অস্ট্রেলিয়ায় কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাপনের বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক    
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ১৪
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ৫৭
ওয়েস্টফিল্ডের সেই শপিংমল যেখানে পাপন কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি জংশন এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী। তাঁর নাম মো. আব্দুল সাদেক পাপন। পুরো ঘটনাটি বন্ডির ওয়েস্টফিল্ডের একটি শপিংমলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত রোববার পাপনকে গ্রেপ্তার করা হয় বন্ডি জংশন থেকে। স্টুডেন্ট ভিসায় পড়তে যাওয়া এই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি একটি কালো টি-শার্ট পরে ছিলেন। এরপর সোমবার তাঁকে স্থানীয় ওয়েভারলি আদালতে তোলা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি পাপন স্থানীয় একটি দোকানেও কাজ করতেন। ম্যাজিস্ট্রেট পাপনের জামিন নাকচ করেছেন।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২৭ বছর বয়সী পাপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর কাছে গিয়ে তার প্যান্টের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেন। সে সময় কিশোরীটি একটি এস্কেলেটরে দাঁড়িয়ে ছিল।

পাপনের বিরুদ্ধে শিশুদের শরীরে ইচ্ছাকৃত যৌন স্পর্শের ছয়টি অভিযোগ এবং সেক্সুয়াল গ্রুমিং বা নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা কাউকে মানসিকভাবে হয়রানি করে যৌন সম্পর্কে রাজি করানোর একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা হলো—১৬ বছরের কম বয়সী মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ম্যাজিস্ট্রেট মাইকেল বার্কো আদালতে উত্থাপিত পুলিশের নথিপত্র পড়ে বলেছিলেন, সিসিটিভিতে যা দেখা গেছে তার ভিত্তিতে এই আক্রমণ অপরাধ এবং পুলিশের মামলা শক্তিশালী। তিনি বলেন, ‘তিনি এখানে অস্ট্রেলিয়ার জনগণের সুবিধায় এসেছে—যাকে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বলা হচ্ছে। তারা হয়তো বাংলাদেশে ভিন্নভাবে কাজ করে, কিন্তু সিডনিতে, অস্ট্রেলিয়ায়...আমরা এমন লোকজন চাই না, যারা আমাদের শপিং সেন্টারে ১৫ বছরের মেয়েদের যৌন নিপীড়ন করবে।’

আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, পাপন বিবাহিত এবং তাঁর পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর স্ত্রীও পড়াশোনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর অপরাধমূলক কোনো রেকর্ড নেই। পাপন মুক্তি চেয়ে আদালতে জানান, যদি তিনি বাড়ি না ফেরেন, তবে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন। তিনি তাঁর আইনজীবীকে এ কথা জানান।

কিন্তু পাপন তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন, অথবা কাউকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে বলেননি। তাঁর আইনজীবী আদালতে বিষয়টি জানিয়েছেন। বার্কো বলেন, তিনি বুঝতে পারেন যে, পাপনের স্ত্রীর কিছু সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি নিউ সাউথ ওয়েলসের জনগণ এবং ১৫ বছরের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা সবাই চাই, আমরা আমাদের শপিং সেন্টারগুলোতে হাঁটতে গিয়ে নিরাপদ অনুভব করি।’

এরপর, বার্কো পাপনের মুক্তির আবেদন নাকচ করেন। পাপন এখন রিমান্ডে রয়েছেন। তাঁকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলের ‘হৃৎপিণ্ড’ তেল আবিবে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সাগরে নিম্নচাপ, কত দিন বৃষ্টি হতে পারে জানাল আবহাওয়া দপ্তর

শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান যার যার স্থানে শ্রেষ্ঠ: গয়েশ্বর

র‌্যাব বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি: নূর খান লিটন

হাসিনার আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি, জড়াল টিউলিপের নামও

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত