ডিজিটাল পেমেন্ট বা কাগুজে মুদ্রার ব্যবহার ছাড়াই লেনদেন ব্যবস্থার জন্য অগ্রগামী ছিল নর্ডিক দেশগুলো। কিন্তু এখন এই দেশগুলোতে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই বিষয়ে সোমবার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—২০১৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সাবেক ডেপুটি গভর্নর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি থেকে সম্ভবত সম্পূর্ণভাবে কাগুজে নাই হয়ে যাবে।
সাত বছর পর, সেই ভবিষ্যদ্বাণী অনেকটাই সত্যি হয়েছে। দেশটিতে মাত্র ১০ শতাংশ লেনদেন এখন নগদে হয়। বর্তমানে কার্ড হলো দেশটির সবচেয়ে প্রচলিত পেমেন্ট পদ্ধতি। এরপরই রয়েছে মোবাইল পেমেন্ট ব্যবস্থা।
সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বার্ষিক পেমেন্ট প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, জিডিপির শতাংশ হিসেবে সুইডেন ও নরওয়েতে পৃথিবীর সবচেয়ে কম নগদ প্রচলিত রয়েছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি হঠাৎ করেই এবার উল্টো মোড় নিতে শুরু করেছে। এর পেছনে কয়েকটি বড় কারণও রয়েছে। ইউরোপে যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চয়তা এবং রাশিয়ার হাইব্রিড হামলার আশঙ্কা এখন দেশটিতে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আবারও নগদ অর্থের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে দেশটিতে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষই নাগরিকদের নগদ অর্থ রাখার এবং ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছে। এটিকে নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত নভেম্বরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি বাড়িতে একটি নির্দেশিকা পাঠায়, যার শিরোনাম ছিল—যদি সংকট বা যুদ্ধ আসে।
ওই নির্দেশিকায় জনগণকে নিয়মিত নগদ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং কমপক্ষে এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ বিভিন্ন মূল্যের নোট আকারে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানানো হয়।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নগদ না থাকার কারণে কেউ যেন সংকটে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
গত ডিসেম্বরে সুইডিশ সরকার একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখানে কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নগদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সুইডেন একমাত্র নর্ডিক দেশ নয়, যারা নগদহীন সমাজ গঠনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে। নরওয়েতেও নগদ লেনদেন নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছর নরওয়ে এমন একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের নগদ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় তাঁরা জরিমানা বা শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
নরওয়ের সরকার নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে—সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির কারণে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার দুর্বলতা বিবেচনা করে কিছু নগদ সংরক্ষণ করা জরুরি।
নরওয়ের সাবেক বিচার ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এমিলি মেহল স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘যদি কেউ নগদ ব্যবহার না করে এবং কেউ নগদ গ্রহণ না করে, তাহলে সংকটের সময় নগদ আর কার্যকর বিকল্প হিসেবে থাকবে না।’
ডিজিটাল পেমেন্ট বা কাগুজে মুদ্রার ব্যবহার ছাড়াই লেনদেন ব্যবস্থার জন্য অগ্রগামী ছিল নর্ডিক দেশগুলো। কিন্তু এখন এই দেশগুলোতে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই বিষয়ে সোমবার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—২০১৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সাবেক ডেপুটি গভর্নর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি থেকে সম্ভবত সম্পূর্ণভাবে কাগুজে নাই হয়ে যাবে।
সাত বছর পর, সেই ভবিষ্যদ্বাণী অনেকটাই সত্যি হয়েছে। দেশটিতে মাত্র ১০ শতাংশ লেনদেন এখন নগদে হয়। বর্তমানে কার্ড হলো দেশটির সবচেয়ে প্রচলিত পেমেন্ট পদ্ধতি। এরপরই রয়েছে মোবাইল পেমেন্ট ব্যবস্থা।
সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বার্ষিক পেমেন্ট প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, জিডিপির শতাংশ হিসেবে সুইডেন ও নরওয়েতে পৃথিবীর সবচেয়ে কম নগদ প্রচলিত রয়েছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি হঠাৎ করেই এবার উল্টো মোড় নিতে শুরু করেছে। এর পেছনে কয়েকটি বড় কারণও রয়েছে। ইউরোপে যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চয়তা এবং রাশিয়ার হাইব্রিড হামলার আশঙ্কা এখন দেশটিতে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আবারও নগদ অর্থের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে দেশটিতে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষই নাগরিকদের নগদ অর্থ রাখার এবং ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছে। এটিকে নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত নভেম্বরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি বাড়িতে একটি নির্দেশিকা পাঠায়, যার শিরোনাম ছিল—যদি সংকট বা যুদ্ধ আসে।
ওই নির্দেশিকায় জনগণকে নিয়মিত নগদ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং কমপক্ষে এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ বিভিন্ন মূল্যের নোট আকারে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানানো হয়।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নগদ না থাকার কারণে কেউ যেন সংকটে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
গত ডিসেম্বরে সুইডিশ সরকার একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখানে কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নগদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সুইডেন একমাত্র নর্ডিক দেশ নয়, যারা নগদহীন সমাজ গঠনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে। নরওয়েতেও নগদ লেনদেন নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছর নরওয়ে এমন একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের নগদ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় তাঁরা জরিমানা বা শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
নরওয়ের সরকার নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে—সাইবার আক্রমণের ঝুঁকির কারণে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার দুর্বলতা বিবেচনা করে কিছু নগদ সংরক্ষণ করা জরুরি।
নরওয়ের সাবেক বিচার ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এমিলি মেহল স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘যদি কেউ নগদ ব্যবহার না করে এবং কেউ নগদ গ্রহণ না করে, তাহলে সংকটের সময় নগদ আর কার্যকর বিকল্প হিসেবে থাকবে না।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে। একসময় এই সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল। আফ্রিকায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় এই সফরটি ইউক্রেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
১৩ মিনিট আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বুধবার একাধিক কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার আরও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। এবার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা সব ধরনের ভিসা বাতিল ও নতুন ভিসা পরিষেবা
২৮ মিনিট আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। পুলিশ সন্দেহভাজনদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করেছে। এ ছাড়া তাঁদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে বা ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষ
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার ৯০ শতাংশ বাড়িই হয় ধ্বংস হয়েছে, নয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত, গাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণেই, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর-ওসিএইচএ এর তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
৩ ঘণ্টা আগে