে, যাকে বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া। এতে চুলের জীবনচক্রের প্রথম ধাপ বা চুল জন্মানো ও বৃদ্ধির দীর্ঘতম পর্যায়, যেটি অ্যানাজেন স্টেজ নামে পরিচিত, সে ধাপটি ছোট হয়ে আসে। অন্যদিকে টেলোজেন বা রেস্টিং স্টেজ বা চুলের জীবনচক্রের চূড়ান্ত ধাপ, সেটি হয়ে পড়ে দীর্ঘ। ফলে চুল পাতলা ও ছোট ছোট দেখায়, কিছু ফলিকল বা গোড়া খালি বা শূন্য হয়ে যেতে পারে। এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নারীদেরও এ পরিবর্তন কিছু না কিছু ঘটে। এই পরিবর্তন বয়স ও হরমোনজনিত।
কোনো কোনো রোগবালাই ও অপুষ্টির কারণে চুল পড়ার হার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। যেমন আমিষের স্বল্পতা, ভিটামিন ‘ডি’ কিংবা আয়রনের অভাব। ক্যানসারের কারণে যে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়, তারপরও ব্যাপক হারে চুল পড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যেমন টাইফয়েড, যক্ষ্মা, এমনকি কোভিড-১৯ ইত্যাদির পরও চুল পড়তে দেখা যায়। ইপোথাইরয়েডিজম বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের মতো হরমোনজাতীয় রোগে চুল পড়ে। গোড়ায় খুশকি ও ছত্রাকের সংক্রমণের কারণেও চুল পড়তে পারে। এসব ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত কারণটির চিকিৎসা করালে অনেক সময় চুল পড়া বন্ধ হয়। নিজে নিজে কখনোই চুল পড়ার চিকিৎসা করা যাবে না। তাতে এর হার বাড়তে থাকবে।
অধ্যাপক ডা. বখতিয়ার কামাল, বিভাগীয় প্রধান, কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার
অপুষ্টি এবং কোনো কোনো রোগের কারণে চুল পড়ার হার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল পাতলা হয়। বাড়তে থাকে চুল কমে যাওয়ার হার। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বংশগতির প্রভাবও। এ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে রোগবালাই ও অপুষ্টির কারণে নারী-পুরুষ উভয়েরই চুল পড়তে পারে যেকোনো বয়সে।
মানুষের মাথার প্রতিটি চুলের আছে নিজস্ব আয়ু। আয়ু শেষে প্রতিটি চুল ঝরে যায় আর তার গোড়ায় বা ফলিকলে জন্ম নেয় নতুন চুল। এই ভাঙাগড়ার খেলা চলতেই থাকে। চুলের এই জীবনচক্রের কয়েকটা পর্যায় আছে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এ কারণে বয়স্ক পুরুষদের মাথায় টাক পড়ে, যাকে বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া। এতে চুলের জীবনচক্রের প্রথম ধাপ বা চুল জন্মানো ও বৃদ্ধির দীর্ঘতম পর্যায়, যেটি অ্যানাজেন স্টেজ নামে পরিচিত, সে ধাপটি ছোট হয়ে আসে। অন্যদিকে টেলোজেন বা রেস্টিং স্টেজ বা চুলের জীবনচক্রের চূড়ান্ত ধাপ, সেটি হয়ে পড়ে দীর্ঘ। ফলে চুল পাতলা ও ছোট ছোট দেখায়, কিছু ফলিকল বা গোড়া খালি বা শূন্য হয়ে যেতে পারে। এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নারীদেরও এ পরিবর্তন কিছু না কিছু ঘটে। এই পরিবর্তন বয়স ও হরমোনজনিত।
কোনো কোনো রোগবালাই ও অপুষ্টির কারণে চুল পড়ার হার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। যেমন আমিষের স্বল্পতা, ভিটামিন ‘ডি’ কিংবা আয়রনের অভাব। ক্যানসারের কারণে যে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়, তারপরও ব্যাপক হারে চুল পড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যেমন টাইফয়েড, যক্ষ্মা, এমনকি কোভিড-১৯ ইত্যাদির পরও চুল পড়তে দেখা যায়। ইপোথাইরয়েডিজম বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের মতো হরমোনজাতীয় রোগে চুল পড়ে। গোড়ায় খুশকি ও ছত্রাকের সংক্রমণের কারণেও চুল পড়তে পারে। এসব ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত কারণটির চিকিৎসা করালে অনেক সময় চুল পড়া বন্ধ হয়। নিজে নিজে কখনোই চুল পড়ার চিকিৎসা করা যাবে না। তাতে এর হার বাড়তে থাকবে।
অধ্যাপক ডা. বখতিয়ার কামাল, বিভাগীয় প্রধান, কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে