পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে ৬৭০ জনের বেশি মাটি চাপা পড়ার শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৭: ৪৩
Thumbnail image

পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় মাটি চাপা পড়ে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬৭০ বলে আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান সেরহান আকতোপ্রাক। তিনি বলেছেন, ‘দেশটির এনগা প্রদেশে গত শুক্রবারের ভূমিধসের প্রভাব আমাদের প্রাথমিক ধারণার চেয়েও বেশি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের এনগা প্রদেশের পোরগেরা-পাইলা জেলার প্রত্যন্ত মুলিতাকার ছয়টি গ্রামে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ভোরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে।

সেরহান আকতোপ্রাক বলেন, আনুমানিক ১৫০-এর বেশি ঘর মাটির নিচে ধসে গেছে।

গত শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ১০০ বা তার বেশি হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন। আজ রোববার পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি মৃতদেহ এবং ষষ্ঠ ব্যক্তির একটি পা উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সেই অনুমান সত্যি নয় বলে ধারণা করছেন সেরহান আকতোপ্রাক। কারণ, এই সংখ্যাটি অনুমান করা হয়েছিল অঞ্চলটির পরিবারগুলোর গড় সদস্য সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন, এমন মন্তব্যের পর জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের বাস্তববাদী হওয়া উচিত। আমরা এমন কোনো পরিসংখ্যান নিয়ে আসতে চাই না, যা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রটির উত্তরে এনগা প্রদেশই মূলত ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে মাটি পিছলে যাচ্ছে বলে উদ্ধারকারীরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে জানান আকতোপ্রাক। তিনি বলেন, পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উদ্ধারকার্যে জড়িত প্রত্যেকেই বড়সড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মুলিতাকার গ্রামগুলোতে এক হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকতোপ্রাক। তিনি বলেছেন, ভূমিধসের শিকার গ্রামটির ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামটির পানির সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ সরাতে খোঁড়াখুঁড়ির জন্য লোকজন লাঠি, কোদাল, বড় কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত