Ajker Patrika

এক ভবনেই চাপা পড়েছেন ৯০ জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মিয়ানমারে গত শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। কাঁপুনি অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বরাতে গতকাল শনিবার বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৩৮৯ জন। রেডক্রসের একজন কর্মকর্তার বরাতে এএফপি জানিয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের মান্দালয়ে শুধু একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ধ্বংসাবশেষের ভেতরে আটকা পড়েছেন ৯০ জনের বেশি মানুষ।

শুক্রবারের ভূমিকম্পে মান্দালয়ের যেসব ভবন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে স্কাই ভিলা কনডোমিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট অন্যতম। সেখানে ১২ তলা ভবনের বেশ কয়েকটি একটি অপরটির ওপর চাপা পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে থাকা রেডক্রসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘স্কাই ভিলা কনডোমিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট থেকে নয়জন নিহত ও ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আরও ৯০ জনের বেশি মানুষ থাকতে পারেন। আমরা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছি। কারণ, এখনও লোকজন ভেতরে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিখোঁজ থাকার তথ্য দিচ্ছেন।’

ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, বাঁচার জন্য সেখান থেকেই কাঁদছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের উদ্ধার করতে কোনো ভারী যন্ত্রপাতি আসেনি। এ জন্য খালি হাতে চলছে উদ্ধারের চেষ্টা।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মান্দালয়। সেখানকার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী হেতেত মিন রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পের পর তাঁর ওপর একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে। এতে তাঁর শরীরের অর্ধেক চাপা পড়লেও শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যান। কিন্তু ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন তাঁর দাদি ও দুই চাচা। তিনি হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। তাঁর ভাষায়, ‘ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু কোনো উদ্ধারকারী দল আমাদের এখানে আসেনি।’ বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন হেতেত মিন।

এদিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে চীন ও রাশিয়া। গতকাল ভোরে চীনের ৩৭ সদস্যের একটি দল ইয়াঙ্গুনে পৌঁছায়। চীনা উদ্ধারকারী দল সঙ্গে এনেছে প্রাণীর অস্তিত্ব শনাক্তকারী যন্ত্র, ড্রোন ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত