অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সেই দিনের পর থেকে পেরিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার জনে। আহত প্রায় ১ লাখ মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৪২ হাজার ১০ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৭ হাজার ৭২০ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আগ্রাসনের এক বছর পূর্তির দিনে ‘নো দেয়ার নেমস’ বা ‘তাঁদের নাম জেনে রাখুন’—শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল-জাজিরা। এতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিহত ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের বিভিন্ন পরিসংখ্যানসহ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময়ের সংঘাতে গাজায় অন্তত ৯০২টি পরিবার চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই আল-নাজ্জার উপাধি বহন করা একটি পরিবারের কথা বলা হয়েছে। এটি গাজার একটি সাধারণ পরিবারের উপাধি। আরবি আল-নাজ্জার শব্দের অর্থ হলো—কাঠমিস্ত্রি। এক আল-নাজ্জার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল দুই মাস বয়সী জেইন। মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহে বসবাস করত পরিবারটি। গত বছরের ১০ অক্টোবর তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জেইনসহ পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হন এবং আহত হন ২৩ জন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ারওয়ারসের তথ্যমতে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা শুরু করার পর থেকে অন্তত তিনটি আল-নাজ্জার পরিবার ১০ বা তার অধিক সদস্যকে হারিয়েছে। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আল-নিজ্জার পরিবার ছিল ৩৯৩ টি। প্রত্যেক সদস্যকে হারানো অন্য পরিবারগুলোর মধ্যে আল-মাসরি পরিবার ছিল ২২৬ টি, আল-আস্তাল পরিবার ২২৫ টি, আশুর ১৬৬ টি, শাহীন ১৬৪ টি, হামদান ১৫১ টি, আল-মাদুন ১৪৬ টি, আহমদ ১৪৫ টি, ওবেদ ১৪৪টি এবং হিজাযি উপাধি ছিল নিশ্চিহ্ন ১৪১টি পরিবারের। গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আল-আস্তাল পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারেরই তিন প্রজন্মের ৩৮ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ছাড়াও ছিল ২০ শিশু। এ ছাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে মাত্র একজন সদস্য জীবিত আছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৩৬৪টি পরিবারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৫৬ জনই শিশু। নিহতদের বাইরে আরও হাজার হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজের তালিকায় আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং আইডি নম্বরের বিবরণ দিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে আরও হাজার হাজার লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১১৫ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৬ এবং অন্তত ৩১ জন নারী ছিলেন। প্রতিদিন গড়ে পুরুষ মারা গেছে ৩৮ জন।
বর্তমানে গাজার অনেক শিশুই চলমান যুদ্ধে একাধিক আঘাতের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছে। জন্ম থেকেই তারা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে বসবাস করেছে। ১৭ হাজারের বেশি শিশু হয় বাবা নয়তো মা কিংবা উভয়কেই হারিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সেই দিনের পর থেকে পেরিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার জনে। আহত প্রায় ১ লাখ মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৪২ হাজার ১০ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৭ হাজার ৭২০ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আগ্রাসনের এক বছর পূর্তির দিনে ‘নো দেয়ার নেমস’ বা ‘তাঁদের নাম জেনে রাখুন’—শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল-জাজিরা। এতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিহত ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের বিভিন্ন পরিসংখ্যানসহ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময়ের সংঘাতে গাজায় অন্তত ৯০২টি পরিবার চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই আল-নাজ্জার উপাধি বহন করা একটি পরিবারের কথা বলা হয়েছে। এটি গাজার একটি সাধারণ পরিবারের উপাধি। আরবি আল-নাজ্জার শব্দের অর্থ হলো—কাঠমিস্ত্রি। এক আল-নাজ্জার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল দুই মাস বয়সী জেইন। মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহে বসবাস করত পরিবারটি। গত বছরের ১০ অক্টোবর তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জেইনসহ পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হন এবং আহত হন ২৩ জন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ারওয়ারসের তথ্যমতে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা শুরু করার পর থেকে অন্তত তিনটি আল-নাজ্জার পরিবার ১০ বা তার অধিক সদস্যকে হারিয়েছে। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আল-নিজ্জার পরিবার ছিল ৩৯৩ টি। প্রত্যেক সদস্যকে হারানো অন্য পরিবারগুলোর মধ্যে আল-মাসরি পরিবার ছিল ২২৬ টি, আল-আস্তাল পরিবার ২২৫ টি, আশুর ১৬৬ টি, শাহীন ১৬৪ টি, হামদান ১৫১ টি, আল-মাদুন ১৪৬ টি, আহমদ ১৪৫ টি, ওবেদ ১৪৪টি এবং হিজাযি উপাধি ছিল নিশ্চিহ্ন ১৪১টি পরিবারের। গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আল-আস্তাল পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারেরই তিন প্রজন্মের ৩৮ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ছাড়াও ছিল ২০ শিশু। এ ছাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে মাত্র একজন সদস্য জীবিত আছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৩৬৪টি পরিবারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৫৬ জনই শিশু। নিহতদের বাইরে আরও হাজার হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজের তালিকায় আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং আইডি নম্বরের বিবরণ দিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে আরও হাজার হাজার লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১১৫ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৬ এবং অন্তত ৩১ জন নারী ছিলেন। প্রতিদিন গড়ে পুরুষ মারা গেছে ৩৮ জন।
বর্তমানে গাজার অনেক শিশুই চলমান যুদ্ধে একাধিক আঘাতের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছে। জন্ম থেকেই তারা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে বসবাস করেছে। ১৭ হাজারের বেশি শিশু হয় বাবা নয়তো মা কিংবা উভয়কেই হারিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
৯ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
১০ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে