অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে পারে। এদিকে থাইল্যান্ডে এখনো ৭০ জনের বেশি নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে মানবিক সংকট আরও গভীর
ভূমিকম্পের আগেই মিয়ানমারের মানবিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত দেশটিতে এখন ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত সাগাইং অঞ্চল বর্তমানে গৃহযুদ্ধের একটি প্রধান রণক্ষেত্র। এই অঞ্চলি প্রজাতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের শক্ত ঘাঁটি। যারা ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষুধা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের আগেই জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল, এই বছর দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় দুই কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হবে। ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
বিবিসির একটি সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাগাইংসহ সমগ্র মিয়ানমারে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে; যা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে অত্যন্ত জটিল করে তুলবে। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বর্তমানে দেশের মাত্র এক-চতুর্থাংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। স্বাধীন মিডিয়া কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য কমে যাওয়ায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখন হাজারো মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় সংঘর্ষ এবং যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারে জরুরি সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু জান্তা সরকারের নিষেধাজ্ঞা এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত পর্যাপ্ত সাহায্য না পৌঁছায়, তাহলে মিয়ানমারে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে পারে। এদিকে থাইল্যান্ডে এখনো ৭০ জনের বেশি নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে মানবিক সংকট আরও গভীর
ভূমিকম্পের আগেই মিয়ানমারের মানবিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত দেশটিতে এখন ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত সাগাইং অঞ্চল বর্তমানে গৃহযুদ্ধের একটি প্রধান রণক্ষেত্র। এই অঞ্চলি প্রজাতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের শক্ত ঘাঁটি। যারা ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষুধা ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের আগেই জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল, এই বছর দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় দুই কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হবে। ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
বিবিসির একটি সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাগাইংসহ সমগ্র মিয়ানমারে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে; যা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে অত্যন্ত জটিল করে তুলবে। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বর্তমানে দেশের মাত্র এক-চতুর্থাংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। স্বাধীন মিডিয়া কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য কমে যাওয়ায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখন হাজারো মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় সংঘর্ষ এবং যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারে জরুরি সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু জান্তা সরকারের নিষেধাজ্ঞা এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত পর্যাপ্ত সাহায্য না পৌঁছায়, তাহলে মিয়ানমারে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। পেসকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গঠন
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সফলতা প্রদর্শনে বড় ধরনের বাজি ধরতে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বর্ণযুগ’ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেনেপালে রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী কমান্ডার দুর্গা প্রসাদ। মাওবাদী নেতার হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠা পরিস্থিতিকে আরও জটিল
১১ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে