অধ্যাপক ডা. এস এম এ এরফান
পায়ুপথের বিভিন্ন রোগে সর্বাধুনিক একটি চিকিৎসা হলো লেজার অপারেশন। পায়ুপথের বিভিন্ন রোগ, যেমন পাইলস, এনাল ফিসার, এনাল ফিস্টুলা, এনাল স্টেনোসিস ইত্যাদি রোগে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো কাটাছেঁড়া করতে হয় না বলে ক্ষত ও রক্তপাত হয় না। ফলে সেলাইও করতে হয় না। এ জন্য পায়ুপথে ব্যথা, ক্ষত ইত্যাদি থাকে না। দীর্ঘদিন ড্রেসিং করা, গরম পানিতে বসা— যা সাধারণত পায়ুপথের বিভিন্ন অপারেশন করতে হয়। লেজার চিকিৎসায় এসবের প্রয়োজন হয় না।
পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের অপারেশনে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সাধারণত যেকোনো অপারেশনের পর সে জায়গাটি সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত রাখতে হয় বলে তা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। কিন্তু পায়ুপথের কোনো অপারেশন সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে শেষ করা সম্ভব হয় না। কারণ সেখানে স্বাভাবিকভাবে কোটি কোটি জীবাণু থাকে এবং অপারেশনের পরেও রোগীকে মলত্যাগ করতে হয়। এ জন্য প্রতি মুহূর্তে অপারেশনের জায়গাটিতে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। এ ছাড়া পায়ুপথ সব সময় ব্যবহারের ফলে বিশ্রামও পায় না।
এই বিশ্রাম যেকোনো অপারেশন সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত। ফলে পায়ুপথ কেটে অপারেশন করলে সে ক্ষত সহজে ভালো হতে চায় না। কখনো কখনো ক্ষত শুকাতে ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। অন্যদিকে পায়ুপথে স্নায়ু বা নার্ভ অনেক বেশি থাকায় অপারেশনে তীব্র ব্যথা হয়। এ জন্য পায়ুপথের কোনো রোগে অপারেশনের কথা বললে বেশির ভাগ রোগী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বর্তমানে লেজার অপারেশন পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। পাইলস, এনাল ফিসার, ফিস্টুলা যা-ই হোক না কেন, লেজার চিকিৎসায় কোনো কাটাছেঁড়ার ভয় নেই। একটি সুইয়ের মতো অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে পায়ুপথের বিভিন্ন জায়গায় লেজার প্রয়োগ করা হয়। এতে জটিল হিসাব–নিকাশ করতে হয়। এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট জায়গায় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে এই লেজার প্রয়োগ করতে হয়।
দেশে এখন এ পদ্ধতির চিকিৎসা চলছে।
লেখক: কলোরেকটাল ও হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, শ্যামলী, ঢাকা
পায়ুপথের বিভিন্ন রোগে সর্বাধুনিক একটি চিকিৎসা হলো লেজার অপারেশন। পায়ুপথের বিভিন্ন রোগ, যেমন পাইলস, এনাল ফিসার, এনাল ফিস্টুলা, এনাল স্টেনোসিস ইত্যাদি রোগে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো কাটাছেঁড়া করতে হয় না বলে ক্ষত ও রক্তপাত হয় না। ফলে সেলাইও করতে হয় না। এ জন্য পায়ুপথে ব্যথা, ক্ষত ইত্যাদি থাকে না। দীর্ঘদিন ড্রেসিং করা, গরম পানিতে বসা— যা সাধারণত পায়ুপথের বিভিন্ন অপারেশন করতে হয়। লেজার চিকিৎসায় এসবের প্রয়োজন হয় না।
পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের অপারেশনে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সাধারণত যেকোনো অপারেশনের পর সে জায়গাটি সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত রাখতে হয় বলে তা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। কিন্তু পায়ুপথের কোনো অপারেশন সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে শেষ করা সম্ভব হয় না। কারণ সেখানে স্বাভাবিকভাবে কোটি কোটি জীবাণু থাকে এবং অপারেশনের পরেও রোগীকে মলত্যাগ করতে হয়। এ জন্য প্রতি মুহূর্তে অপারেশনের জায়গাটিতে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। এ ছাড়া পায়ুপথ সব সময় ব্যবহারের ফলে বিশ্রামও পায় না।
এই বিশ্রাম যেকোনো অপারেশন সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত। ফলে পায়ুপথ কেটে অপারেশন করলে সে ক্ষত সহজে ভালো হতে চায় না। কখনো কখনো ক্ষত শুকাতে ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। অন্যদিকে পায়ুপথে স্নায়ু বা নার্ভ অনেক বেশি থাকায় অপারেশনে তীব্র ব্যথা হয়। এ জন্য পায়ুপথের কোনো রোগে অপারেশনের কথা বললে বেশির ভাগ রোগী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বর্তমানে লেজার অপারেশন পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। পাইলস, এনাল ফিসার, ফিস্টুলা যা-ই হোক না কেন, লেজার চিকিৎসায় কোনো কাটাছেঁড়ার ভয় নেই। একটি সুইয়ের মতো অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে পায়ুপথের বিভিন্ন জায়গায় লেজার প্রয়োগ করা হয়। এতে জটিল হিসাব–নিকাশ করতে হয়। এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট জায়গায় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে এই লেজার প্রয়োগ করতে হয়।
দেশে এখন এ পদ্ধতির চিকিৎসা চলছে।
লেখক: কলোরেকটাল ও হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, শ্যামলী, ঢাকা
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’ এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে।
১৬ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাস এসে গেছে। তীব্র গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবার। গরম একা আসে না, সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখও নিয়ে আসে। এই গরমে যে যতই লেবুর শরবত আর ফ্যানের বাতাসে নিজেকে বাঁচাতে চান না কেন, রোগবালাই কিন্তু লুকিয়ে বসে আছে ঠিকই! তাই জানতে হবে গরমের বিশেষ পাঁচ রোগ এবং এর সমাধান।
১৬ ঘণ্টা আগেআমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানবস্বাস্থ্য। শব্দদূষণ বা অতিরিক্ত কোলাহল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর বিষয়টি আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে, শুধু ইউরোপেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ
১৬ ঘণ্টা আগেশেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ
১৬ ঘণ্টা আগে