অনলাইন ডেস্ক
গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালান হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর রকেট লঞ্চার ও একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) ‘সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার’ নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় এক শিশুসহ দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, লেবানন যেন নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে। তবে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা এই রকেট হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং ১৪ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তারা এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সকালে লেবাননের দিক থেকে ছোড়া তিনটি রকেট ইসরায়েলের উত্তরের মেতুলা শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ধ্বংস করা হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর কয়েক ঘণ্টা পর লেবাননের সেনাবাহিনী জানায়, তারা একটি অভিযানে তিনটি অস্থায়ী রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে। পরে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আবারও ইসরায়েলে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এবং যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলে তা বেশ নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জানিয়েছে, তারা এই অভিযান অব্যাহত রাখবে যাতে হিজবুল্লাহ পুনরায় শক্তিশালী হতে না পারে।
লেবাননের সরকার বলছে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। যা দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের সেনাদের ওই সব এলাকা থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, লেবাননের সেনাবাহিনী এখনো পুরোপুরি ওই সব এলাকায় মোতায়েন হয়নি। তাই সীমান্ত নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সেনা উপস্থিত থাকা জরুরি।
ইসরায়েলে শনিবারের এই রকেট হামলা লেবানন সরকারের ওপর আরও চাপ তৈরি করবে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশটিতে কেবল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকা উচিত। এই মন্তব্য হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারের বিষয়ে পরোক্ষ ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, লেবাননের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকার যদি হিজবুল্লাহর শক্তি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা লেবাননকে আর্থিক সহায়তা দিতে অনাগ্রহী থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসের হামলার পরদিন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। এরপর এই সংঘাত তীব্র আকার নেয়, ইসরায়েল লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান পরিচালনা করে।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে লেবাননে প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া, ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, উত্তরের শহরগুলো থেকে হিজবুল্লাহর হুমকি দূর করাই তাদের এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল।
গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালান হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর রকেট লঞ্চার ও একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) ‘সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার’ নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় এক শিশুসহ দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, লেবানন যেন নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে। তবে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা এই রকেট হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং ১৪ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তারা এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সকালে লেবাননের দিক থেকে ছোড়া তিনটি রকেট ইসরায়েলের উত্তরের মেতুলা শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ধ্বংস করা হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর কয়েক ঘণ্টা পর লেবাননের সেনাবাহিনী জানায়, তারা একটি অভিযানে তিনটি অস্থায়ী রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে। পরে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আবারও ইসরায়েলে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এবং যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলে তা বেশ নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জানিয়েছে, তারা এই অভিযান অব্যাহত রাখবে যাতে হিজবুল্লাহ পুনরায় শক্তিশালী হতে না পারে।
লেবাননের সরকার বলছে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। যা দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের সেনাদের ওই সব এলাকা থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, লেবাননের সেনাবাহিনী এখনো পুরোপুরি ওই সব এলাকায় মোতায়েন হয়নি। তাই সীমান্ত নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সেনা উপস্থিত থাকা জরুরি।
ইসরায়েলে শনিবারের এই রকেট হামলা লেবানন সরকারের ওপর আরও চাপ তৈরি করবে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশটিতে কেবল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকা উচিত। এই মন্তব্য হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারের বিষয়ে পরোক্ষ ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, লেবাননের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকার যদি হিজবুল্লাহর শক্তি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা লেবাননকে আর্থিক সহায়তা দিতে অনাগ্রহী থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসের হামলার পরদিন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। এরপর এই সংঘাত তীব্র আকার নেয়, ইসরায়েল লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান পরিচালনা করে।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে লেবাননে প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া, ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, উত্তরের শহরগুলো থেকে হিজবুল্লাহর হুমকি দূর করাই তাদের এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল।
মার্কিন হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন পৃথক বৈঠকে কৃষ্ণ সাগরে বলপ্রয়োগ বন্ধের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে এই আলোচনা সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মিনিট আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ইউনিফিকেশন চার্চ ১৯৬০-এর দশক থেকে জাপানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সান মিয়ং মুনের নাম থেকেই ‘মুনিজ’ নামটি এসেছে। চার্চটি হাজার হাজার যুগলের একযোগে বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অতীতে আলোচিত হয়েছে এবং আত্মার মুক্তির জন্য বিবাহকে কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে প্রচার করে
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বর্তমানে ৬ বুলগেরিয়ানের বিচার চলছে। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও দুই নারী—সভেতেলিনা জেনচেভা এবং সভেতানকা দনচেভা। তাঁদের পরিচয় এবারই প্রথম প্রকাশ্যে এল।
৩ ঘণ্টা আগেএক বিবৃতিতে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে কুনাল জানান, তিনি যে কোনো আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশ এবং আদালতকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইন কি সমানভাবে প্রয়োগ হবে, নাকি যারা একটি কৌতুকে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে?’
৫ ঘণ্টা আগে