ঘন বিষাক্ত ধোঁয়াশায় কেন ডুবে যায় উত্তর ভারত-পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ৫১
গত ২৩ অক্টোবর লাহোরের একটি রাস্তা প্রায় ঢেকে গেছে ঘন ধোঁয়াশায়। ছবি: এএফপি

দীপাবলি শুরুর কয়েক আগেই আবারও ঘন, বিষাক্ত ধোঁয়াশা ঢেকে দিয়েছে উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে। বৈশ্বিক বায়ুর গুণমান শনাক্তকারী IQAir-এর মতে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুর মানের সূচক আজ সোমবার সকালে প্রায় ২৫০ ছিল, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।

সিএনএন জানিয়েছে, পাকিস্তানের লাহোর শহরের দূরত্ব ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। আজ সেখানে বাতাসের মান বিপজ্জনক মাত্রা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর বাতাসের জন্য নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে লাহোরের মাত্রা ৬৫ গুন বেশি। বাতাসের এমন পরিণতি লাহোরকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর করে তুলেছে।

এদিকে শীত যত এগিয়ে আসছে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। একদিকে শীতের ধোঁয়াশা মৌসুম ঘনিয়ে আসছে। এর সঙ্গে কৃষিজ বর্জ্য, কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যানজট এবং তৃণভূমি পোড়ানোর কারণে একটি অশুভ হলুদ কুয়াশা পুরো আকাশ ঢেকে দিচ্ছে।

এর মধ্যেই আবার আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দুদের দীপাবলি উৎসব। পাঁচ দিনের এই উৎসবে সাধারণত মানুষেরা পরিবারের সঙ্গে জড়ো হয়, খাওয়া-দাওয়া এবং ভূরিভোজ করে। আর এই সময়টিতেই বিপুল আতশবাজি পোড়ানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এটি বায়ু দূষণকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

ভারতের বায়ু দূষণ এতটাই খারাপ প্রমাণিত হয়েছে যে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—এই ধোঁয়াশা কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। এ অবস্থায় এই বায়ু দূষণের কারণ কী, তা জানতে উদ্গ্রীব হয়েছে বিশেষজ্ঞ সহ স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিশেষ করে দিল্লি এবং এর প্রতিবেশী রাজ্যগুলো একে অপরকে দোষারোপ করে এমন ধোঁয়াশার কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। দিল্লিতে এর আগে দীপাবলির আগে পটকা ব্যবহার ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নীতিটি কার্যকর করা কঠিন ছিল।

এদিকে গত সপ্তাহেই ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের সরকারকে বেআইনি খড় পোড়ানো দমন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য নিন্দা করেছে। এটি এমন ঐতিহ্য যার মাধ্যমে কৃষকেরা আগাছা পরিষ্কার এবং তাঁদের ফসলের বর্জ্যকে পরিষ্কার করতে খেতের মধ্যেই পুড়িয়ে দেয়। বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে এভাবে আগুন জ্বলার কারণে বিপুল পরিমাণ ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা এ ধরনের কাজ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত