এএফপি, ব্রাসেলস
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বাস্তবতায় নিজেদের সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। এ–সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত বৃহস্পতিবার মিলিত হন দেশগুলোর নেতারা। তবে ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়ে মতৈক্য না হলেও দেশটির পাশে দাঁড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ কোনো সমঝোতা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আবার প্যারিসে মিলিত হবেন ইউরোপীয় নেতারা।
এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার প্যারিসে জেলেনস্কির উপস্থিতিতে জোটের আরেকটি বৈঠক হবে। বৈঠকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য স্বল্পমেয়াদি সহায়তা, রুশ আগ্রাসন প্রতিরোধে কিয়েভের জন্য একটি টেকসই মডেল ও ইউক্রেনের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইউরোপীয় বাহিনীর সক্ষমতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। এই দেশগুলোর নেতাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প প্রশাসন যদি কিয়েভের ওপর একটি বাজে চুক্তি চাপিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে ইউরোপকেও এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। কেননা, এ ধরনের চুক্তি রাশিয়াকে ইউরোপের সঙ্গেও আগ্রাসী আচরণে উৎসাহিত করবে। এমন বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সংহত করার লক্ষ্যে ব্রাসেলসে ওই বৈঠকে যোগ দেন জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। এতে ইউক্রেনকে সহায়তা ও নিজেদের ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ৮৭৫ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর আওতায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানো এবং যৌথ ঋণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এভিকা সিলিনা ব্রাসেলসের পরিকল্পনাটিকে কেবল একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আরও বেশি তহবিল পেতে পারি, তা নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে।’
ব্রাসেলসে মূলত রুশ আগ্রাসনের হুমকিতে থাকা দেশগুলোর উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ জানান, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশের সীমান্ত না থাকলেও ইউরোপের প্রতিরক্ষার ওপর জোর দেয় আমস্টারডাম।
ইউক্রেন ইস্যুতে সরব জার্মানির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। তবে জার্মানির নবনির্বাচিত চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্স দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্লিনের অবস্থান কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে। কেননা, ইতিমধ্যে এ ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, যৌথভাবে সংকট নিরসনে আলোচনা হতে পারে। তবে সেই আলোচনার জন্য জার্মানির নতুন (দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা) সরকারকে প্রয়োজন।
পোল্যান্ড ইতিমধ্যে তার সামরিক ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। তাদের ব্যয় ন্যাটোর নির্ধারিত প্রতিরক্ষা লক্ষ্যমাত্রার দুই শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটি রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী একটি ইউরোপ দেখতে চায়। একই অবস্থান লিথুয়ানিয়ার। দেশটির প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সশস্ত্র করতে হবে। অন্যথায় আমরা রাশিয়ার আগ্রাসনের পরবর্তী শিকারে পরিণত হব।’
ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এ বৈঠকে মিলিত হন ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এসব আলাপচারিতা ‘বেশ ভালো ছিল’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি। তবে সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্পের নীতি অনেকটাই রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে জেলেনস্কির দাবি, এটি কেবল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জাপোরিজ্জিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বাস্তবতায় নিজেদের সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। এ–সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত বৃহস্পতিবার মিলিত হন দেশগুলোর নেতারা। তবে ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়ে মতৈক্য না হলেও দেশটির পাশে দাঁড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ কোনো সমঝোতা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আবার প্যারিসে মিলিত হবেন ইউরোপীয় নেতারা।
এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার প্যারিসে জেলেনস্কির উপস্থিতিতে জোটের আরেকটি বৈঠক হবে। বৈঠকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য স্বল্পমেয়াদি সহায়তা, রুশ আগ্রাসন প্রতিরোধে কিয়েভের জন্য একটি টেকসই মডেল ও ইউক্রেনের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইউরোপীয় বাহিনীর সক্ষমতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। এই দেশগুলোর নেতাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প প্রশাসন যদি কিয়েভের ওপর একটি বাজে চুক্তি চাপিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে ইউরোপকেও এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। কেননা, এ ধরনের চুক্তি রাশিয়াকে ইউরোপের সঙ্গেও আগ্রাসী আচরণে উৎসাহিত করবে। এমন বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সংহত করার লক্ষ্যে ব্রাসেলসে ওই বৈঠকে যোগ দেন জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। এতে ইউক্রেনকে সহায়তা ও নিজেদের ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ৮৭৫ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর আওতায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানো এবং যৌথ ঋণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এভিকা সিলিনা ব্রাসেলসের পরিকল্পনাটিকে কেবল একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আরও বেশি তহবিল পেতে পারি, তা নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে।’
ব্রাসেলসে মূলত রুশ আগ্রাসনের হুমকিতে থাকা দেশগুলোর উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ জানান, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশের সীমান্ত না থাকলেও ইউরোপের প্রতিরক্ষার ওপর জোর দেয় আমস্টারডাম।
ইউক্রেন ইস্যুতে সরব জার্মানির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। তবে জার্মানির নবনির্বাচিত চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্স দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্লিনের অবস্থান কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে। কেননা, ইতিমধ্যে এ ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, যৌথভাবে সংকট নিরসনে আলোচনা হতে পারে। তবে সেই আলোচনার জন্য জার্মানির নতুন (দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা) সরকারকে প্রয়োজন।
পোল্যান্ড ইতিমধ্যে তার সামরিক ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। তাদের ব্যয় ন্যাটোর নির্ধারিত প্রতিরক্ষা লক্ষ্যমাত্রার দুই শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটি রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী একটি ইউরোপ দেখতে চায়। একই অবস্থান লিথুয়ানিয়ার। দেশটির প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সশস্ত্র করতে হবে। অন্যথায় আমরা রাশিয়ার আগ্রাসনের পরবর্তী শিকারে পরিণত হব।’
ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এ বৈঠকে মিলিত হন ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এসব আলাপচারিতা ‘বেশ ভালো ছিল’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি। তবে সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্পের নীতি অনেকটাই রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে জেলেনস্কির দাবি, এটি কেবল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জাপোরিজ্জিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি আগামী ২৮ এপ্রিল ফেডারেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অনুপস্থিতিতে কানাডার দুটি প্রধান দল কনজারভেটিভ ও লিবারেল পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। কানাডীয়রা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না,
৩৯ মিনিট আগেডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেছেন—স্টারমার এবং ইউরোপীয় নেতারা ভুলভাবে ভাবছেন যে, তাঁদের সবাইকে উইনস্টন চার্চিলের মতো হতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আসাদের পতনের পর এই সংবিধানটি সিরিয়ার পরিবর্তনের একটি পর্যায় হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য
২ ঘণ্টা আগে১৯ মার্চ গ্রেপ্তারের পর একরেম ইমামোগলুকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে প্রসিকিউটররা তাঁকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং ‘অপরাধী সংগঠনের সন্দেহভাজন নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তবে আদালত জানিয়েছেন, ইমামোগলুসহ আরও ২০ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে