অনলাইন ডেস্ক
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ‘নজিরবিহীন’ বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পর বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ শনিবার পরিষেবা পুরোপুরি চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় ২ লাখ যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সেদিন পশ্চিম লন্ডনের হেইসের নর্থ হাইড পাওয়ার প্ল্যান্টে আগুন লাগার পর হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়। এতে হিথ্রোগামী সব ফ্লাইট ইউরোপের অন্যান্য বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস ওল্ডবাই আটকে পড়া যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, এই বিপর্যয় ‘আমাদের বিমানবন্দরের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’। তিনি জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
লন্ডন পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, আগুন লাগার ঘটনাটি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ‘বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন সরঞ্জামের’ ওপর নজর দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ঘোষণা করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের দূরপাল্লার আটটি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে এবং তারা ‘গ্রাহকদের বিষয়টি জানাতে জরুরিভাবে যোগাযোগ করছে।’ পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, ভিড় কমাতে রাতের ফ্লাইটের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধও সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে।
থমাস ওল্ডবাই জানিয়েছেন, একটি ব্যাক-আপ ট্রান্সফরমার ব্যর্থ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমানবন্দরের পুরো সিস্টেম বন্ধ করতে হয়েছিল, যাতে অবশিষ্ট দুটি উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্গঠন করে বিমানবন্দর চালানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা যায়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার কানাডা, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস হিথ্রো থেকে এবং সেখানে নির্ধারিত ফ্লাইট পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ঘটনার পর যেসব ফ্লাইট ইউরোপের অন্যান্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল, সেখান থেকে যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার দিকে নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার বিষয়ে ওল্ডবাই বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এটি বড় ধরনের এটি ঘটনা। এটি কোনো ছোট আগুন নয়। আমরা একটি মাঝারি আকারের শহর চলতে পারে এমন পরিমাণ বিদ্যুৎ হারিয়েছি। আমাদের ব্যাকআপ সিস্টেমগুলো কাজ করলেও সেগুলো আসলে পুরো বিমানবন্দর চালানোর জন্য তৈরি করা হয়নি।’
হিথ্রোর পাওয়ার সিস্টেমে কোনো দুর্বল জায়গা আছে কি না, জানতে চাইলে ওল্ডবাই বলেন, ‘আপনি তা বলতেই পারেন, তবে অবশ্যই কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে আমরা সব সময় নিজেদের শতভাগ রক্ষা করতে পারি না এবং এ ঘটনা ছিল সেগুলোরই একটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি নজিরবিহীন।’ আজ শনিবার বিমানবন্দর পুরোপুরি সচল হবে বলেও জানান তিনি।
হিথ্রো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত বছর ৮৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর হয়ে যাতায়াত করেছেন।
ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী হেইডি আলেক্সান্ডার বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা ‘তাঁদের পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর করেছেন এবং তাঁরা আমাদের জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রদানকারী এবং এয়ারলাইন অপারেটরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জরুরি পরিষেবাগুলো প্রথম ঘটনাস্থলে যায়। সেই সময়ে বিমানবন্দরটি অবতরণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১২০টি ফ্লাইট হয় অন্য কোনো বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, নয়তো যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই ফেরত পাঠানো হয়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড (এলএফবি) জানিয়েছে, আগুন নেভানোর জন্য ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলএফবি জানিয়েছে, ২৫ হাজার লিটার দাহ্য শীতল তরলযুক্ত একটি ট্রান্সফরমার এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে।
এ দুর্ঘটনায় বিমানবন্দরসহ এই এলাকার ৬৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল বলে ন্যাশনাল গ্রিড জানিয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ‘নজিরবিহীন’ বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পর বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ শনিবার পরিষেবা পুরোপুরি চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় ২ লাখ যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সেদিন পশ্চিম লন্ডনের হেইসের নর্থ হাইড পাওয়ার প্ল্যান্টে আগুন লাগার পর হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়। এতে হিথ্রোগামী সব ফ্লাইট ইউরোপের অন্যান্য বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস ওল্ডবাই আটকে পড়া যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, এই বিপর্যয় ‘আমাদের বিমানবন্দরের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’। তিনি জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
লন্ডন পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, আগুন লাগার ঘটনাটি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ‘বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন সরঞ্জামের’ ওপর নজর দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ঘোষণা করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের দূরপাল্লার আটটি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে এবং তারা ‘গ্রাহকদের বিষয়টি জানাতে জরুরিভাবে যোগাযোগ করছে।’ পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, ভিড় কমাতে রাতের ফ্লাইটের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধও সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে।
থমাস ওল্ডবাই জানিয়েছেন, একটি ব্যাক-আপ ট্রান্সফরমার ব্যর্থ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমানবন্দরের পুরো সিস্টেম বন্ধ করতে হয়েছিল, যাতে অবশিষ্ট দুটি উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্গঠন করে বিমানবন্দর চালানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা যায়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার কানাডা, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস হিথ্রো থেকে এবং সেখানে নির্ধারিত ফ্লাইট পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ঘটনার পর যেসব ফ্লাইট ইউরোপের অন্যান্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল, সেখান থেকে যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার দিকে নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার বিষয়ে ওল্ডবাই বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এটি বড় ধরনের এটি ঘটনা। এটি কোনো ছোট আগুন নয়। আমরা একটি মাঝারি আকারের শহর চলতে পারে এমন পরিমাণ বিদ্যুৎ হারিয়েছি। আমাদের ব্যাকআপ সিস্টেমগুলো কাজ করলেও সেগুলো আসলে পুরো বিমানবন্দর চালানোর জন্য তৈরি করা হয়নি।’
হিথ্রোর পাওয়ার সিস্টেমে কোনো দুর্বল জায়গা আছে কি না, জানতে চাইলে ওল্ডবাই বলেন, ‘আপনি তা বলতেই পারেন, তবে অবশ্যই কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে আমরা সব সময় নিজেদের শতভাগ রক্ষা করতে পারি না এবং এ ঘটনা ছিল সেগুলোরই একটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি নজিরবিহীন।’ আজ শনিবার বিমানবন্দর পুরোপুরি সচল হবে বলেও জানান তিনি।
হিথ্রো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত বছর ৮৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর হয়ে যাতায়াত করেছেন।
ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী হেইডি আলেক্সান্ডার বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা ‘তাঁদের পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর করেছেন এবং তাঁরা আমাদের জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রদানকারী এবং এয়ারলাইন অপারেটরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জরুরি পরিষেবাগুলো প্রথম ঘটনাস্থলে যায়। সেই সময়ে বিমানবন্দরটি অবতরণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১২০টি ফ্লাইট হয় অন্য কোনো বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, নয়তো যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই ফেরত পাঠানো হয়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড (এলএফবি) জানিয়েছে, আগুন নেভানোর জন্য ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলএফবি জানিয়েছে, ২৫ হাজার লিটার দাহ্য শীতল তরলযুক্ত একটি ট্রান্সফরমার এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে।
এ দুর্ঘটনায় বিমানবন্দরসহ এই এলাকার ৬৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল বলে ন্যাশনাল গ্রিড জানিয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেছেন—স্টারমার এবং ইউরোপীয় নেতারা ভুলভাবে ভাবছেন যে, তাঁদের সবাইকে উইনস্টন চার্চিলের মতো হতে হবে।
২২ মিনিট আগেসিরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আসাদের পতনের পর এই সংবিধানটি সিরিয়ার পরিবর্তনের একটি পর্যায় হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংবিধান সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য
১ ঘণ্টা আগে১৯ মার্চ গ্রেপ্তারের পর একরেম ইমামোগলুকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে প্রসিকিউটররা তাঁকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং ‘অপরাধী সংগঠনের সন্দেহভাজন নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তবে আদালত জানিয়েছেন, ইমামোগলুসহ আরও ২০ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনাইজেরিয়ায় ছুটির মৌসুমে যে চিত্র দেখা যায়, তা যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য। বিমানবন্দরে আবেগঘন পুনর্মিলন, অভিজাত ক্লাবগুলোতে শ্যাম্পেইনের বন্যা বয়ে যাওয়া এবং দেশজুড়ে স্থাপন করা অসংখ্য মঞ্চে আফ্রোবিট তারকাদের নাচ-গান আর দুর্দান্ত পরিবেশনার মতো বিষয়গুলো তখন অহরহই দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে