গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে। অর্থাৎ, প্রায় দেড় বছর সময় ধরে ইসরায়েলিরা গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে গাজাবাসী দুটি ঈদ পালন করেছেন। ঈদের দিনগুলোতেও ইসরায়েলিরা গাজায় তাণ্ডব চালিয়েছে। এবারও সে রকমটাই হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এর ফলে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৭৭ জনে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৫ জনে। এ ছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।
গতকাল শনিবার ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান দাবি করেছিল, মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের সময় যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েলের কতিপয় জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে হামাস। একজন ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে এই প্রক্রিয়ায়।
অবশ্য কান জানিয়েছে, এদান আলেকজান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে হামাস কী চাইবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার নিবিড়ভাবে জড়িত। কানের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি চাওয়া যতটা না ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক, তার চেয়ে বিশ গাজায় হামাস বিরোধী বিক্ষোভের কারণে।
কানের এই প্রতিবেদন এমন এক সময় এল, যখন এর এক দিন আগে একজন জ্যেষ্ঠ আরব কূটনীতিক টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছিলেন, কাতার হামাসকে একটি নতুন মার্কিন প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে আলেকজান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি পুনরায় শুরু করা হবে। বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় শান্তির আহ্বান জানাবেন এবং যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেবেন।
এদিকে, গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র ইসমাইল আত-তাওয়াবতা বলেছেন, ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধ প্রায় এক মাস ধরে চলছে। আর এতে এই উপত্যকার মানুষ আক্ষরিক অর্থেই ‘অনাহারে’ থাকছে। প্রতিনিয়ত অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
আত-তাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা প্রায় ২০ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাকের কথা বলছি, যেগুলোর গাজায় প্রবেশ করার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলিরা একটি ট্রাকও ঢুকতে দেয়নি। দুই হাজার ট্রাক জ্বালানি এবং রান্নার তেলের কথা তো বাদই দিলাম।’ এই মুখপাত্র বলেন, এই ঘাটতির কারণে এখন ‘গাজা জুড়ে অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজায় অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষের জন্য মার্কিন প্রশাসন ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দায়ী করছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের আহ্বান, তারা যেন ইসরায়েলি দখলদারদের সীমান্ত খুলে দিতে, তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে এবং খুব দেরি হওয়ার আগেই ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে বাধ্য করে।’
এই অনাহার, খাদ্যাভাবের মধ্যেও গাজাবাসী ঈদুল ফিতরের উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ফিলিস্তিনি নারীরা তাদের সন্তানদের মনোবল চাঙা করার আশায় ঐতিহ্যবাহী ঈদ কুকিজ কা’ক তৈরি করছেন।
তীব্র শোক, ধ্বংসলীলা এবং ঘরবাড়ি ও প্রিয়জন হারানোর বেদনার মধ্যে নারীরা তাদের সন্তানদের সামান্যতম আনন্দ দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সৃষ্ট কষ্ট থেকে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। গাজাবাসীর জীবনে এই ঈদ এমন এক সময়ে এল যখন অঞ্চলটিতে তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে।
ইসরায়েলি চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে গাজায় প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ করে দেয় এবং অঞ্চলটিতে মানবিক, চিকিৎসা ও ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দেয়। গাজার বাজারগুলো প্রায় খালি। যাও বা কিছু পণ্য আছে তার দাম আকাশছোঁয়া। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত, দরিদ্র ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মৌলিক চাহিদা পূরণ করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
গাজার কাওসার হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমাদের এখানকার পরিবেশ খুবই দুঃখজনক। আমরা অনেক আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনকে হারিয়েছি এবং আমরা বড় ধরনের মানবিক সংকটের শিকার। আমরা এমন এক জাতি, যারা জীবনকে ভালোবাসে। আমরা চাই না, আমাদের শিশুরা অভাবের মধ্যে থাকুক। আমরা তাদের জন্য সবকিছু দেওয়ার চেষ্টা করি, এমনকি তা খুব সামান্য হলেও।’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের আগে এই নারী তাঁর সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের সময় প্রায় ৯ কেজি ওজনের কুকিজ তৈরি করতেন। এ বছর, তিনি মাত্র ১ কেজি কুকিজ তৈরি করছেন। তাঁর আশা, এই অল্প পরিমাণ কুকিজই হয়তো শিশুদের কিছুটা সান্ত্বনা দেবে।
শোক ঘিরে রাখলেও এই নারী বিশ্বাস করেন ঈদ উদ্যাপন ‘আল্লাহর দেওয়া সেই সব রীতিনীতির মধ্যে অন্যতম, যা অবশ্যই পুনরুজ্জীবিত করা উচিত।’
গাজার আরেক নারী উম্মে মোহাম্মদ। তিনিও তাঁর নাতি-নাতনিদের জন্য কুকিজ তৈরি করে তাদের ঈদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আনাদোলুকে বলেন, ‘গণহত্যার সময় শিশুরা ঈদের রীতিনীতি থেকে যা হারিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা সামান্য কিছু কুকিজ তৈরি করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা বিরাজ করছে। আমরা তাদের প্রত্যেককে একটি করে কুকি দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করি, এবং আসলে আমরা এর বেশি দিতে পারি না।’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে। অর্থাৎ, প্রায় দেড় বছর সময় ধরে ইসরায়েলিরা গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে গাজাবাসী দুটি ঈদ পালন করেছেন। ঈদের দিনগুলোতেও ইসরায়েলিরা গাজায় তাণ্ডব চালিয়েছে। এবারও সে রকমটাই হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এর ফলে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৭৭ জনে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৫ জনে। এ ছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।
গতকাল শনিবার ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান দাবি করেছিল, মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের সময় যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েলের কতিপয় জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে হামাস। একজন ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে এই প্রক্রিয়ায়।
অবশ্য কান জানিয়েছে, এদান আলেকজান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে হামাস কী চাইবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার নিবিড়ভাবে জড়িত। কানের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি চাওয়া যতটা না ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক, তার চেয়ে বিশ গাজায় হামাস বিরোধী বিক্ষোভের কারণে।
কানের এই প্রতিবেদন এমন এক সময় এল, যখন এর এক দিন আগে একজন জ্যেষ্ঠ আরব কূটনীতিক টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছিলেন, কাতার হামাসকে একটি নতুন মার্কিন প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে আলেকজান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি পুনরায় শুরু করা হবে। বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় শান্তির আহ্বান জানাবেন এবং যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেবেন।
এদিকে, গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র ইসমাইল আত-তাওয়াবতা বলেছেন, ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধ প্রায় এক মাস ধরে চলছে। আর এতে এই উপত্যকার মানুষ আক্ষরিক অর্থেই ‘অনাহারে’ থাকছে। প্রতিনিয়ত অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
আত-তাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা প্রায় ২০ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাকের কথা বলছি, যেগুলোর গাজায় প্রবেশ করার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলিরা একটি ট্রাকও ঢুকতে দেয়নি। দুই হাজার ট্রাক জ্বালানি এবং রান্নার তেলের কথা তো বাদই দিলাম।’ এই মুখপাত্র বলেন, এই ঘাটতির কারণে এখন ‘গাজা জুড়ে অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজায় অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষের জন্য মার্কিন প্রশাসন ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দায়ী করছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের আহ্বান, তারা যেন ইসরায়েলি দখলদারদের সীমান্ত খুলে দিতে, তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে এবং খুব দেরি হওয়ার আগেই ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে বাধ্য করে।’
এই অনাহার, খাদ্যাভাবের মধ্যেও গাজাবাসী ঈদুল ফিতরের উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ফিলিস্তিনি নারীরা তাদের সন্তানদের মনোবল চাঙা করার আশায় ঐতিহ্যবাহী ঈদ কুকিজ কা’ক তৈরি করছেন।
তীব্র শোক, ধ্বংসলীলা এবং ঘরবাড়ি ও প্রিয়জন হারানোর বেদনার মধ্যে নারীরা তাদের সন্তানদের সামান্যতম আনন্দ দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সৃষ্ট কষ্ট থেকে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। গাজাবাসীর জীবনে এই ঈদ এমন এক সময়ে এল যখন অঞ্চলটিতে তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে।
ইসরায়েলি চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে গাজায় প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ করে দেয় এবং অঞ্চলটিতে মানবিক, চিকিৎসা ও ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দেয়। গাজার বাজারগুলো প্রায় খালি। যাও বা কিছু পণ্য আছে তার দাম আকাশছোঁয়া। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত, দরিদ্র ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মৌলিক চাহিদা পূরণ করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
গাজার কাওসার হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমাদের এখানকার পরিবেশ খুবই দুঃখজনক। আমরা অনেক আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনকে হারিয়েছি এবং আমরা বড় ধরনের মানবিক সংকটের শিকার। আমরা এমন এক জাতি, যারা জীবনকে ভালোবাসে। আমরা চাই না, আমাদের শিশুরা অভাবের মধ্যে থাকুক। আমরা তাদের জন্য সবকিছু দেওয়ার চেষ্টা করি, এমনকি তা খুব সামান্য হলেও।’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের আগে এই নারী তাঁর সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের সময় প্রায় ৯ কেজি ওজনের কুকিজ তৈরি করতেন। এ বছর, তিনি মাত্র ১ কেজি কুকিজ তৈরি করছেন। তাঁর আশা, এই অল্প পরিমাণ কুকিজই হয়তো শিশুদের কিছুটা সান্ত্বনা দেবে।
শোক ঘিরে রাখলেও এই নারী বিশ্বাস করেন ঈদ উদ্যাপন ‘আল্লাহর দেওয়া সেই সব রীতিনীতির মধ্যে অন্যতম, যা অবশ্যই পুনরুজ্জীবিত করা উচিত।’
গাজার আরেক নারী উম্মে মোহাম্মদ। তিনিও তাঁর নাতি-নাতনিদের জন্য কুকিজ তৈরি করে তাদের ঈদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আনাদোলুকে বলেন, ‘গণহত্যার সময় শিশুরা ঈদের রীতিনীতি থেকে যা হারিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা সামান্য কিছু কুকিজ তৈরি করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা বিরাজ করছে। আমরা তাদের প্রত্যেককে একটি করে কুকি দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করি, এবং আসলে আমরা এর বেশি দিতে পারি না।’
২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসএসইউ) বিভাগ একজন রুশ সেনার ফোনালাপ প্রকাশ করে। ওই কথোপকথনে ওলগা বাইকোভস্কায়া নামের নারী তাঁর স্বামী রাশিয়ান সেনা রোমান বাইকোভস্কিকে বলছিলেন, ‘তুমি ইউক্রেনীয় নারীদের ধর্ষণ করতে পারো, কিন্তু সুরক্ষা ব্যবহার কোরো।’
২ ঘণ্টা আগেভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এমআরটিভির তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতি ২ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই শুল্ক হবে ‘পারস্পরিক’ ও ‘ন্যায্য’। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমান আঘাত
৪ ঘণ্টা আগেইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর বিরোধী দলগুলো তুরস্কের সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য ও সেবা বয়কটের ডাক দিয়েছে। উত্তাল তুরস্কে গত এক দশকের মধ্যে এত বড় বিক্ষোভ আগে কেউ কখনো দেখেনি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা-গ্রেপ্তারের হুমকি উপেক্ষা করে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়েছ
৪ ঘণ্টা আগে