ডয়চে ভেলে
জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ লাখ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে টোকিও। প্রক্রিয়াজাত তেজস্ক্রিয় পানি মানুষ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়—এমনটি বোঝানোর চেষ্টাও করছে জাপান।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) অনুমোদনের বরাত দিয়ে তারা বলছে, নিষ্পত্তির পদ্ধতিটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ ছিল। তবে আইইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিষ্কাশন করা জল পরিবেশের ওপর ‘স্বল্পমাত্রায় তেজস্ক্রিয় প্রভাব’ ফেলবে।
জাপান সরকার এবং ২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে বিকল হওয়া প্ল্যান্টের অপারেটর আইএইএর অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
জাপানের বেশির ভাগ নাগরিক মনে করেন, কারখানার পানি থেকে কার্যত সমস্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ সরানো হয়েছে এবং তাই এখন প্রশান্ত মহাসাগরে এসব পানি নিঃসারণ করা যায়। তবে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেকেই জাপানের সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী রাজনীতিকেরা টোকিওর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় পরিষদে বসার পরিকল্পনা করছিলেন। শনিবারও পার্লামেন্টের বাইরে সমাবেশের পরিকল্পনা করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি।
চীনের ক্ষোভ প্রকাশ
টোকিওতে চীনা রাষ্ট্রদূত উ জিয়াংহাও গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেইজিংয়ের এই পরিকল্পনার বিরোধিতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা থেকে দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
জিয়াংহাও উল্লেখ করেন, চীন উত্তর-পূর্ব জাপানের ১০টি জায়গা থেকে সমস্ত খাদ্যসামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ২০১১ সালের মার্চে ভূমিকম্প (রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৯) ও সুনামির পরে ফুকুশিমা প্ল্যান্টের তিনটি চুল্লির গলিত হওয়ার দ্বারা সবচেয়ে গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এগুলো। চীন প্রস্তাব করে যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জাপানের বাকি অংশের জন্য জারি হতে পারে।
তার কথায়, ‘চীন কী পদক্ষেপ নেবে, পরবর্তী পর্যায়ে আমরা কী করব, তা নির্ভর করছে জাপানের নিষ্কাশন পরিকল্পনার উন্নয়নের ওপর।’
পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদ
পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলোও এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। গত বুধবার সোলে বিক্ষোভকারীরা এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান। জাপান সরকারের পরিকল্পনার সমর্থনে আইএইএর পেশ করা রিপোর্ট প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রিনপিস টোকিওকে সমুদ্রের আইনসংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
টোকিওভিত্তিক সিটিজেনস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন সেন্টারের সেক্রেটারি জেনারেল হাজিমে মাতসুকুবো এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নই। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের কাছে আরও অনেক ভালো বিকল্প আছে। এখানে আরও ট্যাংক নির্মাণ না করার কোনো কারণ নেই, ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করা যেত। রেডিওনিউক্লাইড অপসারণের জন্য আরও ভালো প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা চালু করা যেত।’
তার কথায়, ‘জাপান এসবের পরিবর্তে সবচেয়ে সহজ ও সস্তার বিকল্পটি বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি তারা এই বিকল্প বেছে নিয়েছে, কারণ এটি ব্যয়বহুল নয়।’
আইএইএর সমস্যা
মাতসুকুবো বলেন, জাপান সরকার আইএইএর সমর্থনের অভিব্যক্তিকে ব্যবহার করছে। প্রায় নিশ্চিতভাবে গ্রীষ্মকাল শেষের আগে এটি শুরু হওয়ার কথা। তবে এর জন্য কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ নেই।
তার প্রশ্ন, ‘টেপকো বলছে যে জল ছেড়ে দেওয়া সামগ্রিক ডিকমিশন পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পাওয়ার স্টেশনটি স্থিতিশীল এবং বিচ্ছিন্ন করার জন্য কখনো বিশদ সময়সূচি ছিল না, তাহলে কেন এটি প্রয়োজনীয়?’
মাতসুকুবো আইএইএর স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে এটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলোর অর্থায়নে চলে এবং মূলত পারমাণবিক শক্তির প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত। জাপানের পারমাণবিক সেক্টরের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে, অন্তত ফুকুশিমা প্ল্যান্টে নয়, টেপকো এবং জাপান সরকারের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন করা উচিত।
মাতসুকুবোর কথায়, ‘সরকার বলছে এএলপিএস (অ্যাডভান্সড লিকুইড প্রসেসিং সিস্টেম) জল থেকে বিভিন্ন রেডিওনিউক্লাইড অপসারণ করছে, যাতে এটিকে আগের তুলনায় পাতলা করে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া যায়৷ কিন্তু জলের কোনো আলাদা পরীক্ষা করা হয়নি, তাহলে আমরা কীভাবে নিশ্চিত হতে পারি?’
জুনের প্রথম দিকে টেপকোর জারি করা একটি রিপোর্ট দেখায় যে ৭০ শতাংশের বেশি জল নির্গত হওয়ার কারণে এএলপিএল সিস্টেমের সঙ্গে প্রক্রিয়া করার পরেও বিকিরণ থেকে দূষণমুক্ত করার আইনি মান পূরণ করে না৷ সংস্থাটি তখন বলেছিল, প্রয়োজনীয় মানগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জল শুদ্ধ করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে তারা।
বিশ্বের পারমাণবিক বিপর্যয়ের ১২ বছরেরও বেশি সময় পরে জাপানের আশা, ঘটনাস্থলের স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলো থেকে জল ছেড়ে দেওয়া দীর্ঘস্থায়ী ডিকমিশন প্রক্রিয়ার আরেকটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে৷ এতে কমপক্ষে ৪০ বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ এবং অপসারণের জন্য প্রযুক্তির প্রয়োজন, যা এখনো ঠিক হয়নি৷
স্থানীয় বিরোধিতা
টেম্পল ইউনিভার্সিটির টোকিও ক্যাম্পাসের রাজনীতির অধ্যাপক হিরোমি মুরাকামি বলেন, ‘স্থানীয় জনগণ এবং উত্তর-পূর্ব জাপানের মৎস্যজীবীরা ক্রমাগত এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে৷ কারণ তাদের ধারণা, এটি তাদের ব্যবসা ও জীবনযাত্রায় গুরুতর প্রভাব ফেলবে৷ কিন্তু জাপানের অনেকের বক্তব্য, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও বেশি জল সংরক্ষণ করা সম্ভব৷’
তার কথায়, ‘আস্থা অর্জন করতে টেপকোকে আরও খাটতে হবে৷ জাপানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিশ্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে সব সময় প্রশ্ন থাকবে, কিন্তু আমরা এখন এই পরিস্থিতিতে আছি৷ আমাদের ধরে নিতে হবে এটাই সেরা পদক্ষেপ৷’
জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ লাখ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে টোকিও। প্রক্রিয়াজাত তেজস্ক্রিয় পানি মানুষ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়—এমনটি বোঝানোর চেষ্টাও করছে জাপান।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) অনুমোদনের বরাত দিয়ে তারা বলছে, নিষ্পত্তির পদ্ধতিটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ ছিল। তবে আইইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিষ্কাশন করা জল পরিবেশের ওপর ‘স্বল্পমাত্রায় তেজস্ক্রিয় প্রভাব’ ফেলবে।
জাপান সরকার এবং ২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে বিকল হওয়া প্ল্যান্টের অপারেটর আইএইএর অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
জাপানের বেশির ভাগ নাগরিক মনে করেন, কারখানার পানি থেকে কার্যত সমস্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ সরানো হয়েছে এবং তাই এখন প্রশান্ত মহাসাগরে এসব পানি নিঃসারণ করা যায়। তবে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেকেই জাপানের সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী রাজনীতিকেরা টোকিওর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় পরিষদে বসার পরিকল্পনা করছিলেন। শনিবারও পার্লামেন্টের বাইরে সমাবেশের পরিকল্পনা করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি।
চীনের ক্ষোভ প্রকাশ
টোকিওতে চীনা রাষ্ট্রদূত উ জিয়াংহাও গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেইজিংয়ের এই পরিকল্পনার বিরোধিতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা থেকে দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
জিয়াংহাও উল্লেখ করেন, চীন উত্তর-পূর্ব জাপানের ১০টি জায়গা থেকে সমস্ত খাদ্যসামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ২০১১ সালের মার্চে ভূমিকম্প (রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৯) ও সুনামির পরে ফুকুশিমা প্ল্যান্টের তিনটি চুল্লির গলিত হওয়ার দ্বারা সবচেয়ে গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এগুলো। চীন প্রস্তাব করে যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জাপানের বাকি অংশের জন্য জারি হতে পারে।
তার কথায়, ‘চীন কী পদক্ষেপ নেবে, পরবর্তী পর্যায়ে আমরা কী করব, তা নির্ভর করছে জাপানের নিষ্কাশন পরিকল্পনার উন্নয়নের ওপর।’
পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদ
পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলোও এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। গত বুধবার সোলে বিক্ষোভকারীরা এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান। জাপান সরকারের পরিকল্পনার সমর্থনে আইএইএর পেশ করা রিপোর্ট প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রিনপিস টোকিওকে সমুদ্রের আইনসংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
টোকিওভিত্তিক সিটিজেনস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন সেন্টারের সেক্রেটারি জেনারেল হাজিমে মাতসুকুবো এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নই। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের কাছে আরও অনেক ভালো বিকল্প আছে। এখানে আরও ট্যাংক নির্মাণ না করার কোনো কারণ নেই, ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করা যেত। রেডিওনিউক্লাইড অপসারণের জন্য আরও ভালো প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা চালু করা যেত।’
তার কথায়, ‘জাপান এসবের পরিবর্তে সবচেয়ে সহজ ও সস্তার বিকল্পটি বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি তারা এই বিকল্প বেছে নিয়েছে, কারণ এটি ব্যয়বহুল নয়।’
আইএইএর সমস্যা
মাতসুকুবো বলেন, জাপান সরকার আইএইএর সমর্থনের অভিব্যক্তিকে ব্যবহার করছে। প্রায় নিশ্চিতভাবে গ্রীষ্মকাল শেষের আগে এটি শুরু হওয়ার কথা। তবে এর জন্য কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ নেই।
তার প্রশ্ন, ‘টেপকো বলছে যে জল ছেড়ে দেওয়া সামগ্রিক ডিকমিশন পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পাওয়ার স্টেশনটি স্থিতিশীল এবং বিচ্ছিন্ন করার জন্য কখনো বিশদ সময়সূচি ছিল না, তাহলে কেন এটি প্রয়োজনীয়?’
মাতসুকুবো আইএইএর স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে এটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলোর অর্থায়নে চলে এবং মূলত পারমাণবিক শক্তির প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত। জাপানের পারমাণবিক সেক্টরের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে, অন্তত ফুকুশিমা প্ল্যান্টে নয়, টেপকো এবং জাপান সরকারের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন করা উচিত।
মাতসুকুবোর কথায়, ‘সরকার বলছে এএলপিএস (অ্যাডভান্সড লিকুইড প্রসেসিং সিস্টেম) জল থেকে বিভিন্ন রেডিওনিউক্লাইড অপসারণ করছে, যাতে এটিকে আগের তুলনায় পাতলা করে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া যায়৷ কিন্তু জলের কোনো আলাদা পরীক্ষা করা হয়নি, তাহলে আমরা কীভাবে নিশ্চিত হতে পারি?’
জুনের প্রথম দিকে টেপকোর জারি করা একটি রিপোর্ট দেখায় যে ৭০ শতাংশের বেশি জল নির্গত হওয়ার কারণে এএলপিএল সিস্টেমের সঙ্গে প্রক্রিয়া করার পরেও বিকিরণ থেকে দূষণমুক্ত করার আইনি মান পূরণ করে না৷ সংস্থাটি তখন বলেছিল, প্রয়োজনীয় মানগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জল শুদ্ধ করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে তারা।
বিশ্বের পারমাণবিক বিপর্যয়ের ১২ বছরেরও বেশি সময় পরে জাপানের আশা, ঘটনাস্থলের স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলো থেকে জল ছেড়ে দেওয়া দীর্ঘস্থায়ী ডিকমিশন প্রক্রিয়ার আরেকটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে৷ এতে কমপক্ষে ৪০ বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ এবং অপসারণের জন্য প্রযুক্তির প্রয়োজন, যা এখনো ঠিক হয়নি৷
স্থানীয় বিরোধিতা
টেম্পল ইউনিভার্সিটির টোকিও ক্যাম্পাসের রাজনীতির অধ্যাপক হিরোমি মুরাকামি বলেন, ‘স্থানীয় জনগণ এবং উত্তর-পূর্ব জাপানের মৎস্যজীবীরা ক্রমাগত এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে৷ কারণ তাদের ধারণা, এটি তাদের ব্যবসা ও জীবনযাত্রায় গুরুতর প্রভাব ফেলবে৷ কিন্তু জাপানের অনেকের বক্তব্য, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও বেশি জল সংরক্ষণ করা সম্ভব৷’
তার কথায়, ‘আস্থা অর্জন করতে টেপকোকে আরও খাটতে হবে৷ জাপানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিশ্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে সব সময় প্রশ্ন থাকবে, কিন্তু আমরা এখন এই পরিস্থিতিতে আছি৷ আমাদের ধরে নিতে হবে এটাই সেরা পদক্ষেপ৷’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশের হাতে ‘ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত’ নতুন ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে। এই ‘ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র’কে বাধা দেওয়া যায় না। ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এক দিন পর গত শুক্রবার এক অনির্ধারিত টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
৭ মিনিট আগেইয়াসমিন ঈদ বলেন, ‘আমার মেয়েরা ক্ষুধার তাড়নায় তাদের আঙুল চুষে, আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই।’ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলায় জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। খাবারের অভাবে অনেক মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
১০ ঘণ্টা আগেহেজ ফান্ডের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬২ বছর বয়সী বেসেন্ট, বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে’র প্রতিষ্ঠাতা।
১১ ঘণ্টা আগে