Ajker Patrika

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছরের দণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩, ১৪: ০৭
রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছরের দণ্ড

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ২৭ বছর গৃহবন্দী থাকার দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশটির নমপেন মিউনিসিপ্যাল আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

কেম সোখা কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির নেতা। নির্বাচনে দাঁড়ানো বা ভোট দেওয়ার ব্যাপারেও তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। 

হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকদের একজন। 

আগামী জুলাই মাসে কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সেই নির্বাচনে অংশ নেবেন হুন সেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, তিনি তাঁর বড় ছেলে হুন মানেটের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন। 

২০১৩ সালের এক ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৯ বছর বয়সী কেম সোখা বলছেন, তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছেন। ওই ভিত্তিতে ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কেম সোখার আইনজীবী বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা নেই এবং এই মামলা ভিত্তিহীন। 

কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি বলেছেন, কেম সোখার বিরুদ্ধে মামলাটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। 

কেম সোখার আইনজীবী আং উদোম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। 

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, ‘কেম সোখার বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়া আর কিছু নয়। কেম সোখাকে কারাগারে পাঠানোর অর্থ কেবল তার রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করাই নয়, বরং জুলাই মাসের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করা।’ 

কেম সোখা একজন প্রাক্তন মানবাধিকার আইনজীবী। তিনি কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির নেতৃত্ব দেন। কেম সোখার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী নির্বাচনে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে পরাজিত করতে পারেন। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই দলের বেশির ভাগ নেতাকে বিভিন্ন মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অনেক নেতাকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত