যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সিরাজুদ্দিন হাক্কানি অবশেষে প্রকাশ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২২, ২৩: ৫৬

তালেবান নেতাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার এ নেতার ছবি আছে মাত্র একটি। সেটিও ঝাপসা। গত বছরের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বারবার তাঁর নাম এসেছে। কিন্তু তিনি মুখ দেখাননি। অবশেষে আজ শনিবার প্রথমবারের মতো আফগান পুলিশ নিয়োগের জন্য একটি পাসিং-আউট প্যারেডে প্রকাশ্যে তাঁর ছবি তোলা গেছে। 

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এখন তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভয়ঙ্কর হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান তিনি। এর আগে শুধু পেছন থেকে তাঁর ছবি তোলা গেছে। 

কুচকাওয়াজে এক বক্তৃতায় হাক্কানি বলেন, ‘আপনাদের খুশি করতে এবং বিশ্বাস করাতে...আমি আপনাদের সঙ্গে একটি জনসভায় মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হচ্ছি।’ 

তালেবানের প্রত্যাবর্তনের আগে, সংগঠনটির নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটিদের মধ্যে হাক্কানি ছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ। 

আখুন্দজাদাকে কয়েক বছর ধরে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। অনেক আফগান বিশ্লেষক ধারণা করেন তিনি আর বেঁচে নেই। 

হাক্কানি তালেবানের একটি শক্তিশালী উপগ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত ২০ বছর ঘটে যাওয়া নৃশংস সহিংসতাগুলোর জন্য এই সংগঠনকে দায়ী করা হয়। 

যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানিকে ধরার জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার জন্য তিনি দায়ী ছিলেন বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। 

আজ তালেবান কর্মকর্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় হাক্কানির ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছেন। এর আগে শুধু এমন ছবিই পোস্ট করা হয়েছিল যেগুলোতে হাক্কানির মুখ দেখা যায়নি, অথবা অস্পষ্ট। 

পুলিশ প্যারেডে হাক্কানি অন্য অনেক জ্যেষ্ঠ তালেবান কর্মকর্তার মতো পোশাক পরেছিলেন। মুখে চাপদাড়ি, কালো পাগড়ি এবং সাদা শাল পরা ছিলেন তিনি। 

হাক্কানির এই উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, তালেবানরা গত আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। 

প্যারেডে কূটনীতিকদের ভিড়ের মধ্যে ছিলেন হাক্কানি। সেখানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকেও দেখা গেছে। যদিও এর মধ্যে কোনো দেশই তালেবান সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। 

জালালুদ্দিন হাক্কানি ১৯৭০-এর দশকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মুজাহিদিনদের প্রতিরোধ যুদ্ধের সময় সিআইএ এই সংগঠনটিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল। 

সিরাজুদ্দিন হাক্কানির বয়স এখন ৪০ বা কিছু বেশি বলে ধারণা করা যায়। তিনি জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে। ২০১৮ সালে জালালুদ্দিনের মৃত্যুর পর বাবার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। 

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি বেশ কয়েকবার মার্কিন ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং মধ্যবর্তী দুর্গম এলাকায় হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিচরণ। ২০২০ সালে নিউইয়র্ক টাইমসে ‘হোয়াট উই, দ্য তালেবান, ওয়ান্ট’ শিরোনামের একটি নিবন্ধ লেখেন হাক্কানি। এ কারণে সংবাদপত্রটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত