অনলাইন ডেস্ক
গত মে মাসে থাইল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন পিটা লিমজারাট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংসদে পর্যাপ্ত ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন ৪২ বছর বয়সী এই হার্ভার্ড স্নাতক।
নির্বাচনে প্রায় এক দশকের রক্ষণশীল সামরিক শাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন থাইল্যান্ডের সাধারণ ভোটাররা। এর বদলে রাজনৈতিক সংস্কারের বার্তা নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়া মুভ ফরওয়ার্ড দলের লিমজারাটের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও অনির্বাচিত সিনেটরদের নিজের দিকে টানতে পারেননি লিমজারাট। এসব সিনেটরের মধ্যে ২৪৯ জনই আগের সামরিক সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন।
এ ছাড়া সংসদীয় ভোটের আগ মুহূর্তে আইনি চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হয়েছেন লিমজারাট। এ জন্য এখনো তিনি অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন আদালতের রায়ে। তবে নির্বাচনী নিয়ম ভঙ্গের কথা অস্বীকার করেছেন তরুণ এই নেতা।
সংসদীয় ভোটের বিষয়ে সাংবাদিকদের লিমজারাট বলেন, ‘আমি এই ফল মেনে নিচ্ছি। তবে হাল ছাড়ছি না। এই সময়টিকে আরও সমর্থন আদায় করতে ব্যবহার করব।’
জানা গেছে, বিস্ময়করভাবে ১৩ জন সিনেটর ছাড়া বাকি সবাই মুভ ফরওয়ার্ডের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা হয় ভোটদানে বিরত ছিলেন, অন্যথায় লিমজারাটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ভেতরে যখন ভোটদান অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, লিমজারাটের সমর্থকেরা তখন বাইরে জয়োল্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ফল ঘোষণার পর তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে সংসদীয় সিনেটরদের প্রতি ঠাট্টা ও বিদ্রূপ প্রকাশ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিততে হলে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ৭৪৯ সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি বা অন্তত ৩৭৫টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু লিমজারাট এর থেকে ৫১টি ভোট কম পেয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সংসদীয় ভোট চলবে। এ হিসেবে আগামী সপ্তাহেই আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে লিমজারাট কীভাবে নিজের ঘাটতি পূরণ করবেন তা-ই এখন আলোচনার বিষয়।
প্রথম ভোটে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির লাখ লাখ তরুণ ভোটারের আশা ভেস্তে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মুভ ফরোয়ার্ডের এক সমর্থক এমন হতাশার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কেন আমি আর ভোট দিতে আসব। কারণ আমার ভোটের আর কোনো গুরুত্ব নেই।’
ভোটের আগে, লিমজারাট জানিয়েছিলেন—তিনি সিনেটরদের রাজি করাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। বলেছিলেন, ‘জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে বিভিন্ন উপায়ে দেশ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’
এদিকে গত বুধবার থাইল্যান্ডের কুখ্যাত রক্ষণশীল সাংবিধানিক আদালত লিমজারাটকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে একটি সুপারিশ গ্রহণ করেছে।
আদালত বলেছে, বর্তমানে মুভ ফরোয়ার্ড নেতার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ পর্যালোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো একটি মিডিয়া কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার তিনি। যদিও সেই কোম্পানিটি ১৫ বছর ধরে কোনো কাজ করছে না।
অন্য অভিযোগটি হলো—কঠোর রাজকীয় একটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে মুভ ফরোয়ার্ড। এই আইনের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের শত শত সমালোচককে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আইনটিকে অমান্য করা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে উৎখাত প্রচেষ্টার সমান।
সাংবিধানিক আদালত কখন এই মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে থাইল্যান্ডের আইন অনুসারে, লিমজারাটকে সংসদ থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনের আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৪ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের বেসামরিক নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলের আগে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা রাজনৈতিক বংশের একজন সদস্যকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত মে মাসের নির্বাচনে লিমজারাটের জোটের অন্যতম বড় দলটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
গত মে মাসে থাইল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন পিটা লিমজারাট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংসদে পর্যাপ্ত ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন ৪২ বছর বয়সী এই হার্ভার্ড স্নাতক।
নির্বাচনে প্রায় এক দশকের রক্ষণশীল সামরিক শাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন থাইল্যান্ডের সাধারণ ভোটাররা। এর বদলে রাজনৈতিক সংস্কারের বার্তা নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়া মুভ ফরওয়ার্ড দলের লিমজারাটের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও অনির্বাচিত সিনেটরদের নিজের দিকে টানতে পারেননি লিমজারাট। এসব সিনেটরের মধ্যে ২৪৯ জনই আগের সামরিক সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন।
এ ছাড়া সংসদীয় ভোটের আগ মুহূর্তে আইনি চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হয়েছেন লিমজারাট। এ জন্য এখনো তিনি অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন আদালতের রায়ে। তবে নির্বাচনী নিয়ম ভঙ্গের কথা অস্বীকার করেছেন তরুণ এই নেতা।
সংসদীয় ভোটের বিষয়ে সাংবাদিকদের লিমজারাট বলেন, ‘আমি এই ফল মেনে নিচ্ছি। তবে হাল ছাড়ছি না। এই সময়টিকে আরও সমর্থন আদায় করতে ব্যবহার করব।’
জানা গেছে, বিস্ময়করভাবে ১৩ জন সিনেটর ছাড়া বাকি সবাই মুভ ফরওয়ার্ডের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা হয় ভোটদানে বিরত ছিলেন, অন্যথায় লিমজারাটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ভেতরে যখন ভোটদান অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, লিমজারাটের সমর্থকেরা তখন বাইরে জয়োল্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ফল ঘোষণার পর তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে সংসদীয় সিনেটরদের প্রতি ঠাট্টা ও বিদ্রূপ প্রকাশ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিততে হলে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ৭৪৯ সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি বা অন্তত ৩৭৫টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু লিমজারাট এর থেকে ৫১টি ভোট কম পেয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সংসদীয় ভোট চলবে। এ হিসেবে আগামী সপ্তাহেই আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে লিমজারাট কীভাবে নিজের ঘাটতি পূরণ করবেন তা-ই এখন আলোচনার বিষয়।
প্রথম ভোটে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির লাখ লাখ তরুণ ভোটারের আশা ভেস্তে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মুভ ফরোয়ার্ডের এক সমর্থক এমন হতাশার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কেন আমি আর ভোট দিতে আসব। কারণ আমার ভোটের আর কোনো গুরুত্ব নেই।’
ভোটের আগে, লিমজারাট জানিয়েছিলেন—তিনি সিনেটরদের রাজি করাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। বলেছিলেন, ‘জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে বিভিন্ন উপায়ে দেশ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’
এদিকে গত বুধবার থাইল্যান্ডের কুখ্যাত রক্ষণশীল সাংবিধানিক আদালত লিমজারাটকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে একটি সুপারিশ গ্রহণ করেছে।
আদালত বলেছে, বর্তমানে মুভ ফরোয়ার্ড নেতার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ পর্যালোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো একটি মিডিয়া কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার তিনি। যদিও সেই কোম্পানিটি ১৫ বছর ধরে কোনো কাজ করছে না।
অন্য অভিযোগটি হলো—কঠোর রাজকীয় একটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে মুভ ফরোয়ার্ড। এই আইনের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের শত শত সমালোচককে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আইনটিকে অমান্য করা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে উৎখাত প্রচেষ্টার সমান।
সাংবিধানিক আদালত কখন এই মামলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে থাইল্যান্ডের আইন অনুসারে, লিমজারাটকে সংসদ থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনের আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৪ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের বেসামরিক নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলের আগে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা রাজনৈতিক বংশের একজন সদস্যকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত মে মাসের নির্বাচনে লিমজারাটের জোটের অন্যতম বড় দলটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
জিতেন্দ্র রাওয়াত। তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে ভবনের প্রথম তলায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানসহ দেরাদুনে থাকেন। তাঁর জিতেন্দ্র রাওয়াতের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে। তিনি মারা যাওয়ার সময় তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে...
১ মিনিট আগেইউরোপজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশে কনস্যুলেট বন্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
১৯ মিনিট আগেপ্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র ডিজিটাল উইটনেস ল্যাবের গবেষণায় ভারতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার এই চিত্র উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, গবেষণার জন্য তাঁরা ভারত ভিত্তিক ২৩৪টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটেছেন। এসব গ্রুপে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত ৮ হাজারটির বেশি বিজ্ঞাপন দেখেছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরেশ বড়ুয়া দীর্ঘদিন ধরে রুইলিতে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ছিলেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।
৩ ঘণ্টা আগে