ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এমনটাই মনে করছেন। তবে, এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে তার দাবি কিয়েভকে ত্যাগ করতে হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ক্রমশ মেনে নিতে শুরু করেছেন যে, ইউক্রেনকে হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য হতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের বলে দাবি করা ‘অঞ্চল’ যা বর্তমানে রাশিয়ার দখলে তার দাবি ত্যাগ করতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরবেন। তিনি আসার পরপরই হয়তো এ ধরনের কোনো একটি উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এই অবস্থায় কিয়েভ বেশ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে। কারণ, রণক্ষেত্রে কিয়েভের বাহিনী ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনের দখল করা কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেন বর্তমানে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের অনেক কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন যে, ‘কয়েক মাসের মধ্যে, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপের মুখে পড়তে পারে’ এবং কিয়েভ হারানো ‘অঞ্চলের দাবি ত্যাগ করতে বাধ্য হতে পারে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভ রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলের দাবি ত্যাগ করবে—ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও এই বিষয়ে ‘নীরব স্বীকৃতি’ রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্প্রতি ইউক্রেনকে দেশটির সরবরাহ করা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার অনুমতি দিয়েছিল। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছিল কিয়েভকে। এ ছাড়া, নিষিদ্ধ ল্যান্ডমাইন সরবরাহ করার পদক্ষেপও নিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। এই পদক্ষেপ এই আশায় নেওয়া হয়েছিল যে, এই অস্ত্রগুলো হয়তো যেকোনো সম্ভাব্য আলোচনার আগে কিয়েভকে দর-কষাকষির জন্য ‘যতটা সম্ভব শক্তিশালী অবস্থানে’।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে কোনো ধরনের ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, বাইডেনের কর্মকর্তাদের ‘বেশির ভাগই মেনে নিয়েছেন যে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে আর কোনো সহায়তা দেবেন না।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের অনেক ইউরোপীয় মিত্র ‘হতাশ’ যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে সর্বশেষ সামরিক সহায়তা প্রদানে অনেক দীর্ঘ সময় নিয়েছে। তারা মনে করে, এই সিদ্ধান্তটি আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল, বিশেষ করে যখন ইউক্রেন রণক্ষেত্রে তুলনামূলক শক্তিশালী অবস্থানে ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, বাইডেন মূলত ইউক্রেনের রণক্ষেত্রের পরিবর্তিত অবস্থা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিয়েভের চাপ থাকার পরও তিনি কেবল তখনই নির্দিষ্ট অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন যখন উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে রাশিয়া কুরস্ক পুনরুদ্ধার করায় এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও দ্রুত অগ্রগতি লাভ করতে থাকায় ওয়াশিংটন বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
অপরদিকে, ইউক্রেনকে দূর পাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে রাশিয়ার নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই অস্ত্রটিকে ইউক্রেনের দিনেপ্রোপেত্রোভস্ক শহরে একটি সামরিক শিল্প অবকাঠামোতে হামলার কাজে লাগানো হয়েছে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এমনটাই মনে করছেন। তবে, এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে তার দাবি কিয়েভকে ত্যাগ করতে হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ক্রমশ মেনে নিতে শুরু করেছেন যে, ইউক্রেনকে হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য হতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের বলে দাবি করা ‘অঞ্চল’ যা বর্তমানে রাশিয়ার দখলে তার দাবি ত্যাগ করতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরবেন। তিনি আসার পরপরই হয়তো এ ধরনের কোনো একটি উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এই অবস্থায় কিয়েভ বেশ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে। কারণ, রণক্ষেত্রে কিয়েভের বাহিনী ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনের দখল করা কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেন বর্তমানে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের অনেক কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন যে, ‘কয়েক মাসের মধ্যে, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপের মুখে পড়তে পারে’ এবং কিয়েভ হারানো ‘অঞ্চলের দাবি ত্যাগ করতে বাধ্য হতে পারে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভ রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলের দাবি ত্যাগ করবে—ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও এই বিষয়ে ‘নীরব স্বীকৃতি’ রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্প্রতি ইউক্রেনকে দেশটির সরবরাহ করা দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার অনুমতি দিয়েছিল। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছিল কিয়েভকে। এ ছাড়া, নিষিদ্ধ ল্যান্ডমাইন সরবরাহ করার পদক্ষেপও নিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। এই পদক্ষেপ এই আশায় নেওয়া হয়েছিল যে, এই অস্ত্রগুলো হয়তো যেকোনো সম্ভাব্য আলোচনার আগে কিয়েভকে দর-কষাকষির জন্য ‘যতটা সম্ভব শক্তিশালী অবস্থানে’।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে কোনো ধরনের ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, বাইডেনের কর্মকর্তাদের ‘বেশির ভাগই মেনে নিয়েছেন যে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে আর কোনো সহায়তা দেবেন না।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের অনেক ইউরোপীয় মিত্র ‘হতাশ’ যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে সর্বশেষ সামরিক সহায়তা প্রদানে অনেক দীর্ঘ সময় নিয়েছে। তারা মনে করে, এই সিদ্ধান্তটি আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল, বিশেষ করে যখন ইউক্রেন রণক্ষেত্রে তুলনামূলক শক্তিশালী অবস্থানে ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, বাইডেন মূলত ইউক্রেনের রণক্ষেত্রের পরিবর্তিত অবস্থা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিয়েভের চাপ থাকার পরও তিনি কেবল তখনই নির্দিষ্ট অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন যখন উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে রাশিয়া কুরস্ক পুনরুদ্ধার করায় এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও দ্রুত অগ্রগতি লাভ করতে থাকায় ওয়াশিংটন বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
অপরদিকে, ইউক্রেনকে দূর পাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে রাশিয়ার নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই অস্ত্রটিকে ইউক্রেনের দিনেপ্রোপেত্রোভস্ক শহরে একটি সামরিক শিল্প অবকাঠামোতে হামলার কাজে লাগানো হয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করছে রাশিয়ার সেনারা। ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ আক্রমণ শুরুর পর বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। গত এক মাসে লন্ডনের আয়তনের অর্ধেক পরিমাণ এলাকা দখল করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে গতকাল মঙ্গলবার কিছু বিশ্লেষক ও যুদ্ধবিষয়ক
১ ঘণ্টা আগেএফবিআই এবং ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি, কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ও নর্থ ওয়েলস পুলিশের যৌথ অভিযানে ২৫ নভেম্বর ওয়েলস থেকে ডেনিয়েল আন্দ্রেয়াস সান দিয়েগোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এবার একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির এক শীর্ষ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত হামাস। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওই শীর্ষ কর্মকর্তা একই সঙ্গে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এই আবেদন করেছেন। আজ বুধবার আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা..
৩ ঘণ্টা আগে