অনলাইন ডেস্ক
পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। লিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বিক্ষোভের জেরে পেরুর বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র মাচুপিচু ও ইনকা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
গত শুক্রবার রাজধানী লিমাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও কাচের বোতল ছুড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
এদিকে প্রসিকিউটর অফিসের অপরাধ প্রতিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা আলফনসো ব্যারেনেচিয়া স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে বলেছেন, লিমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী চুরির অভিযোগে ২০৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লিমা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার গভীর রাতে একদল মুখোশধারী বিক্ষোভকারী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। তারা প্রভোস্ট ও নিরাপত্তাকর্মীদের জোর করে বের করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ক্যাম্পাসের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করছে।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটক ও নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার মাচুপিচু যাওয়ার রেলপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পেরু সরকার। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি ট্রেনে হামলা চালিয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠার পর রেলপথসেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া আরেকুইপা, কুসকো এবং দক্ষিণের শহর জুলিয়াকাতেও বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা চালিয়েছে। ফলে পেরুর পর্যটনশিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
পেরুর সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের কারণে ইনকা দুর্গের পাদদেশে শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
কুসকোর সাংস্কৃতিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাচুপিচু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পেরুর ইনকান সিটাডেল একটি প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। এখানে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন। তবে মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন দিনা বোলুয়ার্তে। এর পর থেকে তাঁর পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে পেরুতে বিক্ষোভ চলছে। তবে দিনা বোলুয়ার্তে পদত্যাগ করতে রাজি নন।
পেদ্রো কাস্তিলো বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এখন কারাগারে রয়েছেন। তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁরা পেদ্রো কাস্তিলোকেই চান।
পেদ্রো তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমিই পেরুর বৈধ নেতা।’
পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। লিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বিক্ষোভের জেরে পেরুর বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র মাচুপিচু ও ইনকা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
গত শুক্রবার রাজধানী লিমাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও কাচের বোতল ছুড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
এদিকে প্রসিকিউটর অফিসের অপরাধ প্রতিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা আলফনসো ব্যারেনেচিয়া স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে বলেছেন, লিমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী চুরির অভিযোগে ২০৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লিমা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার গভীর রাতে একদল মুখোশধারী বিক্ষোভকারী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। তারা প্রভোস্ট ও নিরাপত্তাকর্মীদের জোর করে বের করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ক্যাম্পাসের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করছে।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটক ও নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার মাচুপিচু যাওয়ার রেলপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পেরু সরকার। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি ট্রেনে হামলা চালিয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠার পর রেলপথসেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া আরেকুইপা, কুসকো এবং দক্ষিণের শহর জুলিয়াকাতেও বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা চালিয়েছে। ফলে পেরুর পর্যটনশিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
পেরুর সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের কারণে ইনকা দুর্গের পাদদেশে শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
কুসকোর সাংস্কৃতিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাচুপিচু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পেরুর ইনকান সিটাডেল একটি প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। এখানে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন। তবে মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন দিনা বোলুয়ার্তে। এর পর থেকে তাঁর পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে পেরুতে বিক্ষোভ চলছে। তবে দিনা বোলুয়ার্তে পদত্যাগ করতে রাজি নন।
পেদ্রো কাস্তিলো বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এখন কারাগারে রয়েছেন। তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁরা পেদ্রো কাস্তিলোকেই চান।
পেদ্রো তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমিই পেরুর বৈধ নেতা।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক আলোচনার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। এই লক্ষ্যে আজ রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে‘প্রেসিডেন্ট অ্যাট ওয়ার’ নামে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কীভাবে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জীবন ও শাসনকে প্রভাবিত করেছিল, তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে জন এফ কেনেডির প্রেমজীবনের একটি বিতর্কিত অধ্যায় তুলে ধরেছেন লেখক স্টিভেন এম গিলন। ইনগা আরভাদ নামে একজন
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আরও প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড (নর্থকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার ব্রিগেড কমব্যাট টিম (এসবিসিটি) থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা এবং তৃতীয় কমব্যাট এভিয়েশন ব্রিগেড থেকে ৫০০
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও বোস্টনে শত শত মানুষ ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভারমন্টের ওয়েটসফিল্ড শহরেও সমবেত হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স তাঁর পরিবার নিয়ে স্কি অবকাশযাপনে গিয়েছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে