অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এর প্রভাবে এরই মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের বিনিময় মূল্য রেকর্ড মাত্রায় অবনমন হয়েছে। বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। শেয়ারবাজারগুলোর অবস্থা সঙিন। সব মিলিয়ে যুদ্ধের মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে টালমাটাল শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন হামলার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটে রুশ ব্যাংকগুলোর সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়ার নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর বড় প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে গোটা বিশ্বে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে হামলার শুরুর ধাপেই জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আজ সোমবার ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার ১০০ ডলারের সীমা পার হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মুদ্রা বাজারেও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। করোনার কারণে এমনিতেই বৈশ্বিক অর্থনীতি বেশ সংকটের মধ্যে ছিল। এর সঙ্গে এখন ইউক্রেন যুদ্ধ যোগ হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে।
এরই মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা রুবলের দাম ৩০ শতাংশ নেমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন রপ্তানিমুখী শিল্পকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বিদেশি মুদ্রা বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকে। শুধু রুবল নয়, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। একই হারে কমেছে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রলিয়ার ডলারের দামও।
রয়টার্স জানায়, এই যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে। এরই মধ্যে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসদাকে দরপতন হয়েছে। তবে এখনো এটি সীমার মধ্যে রয়েছে। ইউরো জোনের ব্যাংক সূচক আগের চেয়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ নেমে গিয়েছে। ইউরোপে বিভিন্ন শেয়ারবাজারে দেড় শতাংশের মতো দরপতন হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের তুলনায় এটি কম হলেও বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডেনমার্কের বিনিয়োগ ব্যাংক স্যাক্সো ব্যাংকের ইকুইটি স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান পিটার গার্নরি রয়টার্সকে বলেন, ‘বাণিজ্য পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। আমরা রক্ষণশীল অবস্থানে আছে, যেহেতু জানি, পরিস্থিতি আরও অনেক বাজে হতে পারে।’
গত রোববার হামলার চতুর্থ দিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনাকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন। এর পরপরই জ্বালানি তেলের বাজার আবার অস্থির হয়ে ওঠে। মূলত এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশটি থেকে তেল সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে—এমন শঙ্কায় এ বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সোমবার ভবিষ্যৎ সরবরাহের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১০২ ডলার ৭২ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ওয়েস্ট টেক্সাস তেলের দামও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯৫ ডলার ৮৮ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ।
গোল্ডম্যান স্যাকসকে উদ্ধৃত বাণিজ্যবিষয়ক পত্রিকা মার্কেট ওয়াচ জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ১১৫ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে আলোচনায় বসছে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো। তারা জ্বালানি তেল মজুতের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে। আগামীকাল অথবা বুধবার এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জেনেভাভিত্তিক ব্যাংকিং গ্রুপ লোমবার্ডো ওডিয়ার-এর এশিয়া বিষয়ক কৌশলী হোমিন লি বলছেন, রাশিয়া বিশ্বের ১১ তম বড় অর্থনীতির দেশ। ফলে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে গোটা বিশ্বেই নানা খাতে প্রভাব পড়ছে। এই প্রভাব দিন দিন বড় হবে, যদি এর দ্রুত সমাধান না হয়। আর্থিক তো বটেই অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হতে পারে। বিশেষত জ্বালানি, শিল্প ও কৃষিপণ্য সরবরাহে বড় ধরনের সংকট এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে চীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ মোকাবিলায় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেন চীনের স্বার্থকে মাথায় রাখে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সময় যেন চীন ও অন্যান্য পক্ষের স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রাখে, যাতে এই পক্ষগুলোর কোনো ক্ষতি না হয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রয়েছে চীন।’ তিনি একে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন।
হুয়াওয়ে, শাওমির মতো চীনা প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করবে কিনা জানতে চাইলে ওয়াং এই কথা বলেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, শুধু নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করাই নয়, চীন এরই মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি সভা আহ্বানের প্রস্তাবের ওপর হওয়া ভোটাভুটিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে হওয়া এই ভোটে যদিও প্রস্তাবটি ১১-১ ভোটে পাস হয়েছে। রাশিয়া এতে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেনি। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে মস্কোর সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে হওয়া ভোটাভুটিতে চীন বিরত থেকেছিল।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এর প্রভাবে এরই মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের বিনিময় মূল্য রেকর্ড মাত্রায় অবনমন হয়েছে। বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। শেয়ারবাজারগুলোর অবস্থা সঙিন। সব মিলিয়ে যুদ্ধের মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে টালমাটাল শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন হামলার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটে রুশ ব্যাংকগুলোর সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়ার নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর বড় প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে গোটা বিশ্বে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে হামলার শুরুর ধাপেই জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আজ সোমবার ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার ১০০ ডলারের সীমা পার হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মুদ্রা বাজারেও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। করোনার কারণে এমনিতেই বৈশ্বিক অর্থনীতি বেশ সংকটের মধ্যে ছিল। এর সঙ্গে এখন ইউক্রেন যুদ্ধ যোগ হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে।
এরই মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা রুবলের দাম ৩০ শতাংশ নেমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন রপ্তানিমুখী শিল্পকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বিদেশি মুদ্রা বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকে। শুধু রুবল নয়, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। একই হারে কমেছে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রলিয়ার ডলারের দামও।
রয়টার্স জানায়, এই যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে। এরই মধ্যে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসদাকে দরপতন হয়েছে। তবে এখনো এটি সীমার মধ্যে রয়েছে। ইউরো জোনের ব্যাংক সূচক আগের চেয়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ নেমে গিয়েছে। ইউরোপে বিভিন্ন শেয়ারবাজারে দেড় শতাংশের মতো দরপতন হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের তুলনায় এটি কম হলেও বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডেনমার্কের বিনিয়োগ ব্যাংক স্যাক্সো ব্যাংকের ইকুইটি স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান পিটার গার্নরি রয়টার্সকে বলেন, ‘বাণিজ্য পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। আমরা রক্ষণশীল অবস্থানে আছে, যেহেতু জানি, পরিস্থিতি আরও অনেক বাজে হতে পারে।’
গত রোববার হামলার চতুর্থ দিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনাকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন। এর পরপরই জ্বালানি তেলের বাজার আবার অস্থির হয়ে ওঠে। মূলত এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশটি থেকে তেল সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে—এমন শঙ্কায় এ বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সোমবার ভবিষ্যৎ সরবরাহের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১০২ ডলার ৭২ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ওয়েস্ট টেক্সাস তেলের দামও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯৫ ডলার ৮৮ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ।
গোল্ডম্যান স্যাকসকে উদ্ধৃত বাণিজ্যবিষয়ক পত্রিকা মার্কেট ওয়াচ জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ১১৫ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে আলোচনায় বসছে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো। তারা জ্বালানি তেল মজুতের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে। আগামীকাল অথবা বুধবার এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জেনেভাভিত্তিক ব্যাংকিং গ্রুপ লোমবার্ডো ওডিয়ার-এর এশিয়া বিষয়ক কৌশলী হোমিন লি বলছেন, রাশিয়া বিশ্বের ১১ তম বড় অর্থনীতির দেশ। ফলে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে গোটা বিশ্বেই নানা খাতে প্রভাব পড়ছে। এই প্রভাব দিন দিন বড় হবে, যদি এর দ্রুত সমাধান না হয়। আর্থিক তো বটেই অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হতে পারে। বিশেষত জ্বালানি, শিল্প ও কৃষিপণ্য সরবরাহে বড় ধরনের সংকট এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে চীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ মোকাবিলায় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেন চীনের স্বার্থকে মাথায় রাখে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সময় যেন চীন ও অন্যান্য পক্ষের স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রাখে, যাতে এই পক্ষগুলোর কোনো ক্ষতি না হয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রয়েছে চীন।’ তিনি একে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন।
হুয়াওয়ে, শাওমির মতো চীনা প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করবে কিনা জানতে চাইলে ওয়াং এই কথা বলেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, শুধু নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করাই নয়, চীন এরই মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি সভা আহ্বানের প্রস্তাবের ওপর হওয়া ভোটাভুটিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে হওয়া এই ভোটে যদিও প্রস্তাবটি ১১-১ ভোটে পাস হয়েছে। রাশিয়া এতে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেনি। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে মস্কোর সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে হওয়া ভোটাভুটিতে চীন বিরত থেকেছিল।
আরো পড়ুন:
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে গুগল ম্যাপের নির্দেশনা অনুসরণ করে সংযোগ সড়কহীন সেতু থেকে গাড়ি পড়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার গুগল জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার তদন্তে তারা সহযোগিতা করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন
২ ঘণ্টা আগেজো বাইডেনের হাতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এই চুক্তি অনেকটাই দেশটির দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেআগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এমনটাই মনে করছেন। তবে, এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে তার দাবি কিয়েভকে ত্যাগ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকেরা দেশটির ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে যে লং মার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল তা শেষ হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইমরান খানের সমর্থকেরা ইসলামাবাদ অভিমুখে গাড়িবহর নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। টানা তিন দিনের উত্তেজনা শেষে ইমরান..
৫ ঘণ্টা আগে