অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা অস্থায়ী সংবিধান স্বাক্ষর করার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আসাদের পতনের পর এই সংবিধানটি সিরিয়ার পরিবর্তনের একটি পর্যায় হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। ভবিষ্যতে জাতিগত বিভেদ বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণ হতে পারে এই সংবিধান।
এই অস্থায়ী সংবিধান সিরিয়াকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথ প্রশস্ত করেছে। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এডমন্ড গারিবের মতে, ‘এই সংবিধান কিছু মানুষের সমর্থন পেলেও, এটি সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সঠিকভাবে সিরিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমস্যা ও চাহিদা বিবেচনা করা হয়নি।’
অনেক সিরিয়ান এই সংবিধানের সমালোচনা করেছেন। যুক্তি দিয়েছেন, এটি জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করেছে। বিশেষ করে, এই সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অত্যধিক বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়াও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে নারী ও মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এই সংবিধানে উপেক্ষিত হয়েছে।
ড. সারবাস্ত নবী, একজন আইন বিশেষজ্ঞ। তিনি এই সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, ‘এই সংবিধান তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে কোনো সিভিলিয়ান বা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়নি। এটি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে এবং এটি একটি সালাফি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে ইঙ্গিত করে।’
এই সংবিধানে ইসলামিক শরিয়া আইনকে রাষ্ট্রের একমাত্র আইনি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সিরিয়ার বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পদক্ষেপ সিরিয়ায় ধর্মীয় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
ড. এডমন্ড গারিব বলেছেন, ‘শরিয়া আইনকে একমাত্র আইনি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সিরিয়ার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এটি সেক্যুলারিজমের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সিরিয়ায় ধর্মীয় যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এই অস্থায়ী সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে এই সংবিধান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এ ছাড়াও, মানবিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও এই সংবিধান একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ড. এডমন্ড গারিব মনে করেন, ‘সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে এই সংবিধান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এটি সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
সিরিয়ার অস্থায়ী সংবিধান দেশটির ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। এটি সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দেশটির স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সিরিয়ায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি দল জানিয়েছে, চার দিনের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়, যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ৬ মার্চ লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি-অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
সিরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা অস্থায়ী সংবিধান স্বাক্ষর করার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আসাদের পতনের পর এই সংবিধানটি সিরিয়ার পরিবর্তনের একটি পর্যায় হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। ভবিষ্যতে জাতিগত বিভেদ বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণ হতে পারে এই সংবিধান।
এই অস্থায়ী সংবিধান সিরিয়াকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথ প্রশস্ত করেছে। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এডমন্ড গারিবের মতে, ‘এই সংবিধান কিছু মানুষের সমর্থন পেলেও, এটি সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সঠিকভাবে সিরিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমস্যা ও চাহিদা বিবেচনা করা হয়নি।’
অনেক সিরিয়ান এই সংবিধানের সমালোচনা করেছেন। যুক্তি দিয়েছেন, এটি জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করেছে। বিশেষ করে, এই সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অত্যধিক বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়াও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে নারী ও মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এই সংবিধানে উপেক্ষিত হয়েছে।
ড. সারবাস্ত নবী, একজন আইন বিশেষজ্ঞ। তিনি এই সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, ‘এই সংবিধান তাড়াহুড়ো করে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে কোনো সিভিলিয়ান বা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়নি। এটি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে এবং এটি একটি সালাফি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে ইঙ্গিত করে।’
এই সংবিধানে ইসলামিক শরিয়া আইনকে রাষ্ট্রের একমাত্র আইনি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সিরিয়ার বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পদক্ষেপ সিরিয়ায় ধর্মীয় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
ড. এডমন্ড গারিব বলেছেন, ‘শরিয়া আইনকে একমাত্র আইনি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সিরিয়ার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এটি সেক্যুলারিজমের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সিরিয়ায় ধর্মীয় যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এই অস্থায়ী সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে এই সংবিধান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এ ছাড়াও, মানবিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও এই সংবিধান একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ড. এডমন্ড গারিব মনে করেন, ‘সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে এই সংবিধান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এটি সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
সিরিয়ার অস্থায়ী সংবিধান দেশটির ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। এটি সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দেশটির স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সিরিয়ায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি দল জানিয়েছে, চার দিনের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়, যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ৬ মার্চ লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি-অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন। বিশেষ করে তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক চাপ’ এবং ‘মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত সাইবার অভিযানের’ মতো বিষয়গুলো উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান হু
১ ঘণ্টা আগেইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সময়সূচি ও বিস্তারিত তথ্য ব্যক্তিগত বার্তায় পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। আজ বুধবার মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে চালানো মার্কিন বিমান হামলা শুরুর সময়...
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীশিবিরের অন্তরালে রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের গুঞ্জন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। হাজার হাজার তরুণ এখন অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারে। শ্বেতা শর্মা দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন তাঁদের সংগ্রামের কাহিনি।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১১ বছরের এক শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নকে ধর্ষণের চেষ্টা হিসেবে অস্বীকার করা এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন। বিচারকদের মতে, রায়ে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল এবং এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৩ ঘণ্টা আগে