গুরুতর অসুস্থ হন না ওমিক্রনে আক্রান্তরা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তরা গুরুতর অসুস্থ হন না। আজ শনিবার রাশিয়ান বার্তা সংস্থা স্পুতনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। 

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের নাম দেয় ‘ওমিক্রন’। নতুন ধরনটির নাম গ্রিক বর্ণমালার ১৫তম অক্ষরের নামে রাখা হয়েছে। 

 দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেন, নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীদের এক থেকে দু দিন পেশিতে ব্যথা এবং ক্লান্তিবোধ থাকে। এখনো পর্যন্ত রোগীরা স্বাদ বা গন্ধ হারানোর কথা জানাননি। তবে হালকা কাশির কথা জানিয়েছেন।  আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন
 
দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া কেউ নেই। 

এ প্রসঙ্গে কোয়েটজি বলেন, মাত্র দু সপ্তাহ হয়েছে এটি সম্পর্কে জেনেছি। হ্যাঁ স্বীকার করছি এটি সংক্রামক। তবে বুঝতে পারছি না এটি নিয়ে কেন হইচই হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। আমরা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরেই জানতে পারব কারণ কিছু রোগী ভর্তি আছে এবং তারা ৪০ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সী যুবক।

এরই মধ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে বেশ কিছু দেশ। এই সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করে কোয়েটজি বলেন, এটি কতটা বিপজ্জনক সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য নেই।

প্রাথমিকভাবে করোনার ধরনটির নাম দেওয়া হয়েছিল বি.১.১.৫২৯। গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা এই ধরন শনাক্তের খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানায়। পরে বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েলে এই ধরন পাওয়া যায়। 

নতুন এই ধরন বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে বলা হয়, ওমিক্রন ধরনের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে তাতে সংক্রমণের মাত্রা আবারও মহামারির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রনের সংক্রমণের ক্ষমতা, শারীরিক জটিলতা, চিকিৎসা ও টিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউকে, আইরিশ বা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা নয় এমন কেউ দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো এবং এসওয়াতিনি থেকে ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব দেশের সঙ্গে সোমবার থেকে বিমান যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং সুইজারল্যান্ডও সাময়িকভাবে ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, চীনের উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর। ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সময়ের সঙ্গে ভাইরাসটি রূপ বদলে আলফা, বেটা, গামা, ডেলটার মতো বহু ধরন সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে সংক্রমণের মাত্রায় ও তৃতীয় ঢেউ শেষ হয়ে ওমিক্রনের প্রভাবে চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত