Ajker Patrika

থাইল্যান্ড-মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ১১: ১২
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: এএফপি
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের পর কয়েক ঘণ্টা পরও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধানে মরিয়া হয়ে খননকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত মান্দালয় অঞ্চলে অন্তত ৬৯৪ জন নিহত এবং প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আরও প্রায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সড়ক, সেতু ও ভবনের মতো অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বর্তমানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে মধ্য মিয়ানমারের সাগাইন শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পরেই ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভবন ধসে পড়েছে, সেতু ভেঙে গেছে এবং রাস্তা দেবে গেছে। দুর্গম এলাকায় দুর্বল যোগাযোগের কারণে অনেকে মনে করছেন দুর্যোগের প্রকৃত চিত্র এখনো সামনে আসেনি। ব্যাংককে উদ্ধারকারীরা শুক্রবার রাতে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা অট্টালিকার ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের সন্ধানে কাজ করছে। ঝাঁকুনির ধাক্কায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি ধ্বংসস্তূপ ও মোড়ানো ধাতব স্তূপে পরিণত হয়।

ব্যাংককের গভর্নর চাদচার্ট সিট্টিপান্ট বলেছেন, শহরজুড়ে প্রায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই আকাশচুম্বী অট্টালিকা ধসে মারা গেছেন। তবে পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান চাতুচাক উইকেন্ড মার্কেটের কাছে অবস্থিত ওই নির্মাণস্থলে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের চাদচার্ট বলেন, ‘আমাদের যা সরঞ্জাম আছে তা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কারণ প্রতিটি জীবন মূল্যবান।’ গভর্নর বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, যত দ্রুত সম্ভব তাদের সবাইকে বাঁচানো।’

ব্যাংকক সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শহরের ২ হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নিরাপত্তার জন্য ১০০ জনের বেশি প্রকৌশলীকে মোতায়েন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত