অনলাইন ডেস্ক
পরিবেশদূষণের কারণে বিশ্বে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর অন্তত ৯০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। বর্তমানে দূষণ রোগব্যাধি এবং অকালমৃত্যুর জন্য বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশগত ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বৈশ্বিক মৃত্যুহার ও দূষণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে করা গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শিল্পকারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরায়ণের ফলে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে দূষণজনিত কারণে মৃত্যু বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর ২০০০ সাল থেকে মৃত্যু বেড়েছে ৬৬ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দূষণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনে একজনের মৃত্যুর কারণ হলো দূষণ। আর দূষণজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশের বেশি নিম্ন আয় এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটছে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের অনিচ্ছাকৃত ফলাফল এই দূষণ। এর মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ ও পানিদূষণ।
সম্প্রতি এ-বিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিস নামে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের চলমান গবেষণায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মৃত্যু-সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ করা হয়। বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিসের ২০১৯ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে দূষণের কারণগুলো আরও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিল্পকারখানার বায়ুদূষণ ও বিষাক্ত রাসায়নিকের মতো আরও আধুনিক দূষণকারী পদার্থ থেকে গৃহস্থালি ধোঁয়া বা পয়োনিষ্কাশনের মতো দূষণগুলো আলাদা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন গোষ্ঠী, ব্যক্তি এবং বিভিন্ন দেশের সরকার (বেশির ভাগ উচ্চ আয়ের দেশগুলো) দ্বারা চলমান প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দূষণের বিরুদ্ধে সামান্য বাস্তব অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ কমাতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও স্যানিটেশনের উন্নতি কিছু জায়গায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সাহায্য করেছে। ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়াতে এই প্রচেষ্টা ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মৃত্যু দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে। গবেষণার তথ্য বলছে, দূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এমন ১০টি দেশের তালিকায় থাকা অধিকাংশই আফ্রিকার।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও দূষণ-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক দূষণের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ তাঁদের। দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। আর এই হুমকি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ প্রয়োজন। দূষণকে সাধারণত আঞ্চলিক সমস্যা হিসাবে দেখা হয়; যা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে বা মাঝে মাঝে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে আঞ্চলিক নীতি ব্যবহার করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তবে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে স্পষ্ট, যে দূষণ পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকি। এর প্রভাব স্থানীয় সীমানা অতিক্রম করেই ভাবতে হবে। আর তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
পরিবেশদূষণের কারণে বিশ্বে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর অন্তত ৯০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। বর্তমানে দূষণ রোগব্যাধি এবং অকালমৃত্যুর জন্য বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশগত ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বৈশ্বিক মৃত্যুহার ও দূষণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে করা গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শিল্পকারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরায়ণের ফলে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে দূষণজনিত কারণে মৃত্যু বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর ২০০০ সাল থেকে মৃত্যু বেড়েছে ৬৬ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দূষণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনে একজনের মৃত্যুর কারণ হলো দূষণ। আর দূষণজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশের বেশি নিম্ন আয় এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটছে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের অনিচ্ছাকৃত ফলাফল এই দূষণ। এর মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ ও পানিদূষণ।
সম্প্রতি এ-বিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিস নামে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের চলমান গবেষণায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মৃত্যু-সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ করা হয়। বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিসের ২০১৯ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে দূষণের কারণগুলো আরও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিল্পকারখানার বায়ুদূষণ ও বিষাক্ত রাসায়নিকের মতো আরও আধুনিক দূষণকারী পদার্থ থেকে গৃহস্থালি ধোঁয়া বা পয়োনিষ্কাশনের মতো দূষণগুলো আলাদা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন গোষ্ঠী, ব্যক্তি এবং বিভিন্ন দেশের সরকার (বেশির ভাগ উচ্চ আয়ের দেশগুলো) দ্বারা চলমান প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দূষণের বিরুদ্ধে সামান্য বাস্তব অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ কমাতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও স্যানিটেশনের উন্নতি কিছু জায়গায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সাহায্য করেছে। ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়াতে এই প্রচেষ্টা ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মৃত্যু দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে। গবেষণার তথ্য বলছে, দূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এমন ১০টি দেশের তালিকায় থাকা অধিকাংশই আফ্রিকার।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও দূষণ-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক দূষণের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ তাঁদের। দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। আর এই হুমকি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ প্রয়োজন। দূষণকে সাধারণত আঞ্চলিক সমস্যা হিসাবে দেখা হয়; যা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে বা মাঝে মাঝে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে আঞ্চলিক নীতি ব্যবহার করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তবে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে স্পষ্ট, যে দূষণ পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকি। এর প্রভাব স্থানীয় সীমানা অতিক্রম করেই ভাবতে হবে। আর তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
অস্ট্রেলিয়ায় হ্যারিসন ‘সোনালি বাহুর অধিকারী মানুষ’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর রক্তে বিরল একটি অ্যান্টিবডি (অ্যান্টি-ডি) ছিল। এই অ্যান্টিবডি এমন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। মূলত যেসব মায়ের রক্ত অনাগত শিশুর রক্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাঁদের শরীরেই এই ওষুধটি দেওয়া
৩০ মিনিট আগেএখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত প্রতারিত নারীর তথ্য পেয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের বয়ান ও স্বাধীনভাবে তদন্তের পর এই ইস্যু নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সিরিজ ‘স্পাই কপস’ প্রচার শুরু করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। আর এরপরই এ নিয়ে শুরু হয়
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘নাৎসি’ আখ্যা দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, ইহুদি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন জেলেনস্কি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণমাধ্যম ক্রাসনায়া জভেজদাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন লাভরভ। জেলেনস্কি রুশ সংস্কৃতিকে সম্মান করেন না বলে
১ ঘণ্টা আগেগাজা ইস্যুতে আবারও জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব দেশগুলো। আগামীকাল মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। আলোচনা হবে, যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের হুমকি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাজা দখল সংক্রান্ত হুমকিসহ ফিলিস্তিনের সার্বিক ইস্যু নিয়েই।
১ ঘণ্টা আগে