Ajker Patrika

ঈদের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর তোড়জোড়, ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৩: ৩৩
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ছবি: আনাদোলু
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ছবি: আনাদোলু

অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে নতুন এক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। গতকাল শনিবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হাইয়া এ কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, হামাস অস্ত্র ছাড়বে না। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খলিল আল-হাইয়া ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কোনো ধরনের অপমান ও নিপীড়ন প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেন, ‘কোনো স্থানান্তর নয়, কোনো বহিষ্কার নয়।’ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, হামাস ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দেড় বছর ধরে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় দখলদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

এই আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করা, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভূমি ও স্বদেশের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং দখলদারদের কারাগার থেকে বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা। খলিল আল-হাইয়া জোর দিয়ে বলেন, হামাস দায়িত্ব ও আশাবাদের সঙ্গে সব যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করছে, যার উদ্দেশ্য হলো জনগণের নিরাপত্তার জন্য গাজার ওপর যুদ্ধ বন্ধ করা।

এই প্রেক্ষাপটে আল-হাইয়া জানান, হামাস ‘দুদিন আগে মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছে’ এবং তিনি ঘোষণা করেন, হামাস এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে ‘এতে রাজি হয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘ইসরায়েল’ এতে বাধা দেবে না এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবে না।

ইসরায়েল প্রসঙ্গে আল-হাইয়া বলেন, দখলদার ইসরায়েল ‘তাদের স্বভাব অনুযায়ী যেকোনো চুক্তি বিলম্বিত ও এড়িয়ে গেছে, যার লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা এবং তাদের সরকারকে যত দূর সম্ভব ক্ষমতায় রাখা।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার সমস্ত মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বানচাল করেছেন।’

এদিকে, ইসরায়েল গতকাল শনিবার রাতে নিশ্চিত করেছে যে, তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি-জিম্মি মুক্তি প্রস্তাব পেয়েছে এবং তারা একটি পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নেতানিয়াহু শুক্রবার রাতে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকটি পরামর্শ সভা করেছেন। তারা জানিয়েছে, তাদের পাল্টা প্রস্তাব ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয় করেই’ করা হয়েছে।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামাস সম্ভবত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এটি আজ রোববার বা সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই অবস্থান ইসরায়েলের দাবি পূরণ করে না। কারণ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি পুনরায় শুরু করার জন্য মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের আগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১০-১১ জন জীবিত বন্দীর প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দিচ্ছে।

মিসরীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লাকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল-ফিতরের আগে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, মিসরীয় প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির সময় নিহত বন্দীদের মরদেহও ফেরত দেওয়া হবে, তবে তিনি কোনো সংখ্যা জানাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নেতা-কর্মী আটক

নয়াদিল্লি হাসিনা আমলের দৃষ্টিভঙ্গিই ধরে রেখেছে: ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বিমসটেক সম্মেলনে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বৈঠক হচ্ছে

গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত