অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশটির শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মা–বাবারা প্রায়ই বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের হয়রানি করেন। দিনে রাতে যেকোনো সময়, এমনকি ছুটির দিনেও তাঁরা ফোন করে অবিরাম অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষক লি মিন–সো গত ৫ জুন তাঁর ডায়েরিতে লেখেন, শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই তাঁর মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। ‘আমার বুক ভারী হয়ে আসছে। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও পড়ে যাব। আমি কোথায় আছি তাও জানি না!’
গত ৩ জুলাই ডায়েরিতে তিনি লেখেন, কাজের চাপে তাঁর উন্মাদ হওয়ার অবস্থা। চাকরি ছেড়ে দিতে চান।
এর দুই সপ্তাহ পরে সহকর্মীরা শ্রেণিকক্ষের আলমারি থেকে ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বিবিসি ভুক্তভোগীর পরিবারের অনুরোধে তাঁর নাম গোপন রেখেছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিন–সোর শূন্য অ্যাপার্টমেন্টে এখন শুধু অ্যাকুয়ারিয়ামে যত্ন করে রাখা গোল্ডফিশই থাকে। তাঁর এলোমেলো বিছানার পাশে জমে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির স্তূপ। সেসব ছবিতে শিক্ষার্থীরা লিখে রেখেছে তারা মিন–সোকে কতটা ভালোবাসে! এর নিচেই পড়ে আছে হতাশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ডায়েরি।
মিন–সোর শূন্য ঘর গোছানোর ছুতোয় চোখের পানি লুকোচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই পার্ক দু ইয়ং। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় মিন–সো শিক্ষকতা করেছেন। মায়ের দেখাদেখি এ পেশায় আসা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল। বাচ্চাদের খুব পছন্দ করতেন।’
মিন–সোর মৃত্যুর পর পুলিশ এ আত্মহত্যার জন্য সাম্প্রতিক কোনো বিচ্ছেদকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এরপর পার্ক নিজেই গোয়েন্দার ভূমিকা নিয়ে মিন–সোর ডায়েরি, মেসেজ ও কাজের নথি খুঁজে বের করেন।
সে কাগজপত্রগুলো থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মিন–সোকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অযথা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এক শিক্ষার্থী পেনসিল দিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত করে। এ নিয়ে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।
ছয় সপ্তাহ ধরে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সিউলে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিহিত হওয়ার ভয়ে এতটাই ভীত যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখাতে বা তাদের মারামারির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না।
শিক্ষকেরা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালে পাস হওয়া এ আইন অনুসারে, কোনো শিক্ষক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বরখাস্ত হবেন।
কোনো আক্রমণাত্মক শিশুকে বাধা দিলে সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হতে পারে। শিশুকে মুখে বাধা দিলেও তা হবে মানসিক নির্যাতন। এসব অভিযোগের ফলে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, এক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে প্রতিদিন সকালে ফোনকল করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষক সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকি সহপাঠীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ায় শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর পুরস্কারের স্টিকার তুলে ফেলার ঘটনাতেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে ২৮ বছর বয়সী এক শিক্ষক কিম জিন–সিও বলেন, তাঁরও আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এসেছিল এবং নিজেকে সামলাতে তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি এক অবাধ্য শিক্ষার্থীকে বাথরুমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে শান্ত হয়ে আসতে বলেন। আরেক ঘটনায়, তিনি এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবা–মায়ের কাছে মারামারির অভিযোগ দেন। দুই ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
কিম বলেন, তিনি এতোটাই কোণঠাসা বোধ করছেন যে, তাঁর মনে হয়, তিনি আর নিরাপদে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করি। যারা সরাসরি ভুক্তভোগী তাঁরা মানসিকভাবে বদলে গেছেন, আর যারা ভুক্তভোগী নন তাঁরা অন্যদের ভুগতে দেখেছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন অভিযোগের সংস্কৃতির পেছনে ভয়ানক প্রতিযোগিতাপূর্ণ সমাজও কিছুটা দায়ী। শিশুরা ছোটকাল থেকেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, যাতে ভবিষ্যতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকেরা সন্তানকে অতিরিক্ত–পাঠ্যক্রম এমন ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান। স্কুলের পরে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকে।
আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দম্পতিরা যেখানে ৫–৬টি সন্তান নিতেন, এখনকার দম্পতিরা সেখানে মাত্র একটি সন্তান নেন। ফলে সেই সন্তানের ওপর তাঁদের প্রত্যাশাও থাকে অনেক বেশি।
অধ্যাপক কিম বং–জে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অসমতাও এ পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ী।
কোরিয়ার সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের সম্মান করার কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু দেশটির রকেট গতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক অভিভাবকই এখন উচ্চশিক্ষিত। এই অভিভাবকেরা শিক্ষকদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন।
শিক্ষক কেওন বলেন, তাঁর ১০ বছরের শিক্ষকতায় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কারণে বিষণ্নতা ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ অসুস্থতার ছুটি নিয়েছিলেন।
চার বছর আগেও অবাধ্য শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে বা বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে অভিভাবকেরা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা শুরু করেছেন। শিক্ষক কেওন সম্প্রতি একটি তুলনামূলক দরিদ্র এলাকার স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধনী এলাকার অভিভাবকদের আচার–ব্যবহার বেশি আপত্তিকর।’
কলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে