অনলাইন ডেস্ক
অস্ত্রোপচারে কাঁচি চালানোর বিষয়টি সব সময় একরকম হয় না। এ ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসকই সোজাসুজি কাঁচি চালানোর পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেন। তবে অস্ত্রোপচারে জিগজ্যাগ পদ্ধতিটিও বেছে নিচ্ছেন অনেক শল্য চিকিৎসক।
একটি গবেষণার আলোকে বুধবার সায়েন্স অ্যালার্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারজনিত ক্ষতচিহ্ন কম হয় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে।
অস্ত্রোপচারে জিগজ্যাগ পদ্ধতি হলো- ত্বক কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সোজাসুজি না কেটে বাঁকা করে বা ঢেউখেলানো উপায়ে কর্তন।
অস্ত্রোপচারের এ দুটি পদ্ধতি নিয়ে সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির একদল বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, সোজা বা সমান্তরালভাবে কাঁচি চালানো এবং জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে কাঁচি চালানোর বিষয়টি শরীরের প্রয়োগ স্থানের কোষগুলোর ওপর ভিন্নভাবে কাজ করে। গবেষণায় প্রাপ্ত এই ফলাফল অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
বায়োসিনথেটিক বা কৃত্রিম জৈব বস্তুর ওপর দুটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে ৬৪ ঘণ্টার এক পর্যবেক্ষণে গবেষকেরা অবাক করা ফলাফল পেয়েছেন। তারা দেখেছেন, সোজা কাঁচি চালানোর চেয়ে জিগজ্যাগ উপায়ে কাঁচি চালালে প্রয়োগ স্থানটি পাঁচগুণ দ্রুত নিরাময় হয়। কোষের বিন্যাসজনিত কারণেই এমনটি হয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য এবং নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জিমি হাইসিয়া বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকে জানতেন যে, প্রয়োগ স্থানটি কত দ্রুত নিরাময় হবে-তা নির্ভর করে আপনি অস্ত্রোপচারের সময় কীভাবে কাঁচি চালাবেন তার ওপর।’
তবে অস্ত্রোপচারে কাঁচি চালানোর পদ্ধতিগুলো নিরাময়ের ক্ষেত্রে কীভাবে পার্থক্য গড়ে দেয় তা বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না বলেও জানান জিমি।
বিষয়টি বুঝতে জিমি এবং তার সঙ্গীরা একটি মাইক্রো প্যাটার্ন হাইড্রোজেল থেকে তৈরি ত্বকে কাঁচি চালালে কিভাবে ‘ম্যাডিন-ডার্বি ক্যানি কিডনি’ (এমডিসিকে) কোষগুলো ক্ষতগুলোর ফাঁক বন্ধ করে তার ওপর অনুসন্ধান চালান।
১৯৫৮ সালে ‘ম্যাডিন-ডার্বি ক্যানি কিডনি’ (এমডিসিকে) পদ্ধতিতে কুকুরের কিডনি থেকে যেসব অ্যাপিথেলিয়াল কোষ ব্যবহার করা হয়েছিল একই ধরনের কোষ মনুষ্য ত্বকেও বিরাজমান। অ্যাপিথেলিয়াল কোষগুলো কাঠামোগত টিস্যু তৈরি করে যা আমাদের বাহ্যিক ত্বক গঠন করে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে সংযুক্ত করে। ভ্রূণের উন্নয়ন, টিস্যু মেরামত এবং ক্ষতস্থান ভালো হওয়ার বিষয়গুলো মূলত এই টিস্যুর ওপরই নির্ভর করে।
৩০ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার প্রসারিত কর্তনে এমডিসিকে কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা দেখার জন্য গবেষকেরা ‘পার্টিক্যাল ইমেজ ভেলোসিটি’ নামে একটি একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।
এ বিষয়ে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জু হংমেই জানান, সোজাসুজি কর্তনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে বক্র কর্তনে প্রয়োগ স্থানের কোষগুলো চারপাশে নড়াচড়া করার আরও বেশি সুযোগ পায়।
সোজাসুজি কর্তনের কাছাকাছি থাকা কোষগুলো একটি প্রান্তসীমায় গিয়ে আটকে যায়, যেখানে বক্র কর্তনের ক্ষেত্রে কোষগুলো ঘূর্ণন পথ ব্যবহারের সুযোগ পায়।
জো ব্যাখ্যা করেন, ঘূর্ণন পথ ব্যবহার করে নড়াচড়ার সুযোগ বেশি থাকায় সোজাসুজির চেয়ে বক্র কর্তনে একটি কোষ কর্তন সীমার অন্যপাশে থাকা একই ধরনের অন্য কোষগুলোর সঙ্গে দ্রুত সংযুক্ত হয়ে একটি সেতু তৈরি করতে পারে। আর এ বিষয়টিই প্রয়োগ স্থানটি দ্রুত নিরাময়ের ক্ষেত্রে দুই পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
গবেষক আরেক সদস্য ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হুয়াং চেংজিন উপসংহার টেনে বলেন, ‘এই জ্ঞান ব্যবহার করে শল্য চিকিৎসকেরা ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার এবং ক্ষত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের কৌশলকে আরও উন্নীত করতে পারেন।’
অস্ত্রোপচারে কাঁচি চালানোর বিষয়টি সব সময় একরকম হয় না। এ ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসকই সোজাসুজি কাঁচি চালানোর পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেন। তবে অস্ত্রোপচারে জিগজ্যাগ পদ্ধতিটিও বেছে নিচ্ছেন অনেক শল্য চিকিৎসক।
একটি গবেষণার আলোকে বুধবার সায়েন্স অ্যালার্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারজনিত ক্ষতচিহ্ন কম হয় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে।
অস্ত্রোপচারে জিগজ্যাগ পদ্ধতি হলো- ত্বক কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সোজাসুজি না কেটে বাঁকা করে বা ঢেউখেলানো উপায়ে কর্তন।
অস্ত্রোপচারের এ দুটি পদ্ধতি নিয়ে সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির একদল বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, সোজা বা সমান্তরালভাবে কাঁচি চালানো এবং জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে কাঁচি চালানোর বিষয়টি শরীরের প্রয়োগ স্থানের কোষগুলোর ওপর ভিন্নভাবে কাজ করে। গবেষণায় প্রাপ্ত এই ফলাফল অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
বায়োসিনথেটিক বা কৃত্রিম জৈব বস্তুর ওপর দুটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে ৬৪ ঘণ্টার এক পর্যবেক্ষণে গবেষকেরা অবাক করা ফলাফল পেয়েছেন। তারা দেখেছেন, সোজা কাঁচি চালানোর চেয়ে জিগজ্যাগ উপায়ে কাঁচি চালালে প্রয়োগ স্থানটি পাঁচগুণ দ্রুত নিরাময় হয়। কোষের বিন্যাসজনিত কারণেই এমনটি হয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য এবং নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জিমি হাইসিয়া বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকে জানতেন যে, প্রয়োগ স্থানটি কত দ্রুত নিরাময় হবে-তা নির্ভর করে আপনি অস্ত্রোপচারের সময় কীভাবে কাঁচি চালাবেন তার ওপর।’
তবে অস্ত্রোপচারে কাঁচি চালানোর পদ্ধতিগুলো নিরাময়ের ক্ষেত্রে কীভাবে পার্থক্য গড়ে দেয় তা বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না বলেও জানান জিমি।
বিষয়টি বুঝতে জিমি এবং তার সঙ্গীরা একটি মাইক্রো প্যাটার্ন হাইড্রোজেল থেকে তৈরি ত্বকে কাঁচি চালালে কিভাবে ‘ম্যাডিন-ডার্বি ক্যানি কিডনি’ (এমডিসিকে) কোষগুলো ক্ষতগুলোর ফাঁক বন্ধ করে তার ওপর অনুসন্ধান চালান।
১৯৫৮ সালে ‘ম্যাডিন-ডার্বি ক্যানি কিডনি’ (এমডিসিকে) পদ্ধতিতে কুকুরের কিডনি থেকে যেসব অ্যাপিথেলিয়াল কোষ ব্যবহার করা হয়েছিল একই ধরনের কোষ মনুষ্য ত্বকেও বিরাজমান। অ্যাপিথেলিয়াল কোষগুলো কাঠামোগত টিস্যু তৈরি করে যা আমাদের বাহ্যিক ত্বক গঠন করে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে সংযুক্ত করে। ভ্রূণের উন্নয়ন, টিস্যু মেরামত এবং ক্ষতস্থান ভালো হওয়ার বিষয়গুলো মূলত এই টিস্যুর ওপরই নির্ভর করে।
৩০ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার প্রসারিত কর্তনে এমডিসিকে কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা দেখার জন্য গবেষকেরা ‘পার্টিক্যাল ইমেজ ভেলোসিটি’ নামে একটি একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।
এ বিষয়ে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জু হংমেই জানান, সোজাসুজি কর্তনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে বক্র কর্তনে প্রয়োগ স্থানের কোষগুলো চারপাশে নড়াচড়া করার আরও বেশি সুযোগ পায়।
সোজাসুজি কর্তনের কাছাকাছি থাকা কোষগুলো একটি প্রান্তসীমায় গিয়ে আটকে যায়, যেখানে বক্র কর্তনের ক্ষেত্রে কোষগুলো ঘূর্ণন পথ ব্যবহারের সুযোগ পায়।
জো ব্যাখ্যা করেন, ঘূর্ণন পথ ব্যবহার করে নড়াচড়ার সুযোগ বেশি থাকায় সোজাসুজির চেয়ে বক্র কর্তনে একটি কোষ কর্তন সীমার অন্যপাশে থাকা একই ধরনের অন্য কোষগুলোর সঙ্গে দ্রুত সংযুক্ত হয়ে একটি সেতু তৈরি করতে পারে। আর এ বিষয়টিই প্রয়োগ স্থানটি দ্রুত নিরাময়ের ক্ষেত্রে দুই পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
গবেষক আরেক সদস্য ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হুয়াং চেংজিন উপসংহার টেনে বলেন, ‘এই জ্ঞান ব্যবহার করে শল্য চিকিৎসকেরা ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার এবং ক্ষত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের কৌশলকে আরও উন্নীত করতে পারেন।’
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
১ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
২ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
২ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
২ দিন আগে